সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে ঢেকেছে শেরপুরের ফসলের মাঠ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সরিষার হলুদ চাদরে ঢাকা পড়েছে। মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলে হলুদ রঙের অপরূপ দৃশ্য। সোমবার (২৫ডিসেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,খানপুর ইউনিয়নের শালফা, শুবলি, বোয়ালকান্দি, চৌবাড়িয়া, শইল্যাপাড়া, নলবাড়িয়া, গজারিয়া, তালপুকুরিয়া সহ প্রায় সব এলাকাতেই সরিষার আবাদ হয়েছে। কামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁঝর, নলডিঙ্গিপাড়া, বিলনথার, ঘোরদৌড়, মাগুরার তাইর, খামারকান্দি, শুভগাছা, হুসনাবাদ, বোয়ালমারী, বেড়েরবাড়ি, গাড়িদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ি, কাফুরা, রণবীরবালা সহ দশটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে সরিষার আবাদ করেছেন কৃষকেরা। প্রকৃতি সেজেছে হলুদের সমারোহে। মৌমাছি, প্রজাপতিও ছুটছে অবিরাম এক ফুল থেকে অন্য ফুলে। তাদের এই খেলা সরিষার জমিকে করেছে আরো মনোমুগ্ধকর। পোকাখেকো বুলবুলি পাখি এবং শালিকের ঝাঁক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শুধু তাই নয়, হলুদের সমারোহ আকর্ষণ করেছে শিশু, তরুণ- তরুণী থেকে শুরু করে সকল বয়সের প্রকৃতি প্রেমিকদের। অনেকেই একে অপরের ছবি তুলতে ব্যস্ত।
গত কয়েক বছরের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে এই শস্যটির ফলন ও আগের চেয়ে বেড়েছে। ফলন পেতে সময় অল্প লাগে,খরচ কম হয়, এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিনে দিনে বাড়ছে সরিষার চাষ। মাগুড়ার তাইড় গ্রামের সরিষার চাষী সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি, টরি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাত গুলোর ফলন বেশি। এ কারণে চাষীরাও আগ্রহী হচ্ছেন সরিষার চাষে। এভাবে সরিষার চাষ বৃদ্ধি পেলে ভোজ্যতেলের আমদানি কমবে। তাছাড়া আমন ও বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে জমি ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করে তিন ফসলি করে বাড়তি আয় করতে আগ্রহী হয়েছে কৃষকেরা। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭-৮ মন সরিষা উৎপাদন হয়। এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। আর বিক্রি হয় প্রায় ১১হাজার থেকে ১২হাজার টাকায়।
সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এ উপজেলায় সরকার থেকে প্রতিটি কৃষককে বিনামূল্যে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডি এ পি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ৩০০০ জন কৃষক এই সুবিধা পেয়েছে। সরিষার ভালো ফলনের জন্য কৃষকদেরকে প্রতিনিয়ত সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে শেরপুর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, ২০২২ সালে সরিষা চাষের অর্জন ছিলো ২৩০০ হেক্টর, ২০২৩ সালে মোট সরিষার চাষ হয়েছে ৩৬৬০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি। সরিষা একটি বাড়তি অর্থকরী ফসল। এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে আছে।পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ না থাকলে ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
এমএসএম / এমএসএম

ভারত থেকে আসা মরিচের ট্রাকে অস্ত্র-গুলি, ২ ভারতীয় আটক

পাবনায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে টেটা বিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু

জুড়ীতে টিকটকে প্রেম, দেখা করতে গেলে মেয়ের স্বজনেরা দিলেন বাল্য বিয়ে: থানায় মামলা

বেনাপোলে এয়ার পিস্তল ও গুলি সহ আটক ২

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ

সুবর্ণচরে স্বেচ্ছাসেবকদল চরক্লার্ক ইউনিয়ন কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শ্রীনগরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রচনা-ক্বেরাত প্রতিযোগিতা

ত্রিশালে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধের ঘুষ বানিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দুমকীতে ধারের টাকা তুলে দিতে না পারায় স্ত্রীর আত্মহত্যা

সাঘাটায় এনসিপি নাম ভাঙিয়ে বাপ–ছেলের চাঁদাবাজির অভিযোগ

বালিয়াকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ নিহত ১ আহত
