উপকূলে গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা
উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রায় গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন উপজেলার গৃহস্থ ও খামারিরা। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলার খামারিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গরু নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন খামারিরা। মারাত্মক এই রোগ মশা, মাছি, আঠালি বা ব্যবহৃত নিভেল ও সিরিঞ্জ বারবার ব্যবহারের মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়াচ্ছে। রোগটির সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক না থাকায় দিশেহারা গৃহস্থ ও খামারিরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলা জুড়ে গরু রয়েছে প্রায় বাহাত্তর হাজার । এর মধ্যে উপজেলায় গত দুই সপ্তাহে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অর্ধ শতাধিক। এবং গত তিন মাসে অর্ধ শতাধিক গরু মারা গিয়েছে। এই লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ভয়ংকর একটি রোগ। এখন এই রোগ বাংলাদেশে মহামারি রূপে ধারণ করেছে। এই উপজেলাটতে লবণাক্তের পরিমাণ বেশি থাকায় একটু কম ছড়িয়ে রোগটি। তারপরও রোগটি এই উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেক খামারি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হলে, প্রথমে গরুর শরীর গরম হয়ে জ্বর উঠে যায়। তারপর শরীরের কয়েক জায়গায় ছোট ছোট গুটি উঠতে শুরু করে। এবং এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে সারা শরীরেই ছড়িয়ে পড়ে। শরীর ফুলে যায় এবং গরুর খাবারে অনীহা দেখা দেয়, এতে গরু দুর্বল হয়ে পড়ে বলে জানান খামারিরা। আবুল কাসেম, জামাল শিকদার, হমায়ুন, আব্দুল খালেকসহ একাধিক গৃহস্থ ও খামারিরা বলেন, রোগটি বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তারা গ্রামের কিছু পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এতে গরু সুস্থ না হয়ে বরং বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তারা খুবই চিন্তায় আছেন। কোন ভাবে কোন কিছুতে এই রোগ সারছে না বলে। পশু চিকিৎসকরা বলছেন, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এ বছর বর্ষা মৌসুমের আগেই লাম্পি স্কিনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এবং তা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়াচ্ছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেউলিয়া বাজার সংলগ্ন খামারী শামীম সানা বলেন,আমার খামরে ৫ টি গরু হয়েছে। গত এক মাস আগে আমার ১ টি গরুর গায়ে গুটি বের হয়ে ছিলো ।উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ডাক্তার ও পশু ডাক্তারের কাছে থেকে চিকিৎসা করিয়েছি তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় কিছু দিন পর মারা যায় গরুটি।এই রোগের যথাযথ চিকিৎসা না থাকায় সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে খামারীদের। উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের কিনু কাটি গ্রামের ভব সিন্দু বলেন, আমার গোয়ালে ৫ টি গরুর রয়েছে এর মধ্যে একটি গরুতে এই লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরুটিকে বাঁচাতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জানিনা কি হবে! চিন্তায় রয়েছি এতো কষ্ট করে গরু পালন করি কি হয় না হয়! উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাইন বিল্লাল বলেছেন, গরুর লাম্পি স্কিন রোগটি এখন বড় সমস্যা।তবে অন্য অন্য উপজেলা থেকে এই উপজেলা নদী ও সুন্দরবন ঘেরা থাকায় লবণাক্তের পরিমাণ বেশি থাকায় একটু কম আছে। ভয়ংকর এ রোগ থেকে গরুকে বাঁচাতে আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে জনসচেতনতা মূলক সভা করছি। লাম্পি ষ্কিন রোগে আক্রান্ত গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গৃহস্থদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমেই অসুস্থ গরুটিকে আলাদা করতে হবে। মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে, যাতে মশা বা মাছি গরুর শরীরে যেন না বসে। আমরা আমাদের চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে রোগটিকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।
এমএসএম / এমএসএম
গোপালগঞ্জে নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসকের পরিদর্শন
হানিওয়েল কারখানা বন্ধ ঘোষণা,শ্রমিকদের বিক্ষোভ
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত