রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।অনুকুল আবহাওয়া, সময়মতো সার ও বীজ বপন, সঠিক পরিচর্যা এবং স্থানীয় কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্বাবধানে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন সদরপুর উপজেলার কৃষকরা।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় জানান চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষক সায়াদ সর্দার। তিনি জানান, ৪২ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষে সব মিলিয়ে খরজ হয় ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এবং প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হয় ২০ মন। তবে বাম্পার ফলন হলে প্রতি বিঘায় ২২ মন পর্যন্ত উৎপাদন হতে পারে।
কৃষক সাহেদ আলী বেপারী বলেন, স্থানীয় অনেক কৃষক প্রথমে রোপা আমন চাষ করেছিলেন সম্প্রতি ঘুর্নিঝড় এবং বৃষ্টির কারনে তাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবং যে সকল আমন চাষী নামিতে (দেরি করে) ধান রোপন করেছেন তাঁরা লাভবান হবেন বেশী।
স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী শেখ সোবাহান বলেন, আমি গত দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন জাতের ধানের ব্যবসার সাথে জরিত আছি। গত বছর আমি সর্ব্বচ্চ প্রতি মন ধান একহাজার টাকা দরে ক্রয় করেছি। তবে এবার ধানের মূল্য কিছুটা বেশী। প্রতিমন ধান ক্রয় ও সংরক্ষণে আমার খরচ পরেছে এগারোশত টাকা।
অপর কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ধান আবাদে সব কৃষকদের খরচ ভিন্ন। যে সকল কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত তারা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন প্রকার অনুদান পেয়ে থাকেন। যারা তালিকা ভুক্ত কৃষক নয় তাদের উৎপাদন খরচ একটু বেশী।
স্থানীয় অনেক ধান চাষী বলেন সরকারি ভাবে যদি সব কৃষকদের তালিকাভুক্ত করেন, এবং একটু সহানুভূতির দৃষ্টি দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে, এই দেশের কৃষকরাই একদিন গড়ে তুলবে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা।
এমএসএম / এমএসএম