নিদের্শনা থাকলেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে নেই ১৫ আগস্টের শোক ব্যানার
সরকারি নির্দেশনা থাকলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ১৫ আগস্টের ড্রপডাউন ব্যানার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার না করায় সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নাইমা আফরোজ ইমা স্বাক্ষরিত গত ২৭ জুলাইয়ের একটি জরুরি প্রজ্ঞাপণ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সরকারি/অন্যান্য কর্মসূচি প্রতিপালনের পাশাপাশি ১ আগস্ট থেকে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভবনে ড্রপডাউন ব্যানার লাগানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। সরকারি নির্দেশনা থাকলেও উপজেলার চৌদ্দগ্রাম পোস্ট অফিস, চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংকে ১৫ আগস্টের ড্রপডাউন ব্যানারটি লাগানো হয়নি। ১ আগস্ট থেকে ড্রপডাউন ব্যানার লাগানোর কথা থাকলেও মাসের ১১ তারিখেও লাগানো হয়নি ব্যানার. যা সরকারি নির্দেশনার প্রতি এক প্রকার বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শনের শামিল। সরকারি নিদের্শনা থাকলেও ড্রপডাউন ব্যানার ব্যবহার না করায় সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
চৌদ্দগ্রাম পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মো. সেলিম মিয়া জানান, আজকে দিনের মধ্যে ড্রপডাউন ব্যানারটি লাগিয়ে নেব।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখার ম্যানেজার মো. আব্দুর রৌফ জানান, সরকারি পরিপত্রের বিষয়টি আমার জানা আছে। লকডাউনের কারণে ব্যানারটি কুমিল্লা থেকে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। আজ-কালের মধ্যেই ব্যানারটি লাগিয়ে নেব।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হক জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যারা এখনো শোক ব্যানার লাগায়নি তাদের পুনরায় অবহিত করা হবে। তার পরেও যদি কোনো প্রতিষ্ঠান শোক ব্যানারটি না লাগায়, তখন বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান