ঢাকা সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

জয়পুরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও হানাদার মুক্ত দিবস পালিত


রাকিবুল হাসান রাকিব, জয়পুরহাট photo রাকিবুল হাসান রাকিব, জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১৪-১২-২০২৩ বিকাল ৫:১৪
জয়পুরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায়  শহীদ বুদ্ধিজীবী ও  পাকিস্তানী  হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্প্রতিবার সকালে পাগলা দেওয়ানে হাজারো শহীদের বধ্যভূমিতে সকাল ৮টায় পুষ্প্যস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করেন জেলা প্রশাসন। 
 
পরে সরকারি  বিভিন্ন দপ্তর ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কে এম এ মামুন খান চিশতী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক আমিনুল হক বাবুল প্রমূখ। 
 
১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদারদের হটিয়ে ”জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে  মুক্তিযোদ্ধারা  ঝাঁকে ঝাঁকে ফাঁকা গুলি বর্ষণ   ও উল্লাসের মধ্যে দিয়ে জয়পুরহাটের ডাক বাংলোতে বেলা ১১ টায় প্রবেশ করে। হানাদার পাকিস্তানি সৈন্য বাহিনী ও তাদের এদেশিয় দোসর রাজাকার আলবদররা তখন পালিয়ে বিভিন্ন দিকে ছুটে যায় জীবন বাঁচাতে। জয়পুরহাটের ডাক বাংলো প্রাঙ্গন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ’জয়বাংলা’ স্লেগানে  কেঁপে ওঠে। সমবেত কন্ঠে ’আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানের মধ্য দিয়ে প্রথম স্বাধীনতার বিজয় কেতন সোনালী বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খন্দকার আসাদুজ্জামান বাবলু  (বাঘা বাবলু)। এ স্বাধীনতার জন্য মূল্য দিতে হয়েছে অনেক মা-বাবা, ভাই-বোনকে। স্বজনদের হারিয়ে অনেকেই এখনও শোকে পাথর হয়ে আছেন।  ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে দেশের অনেক জেলা যখন পাক-হানাদার মুক্ত হতে থাকে তখনও যুদ্ধ চলে জয়পুরহাটে। ৯ মাস ধরে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায় এখানে । দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধরে নিয়ে এসে ১০ হাজারের বেশী মানুষকে ব্যানট দিয়ে খুঁচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় জয়পুরহাটের পাগলা দেওয়ানে। এখানে শুয়ে আছে কত মায়ের অজানা সন্তান। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বদ্ধভূমি  এ পাগলাদেওয়ান। এখানে পাক হানাদার বাহিনীর একটি পরিত্যাক্ত বাংকার এখনও  হত্যা যজ্ঞের ভয়াল স্মৃতি বহন করছে। এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ থেকে প্রাণে বেঁচে আসা অনেকেই এখনও সেই করুন স্মৃতি বহন করছেন। এছাড়াও কড়ই কাদিপুর গ্রামে ৩শ ৭১ জন মৃৎ শিল্পী (কামার-কুমার) কে গুলি করে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় দোশর রাজাকার আল বদর বাহিনীর সদস্যরা। এখানে একটি বধ্যভূমি রয়েছে। বিজয়ের এ দিনকে স্মরণ রাখার জন্য জয়পুরহাটে শহীদ ডাঃ আবুল কাসেম ময়দানে ৭১ ফুট উচ্চ শহীদ স্মৃতি বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও জয়পুরহাট হানাদারদের নিকট থেকে মুক্তির এ দিনটিকে স্মরণ করে কড়ই-কাদিপুর ও পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এমএসএম / এমএসএম

বড়লেখায় নিসচা'র সভাপতি “রোড ফাইটার” উপাধিতে ভূষিত

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনসাধারণদের শান্তির বার্তা দিলেন ওসি ওমর ফারুক

খুলনা বার নির্বাচন সামনে, আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে গণঅধিকার পরিষদ

অবৈধ দলিলের রায় স্থগিতের দাবিতে রায়গঞ্জে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

খালেদা জিয়াকে মামলা দেয়া আশিকের নড়াইলে জুলাই আহত তালিকাভুক্তিতে হইচই

মাদকমুক্ত ও উন্নত বাঘা-চারঘাট গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আরিফুল ইসলাম বিলাত

কেএপিজেড আন্দোলন থেকে আনোয়ারা কর্ণফুলীর গণ মানুষের নেতা হয়ে ওঠে এহসান এ খাঁন

সেমিনারের তারিখে ভুল: নরসিংদীতে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা

সাতকানিয়া পিডিবিতে চলছে হরিলুট, নীরবে কাঁদছে পিডিবির গ্রাহকরা

স্বামীকে রেখে প্রেমিকের হাত ধরে পালালেন বাকেরগঞ্জের এক তরুণী

স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে পালালেন ৪ সন্তানের জননিপ্রতিবাদে স্বামীর ঝাড়ু মিছিল

ক্লাসে তিন ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগে খণ্ডকালীন শিক্ষককে অব্যাহতি

ধামরাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরন