রাজস্ব হারাচ্ছেন সরকার বাইতুল মোকাররম মার্কেট বিদেশি সিগারেটের কোটি টাকার বাণিজ্য

রাজধানীর পল্টন মডেল থানাধীন এলাকা অবৈধপথে আসা বিদেশি চোরাই সিগারেটে রমরমা ব্যবসাকেন্দ্র এখন বাইতুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতে দোকান রয়েছে ১০ টি এলাকায়, আর এসব অবৈধ সিগারেটের পাইকারি বাণিজ্যে কোটি টাকার ব্যবসা হলেও স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার। মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান চললেও অধরায় থেকে যায় মূল হোতারা। এতে প্রতি মাসে কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অবৈধপথে আসাএসব সিগারেটের রাজধানী পল্টন এলাকার মূল ডিলার মোঃ মাসুদ ও মোঃরিপন,এমনই অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায় পল্টন মডেল থানাধীন বাইতুল মোকাররম মার্কেটে এলাকার ফুটপাতে সামনে কোটি কোটি টাকার বিদেশী সিগারেট বিক্রি করেন, বাইতুল মোকাররম মার্কেটের ভিতরে দোকান মালিক মোঃ রিপন ও মোঃ মাসুদ, এলাকার ফুট ওভার ব্রিজের নিচে মার্কেটের সামনে দোকান মালিক মোঃ ফখরুল আমিন,মোঃ বাচ্চু, মোঃ জসিম, মোঃ বশির, মোঃ জামাল, মালিকদের সাথে আলাপকালে তথ্য পাওয়া যায় রাজধানীর পল্টন এলাকা ,রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশি সিগারেট দীর্ঘদিন যাবত পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে আসছেন , রিপন এবং মাসুদ ব্যবসা পরিচালনা করেন,
পল্টন মডেল থানা এলাকার বিভিন্ন থানা এলাকায় শত শত দোকান রয়েছে উল্লেখিত ব্যক্তি প্রতি মাসে বিদেশি সিগারেটের অবৈধভাবে বিক্রির মধ্য দিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেন।এ ছাড়াও আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে মাঠকর্মীদের দিয়ে সিগারেট বিক্রি করছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব সিগারেট অনায়াশে ঢুকছে রাজধানীতে। কিছুদিন আগেও জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৮১৪ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১২ লাখ ২১ হাজার টাকা। এর আগে একই ফ্লাইটে আসা ৫৪৭ কার্টনে আনা ১ লাখ ৯ হাজার ৪০০ শলাকা সিগারেট ও রিদমি ব্র্যান্ডের ২০টি মোবাইল সেট পরিত্যক্ত অবস্থায় আটক করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল ফেল্ট (এক ধরনের ফোম) আনার ঘোষণা থাকলেও ‘৩০৩’ ও ‘মন্ড’ ব্র্যান্ডের ৬৫০ কার্টন সিগারেট আনা হয়েছে। যার মূল্য ১৩ কোটি টাকা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, এ পর্যন্ত আটক হওয়া বিদেশি সিগারেটের মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ চালান। ওই বছরের ৭ মে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার পিস সিগারেট পাওয়া যায়। শুল্কসহ যার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রায় সময় বিভিন্নভাবে ধরা পড়ছেসিগারেটের চালান। অনুসন্ধানে জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী এসব বিদেশি সিগারেটের ক্রেতা হচ্ছেন নিয়মিত ধূমপায়ীদের তুলনায় উঠতি বয়সি তরুণরা। ফলে যুবসমাজের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী দিন দিন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সব সিগারেটের প্যাকেটে ‘ছবিযুক্ত সংবিধিবদ্ধ সতর্কতা’ এবং ‘রাজস্ব স্ট্যাম্প’ ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা থাকলেও অবৈধ এসব সিগারেটের প্যাকেটে কিছুই লেখা থাকে না। মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখও নেই এসব সিগারেটে চোরাই সিগারেটের ওপর বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এক বাজার জরিপে দেখা গেছে, বিদেশি সিগারেট আমদানিতে ৩৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। দেশে প্রতি বছর প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ বিদেশ থেকে আসা চোরাই সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। সরকার সব সিগারেট থেকে আমদানি শুল্ক আদায় করতে পারলে বছরে আরো প্রায় ১৩০ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আদায় হতো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন এলাকায় ১০ থেকে ১৫ টি দোকানে প্রকাশ্যেই এসব সিগারেট বেচাকেনা চলছে। প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন গড়ে ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকার বিদেশি সিগারেট পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা হয়। সাজানো সিগারেটের মধ্যে রয়েছেÑ ইজি স্পেশাল গোল্ড, মন্ড, স্ট্রবেরি, ভন ইন্টারন্যাশনাল, উইনস্টোন, গ্র্যান্ড-২০০০, ইজি অউরা, ব্লাক, মালবোরো, উলসন ল্যান্ড এম, ত্রি জিরো ত্রি, মডার্ন, ডাবলহ্যাপিনেস, ডানহিলসহ বিভিন্ন নামের সিগারেট।অনুসন্ধানে ক্রেতা সেজে চোরাই সিগারেটের বিক্রি ও বিপণন নিয়ে জানতে চাইলে বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকার সিগারেট দোকানের এক কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, অবৈধ উপায়ে সমুদ্রপথে এবং বিমানবন্দরের মাধ্যমে সিগারেটগুলো বেশি নিয়ে আসা হয়। বন্দরের কর্মকর্তা ও পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে একটি শক্তিশালী চক্র এই কাজটি করে থাকেন। এসব চোরাই সিগারেট কেনাবেচার নির্দিষ্ট কিছু লোক আছে। ফোন করে খবর দিলেই তারা এসে দোকানে সিগারেট দিয়ে যায়। এখন খুচরা বিক্রেতাদের এসব সিগারেট কিনতে বা বেচতে কোনো ঝুঁকি পোহাতে হয় না। সূত্রটি আরো জানায়, বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রিমিয়াম সেগমেন্টের বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। আবার উচ্চ সেগমেন্টের ২০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ১০৮ টাকা।এই দুই সেগমেন্টের ভোক্তাদের আকৃষ্ট করতেই বিদেশ থেকে চোরাইপথে আনা এসব সিগারেটের ২০ শলাকার প্যাকেট বিক্রি করা হয় ১৪০-১৫০ টাকা। যেমন মন্ড স্ট্রবেরি, মন্ড আপেল এই ২০ শলাকার একটি প্যাকেটের দাম মাত্র ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, যা দেশীয় প্রিমিয়াম সেগমেন্টের ২০ শলাকার সিগারেটের চেয়ে অনেক কম। ফলে এসব সিগারেটের প্রতি ক্রেতার চাহিদাও বেশি।কিন্তু আমদানি শুল্ক দিয়ে বৈধপথে আনলে ২০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেট প্রায় তিন গুণ দামে বিক্রি হতো। চোরাকারবারিরা শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, চীন ও দুবাই থেকে অবৈধ পথে এসব সিগারেট আনছে। দেশি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের সিগারেট বিক্রি করে খুচরা বিক্রেতারা যে পরিমাণ মুনাফা পান, বিদেশি এসব অবৈধ সিগারেট বিক্রি করলে তার চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি মুনাফা পান। এসব সিগারেটে কর সংযুক্ত থাকে না বিধায় ক্রেতার জন্যও লাভজনক হয়।শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বেশির ভাগ সিগারেট আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বন্দর দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে চোরাকার কারবারি হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে বাইতুল মোকাররম মার্কেটের ভিতরে দোকান ব্যবসায়ী মোঃ রিপন জানান, আপনার সাথে আমি কথা বলব আমি এখন ব্যস্ত রয়েছি।
এ বিষয়ে পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সালাহউদ্দীন দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, আপনি তথ্য দিয়েছেন আপনাকে ধন্যবাদ আমরা বিষয়টি ব্যবস্থা নিব।
এমএসএম / এমএসএম

ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন

চাকরি ও বাসস্থানসহ ৮ দফা দাবিতে হরিজন জনগোষ্ঠীর মানববন্ধন

পলাশীর পরাজয় ছিল জাতীয় চেতনার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা : বাংলাদেশ কংগ্রেস

রাজধানীর তাঁতী বাজারে নকশাবহির্ভূত অংশ অপসারন

আবুল বাশারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি ভুক্তভোগীর

যাত্রা শুরু করল নতুন অনলাইন সংবাদপত্র ‘নিরাপদ ঢাকা নিউজ’

ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ ঘোষণা

খাল রক্ষায় নাগরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ

ফল উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫

দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন ও পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী ও লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

এম জাহাঙ্গীর হোসেনের রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের ২০২৫-২৬ সালের নতুন কমিটি ঘোষণা

অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে তাদের সদস্যপথ নবায়ন হবে না: মোস্তফা জামান
Link Copied