সন্ধ্যা হলেই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পবিপ্রবির ক্যাম্পাস
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।গত কয়েক বছর যাবৎ প্রতিদিন ক্যাম্পাসে গাছপালা ও আশপাশের দেখা যাচ্ছে এ নয়নাভিরাম দৃশ্য। আনুমানিক লক্ষাধিক পাখির কলকাকলিতে শেষ বিকেল থেকেই মুখর হয়ে ওঠে পবিপ্রবির বৃক্ষরাজি বেষ্টিত মূল ক্যাম্পাস এলাকা।
সরে জমিনে দেখা যায়, এসকল পাখির মধ্যে রয়েছে চড়ুই, বাবুই, শালিক, ঘুঘু, বক ও কাক পাখিসহ নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা। ক্যাম্পাসের পূর্ব গেট থেকে পশ্চিম গেট পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশের মেহগনি, একাডেমিক ভবনের সামনে রাস্তার পাশে নারিকেল ও প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তার পাশে আম গাছসহ বিভিন্ন ফলফলাদি ও বৃক্ষজ গাছের ঝোঁপে এবং বিদ্যুৎ লাইনের তারের উপরে এসব পাখির শেষ বিকেলে ঝাঁকেঝাঁকে আগমন ঘটে।
প্রতিদিন সন্ধ্যার আগেই শুরু হয় এসব পাখিদের আশ্রয় নেওয়ার মহড়া। এরপর গাছে গাছে আশ্রয় নিয়ে মনের আনন্দে স্বভাবজাত ডাকাডাকি শুরু করে। গভীর রাতে নিস্তব্ধতা অবলম্বন করে আযান শুরুর সাথে সাথে আবার শুরু হয় কলকালি ও কিচিরমিচির শব্দ। সকাল হলেই চলে যাওয়া শুরু হয়ে যায় অন্যত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমরা সান্ধ্যকালীন সময়ে ঝাঁকেঝাঁকে আগমন এবং তাদের কিচিরমিচির শব্দ ও কলকাকলি খুবই উপভোগ করি পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি স্বচোখে দেখার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
পবিপ্রবির হর্টিকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী এ প্রসঙ্গে বলেন, এসব পাখি শহর বা গ্রামে মানব বসতির কাছাকাছি যেকোনো পরিবেশে নিজেদের স্বাচ্ছন্দে মানিয়ে নিতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা থাকলেও জনহীন বনভূমি, তৃণভূমি ও মরুভূমিতে এসব পাখিদের বসবাস করতে খুব একটা দেখা যায় না। এরা সাধারণত শষ্যদানা, আগাছার বীজ, পোকামাকড় ও উচ্ছৃষ্ট নানা রকমের খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে।
এব্যাপারে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানিমাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভয় আশ্রম হিসেবে এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এসে রাত যাপন করে। আবার সকাল হলেই এরা ঝাঁকে ঝাঁকে খাদ্যের অন্বেষনে অন্যত্র চলে যায়। পরিবেশ বান্ধব আমাদের ক্যাম্পাসের বৃক্ষগুলোতে পাখিরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বিভিন্ন ঝোঁপঝাঁড়ে বাবুই পাখি, চড়ুই, শালিক, মাছরাঙা, বক, কাক, সারস ও ডাহুক পাখির অবাদে বিচরণ করতে দেখা যায়। ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি পুকুর থাকায় ও এদের অবাধ বিচরণে কোন বিরূপ প্রভাব নেই বলে দিন দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম
মানিকগঞ্জে বিনামূল্য সরিষা ও সবজির বীজ বিতরণ
গোপালগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক মো. আরিফ উজ জামান
মনপুরা হাজীরহাট ঘাটের ব্রিজটিতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মুছে যাচ্ছে সিনেমা হলের স্মৃতিচিহ্ন
যানজট নিরসনে নরসিংদী পৌরসভায় অটোরিকশা-ইজিবাইক তালিকাভুক্তির নির্দেশ
বকশীগঞ্জে একসাথে তিন পুত্রসন্তানের জন্ম, অসহায় কৃষকের মানবিক সহায়তার আবেদন
মনোহরগঞ্জে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট বিপাকে খামারিরা
কলাপাড টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম এর কার্যালয় উদ্বোধন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা
হাতিয়ায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
দুমকীতে দুই আওয়ামীলীগ নেতা আটক
চন্দনাইশে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের তথ্য উপস্থাপন কর্মশালা
পবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী পুনঃভর্তির আদেশ
Link Copied