সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও মিলছে না ক্ষতিপূরণের টাকা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) প্রকল্পের মধ্যে ৬ বিঘা জমি ছিল তেঘরিয়া গ্রামের অমরেন্দ্র পালের। জমি অধিগ্রহণের জন্য তিনি বিঘা প্রতি ১৪ হাজার ৩ শত ৩৮ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। তবে দুই বছরের জন্য অধিগ্রহণ করা হলেও প্রকল্প শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৬ বছর। যা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও বাকি চার বছরের ক্ষতি পূরণের টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে । শুধু অমরেন্দ্র পাল নন, টিআরএম প্রকল্পের আওতায় তাঁর মতো দুই হাজারের বেশি কৃষক নিজের জমি থাকতেও দীর্ঘ সময় তা ব্যবহার করতে পারেননি। আবার জমির দলিল সংক্রান্ত জটিলতায় ওই দুই বছরের অধিগ্রহণের টাকাও পাননি কয়েকশত কৃষক। ক্ষতি পূরণের টাকা না পেয়ে অনেকে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে প্রকল্পের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২ হাজার ৪৭ জন জমির মালিক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের গণস্বাক্ষর করা আবেদন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তালায় কপোতাক্ষ অববাহিকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে ২ শত ৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্প নেয় সরকার। পরবর্তীতে উক্ত ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে বরাদ্দের পরিমাণ দাড়ায় ২ শত ৮৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উক্ত প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০১১-১২ অর্থবছরে উপজেলার পাখিমারা বিলের চারপাশে ১ হাজার ২ শত ৮৭ কিলোমিটার পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে তা শেষ হয়। পরে মূল প্রকল্পটি চালু হয় ২০১৫ সালে। এ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৫ শত ৬১ দশমিক ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। তবে ক্ষতিগ্রস্ত জমির ৮০ শতাংশ মালিকদের অধিগ্রহণের টাকা দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। দলিল-সংক্রান্ত জটিলতায় বাকিরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ২০১৭ সালের জুন মাসে প্রকল্প শেষ হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের জন্য ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য ৫ শত ৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দও হয়েছে বলে জানা গেছে। অথচ প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো পাননি জমির মালিকেরা। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বালিয়া গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে আমরা দুরবস্থার মধ্যে আছি। নিজেদের জমি থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ না পেয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। বাধ্য হয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছি।’টিআরএম প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ে কাজ করা পানি কমিটির নেতা মীর জিল্লুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণের আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন জমির মালিকেরা। ক্ষতিপূরণ না পেলে বাঁধ নির্মাণ করতে দেবেন না তাঁরা। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কৃষকদের এই দাবিকেই অজুহাত দেখিয়ে টিআরএম প্রকল্প অচল করে রেখেছে। এতে ২ হাজার ৬০ জন কৃষকের বকেয়া আটকে আছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তালার টিআরএম ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে একটি গণস্বাক্ষর করা আবেদন আমার কাছে দিয়েছেন। দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মমিনুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব খাতে টাকা ধরা আছে। কৃষকেরা ডিসি অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
