তাঁত শিল্প এখন শুধুই স্মৃতি

সময়ের ব্যবধানে কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া তাঁতের শাড়ি ছিল। এক সময় গ্রাম বাংলার গৃহবধূদের ঐতিহ্য পোশাক। তাই তো তৎকালীন দিনে বিয়ের তোড়জোড় মানেই নববধূর জন্য কিনতে হত। উন্নত মানের রংবেরঙের নকশি করা তাঁতের শাড়ী। বরপক্ষকে নববধূর পছন্দের তাঁতের শাড়ি ক্রয় করতে বের হতে হতো বিভিন্ন গ্রামে । যা এখন শুধুই স্মৃতি।
এই তো কয়েক বছর আগেও প্রায় ঘরে ঘরে তাঁত বুনুণের খটখট শব্দে মুখরিত ছিলো গ্রাম, পাড়া-মহল্লা জুড়ে। শত শত কারিগররা রাত জেগে শুঁতা আটানো, রং করা,কাপড়ে মাড় দেওয়া সহ নানান কাজে ব্যস্ত সময় পার করতেন। সকাল হলেই নারী-পুরুষ কারিগররা বুনতে বসতো তাঁত শাড়ি, গামছা এবং লুঙ্গি। এই ৩ ধরনের কাপড় বুনতে দেখা যেতো তাদের। যে সময় পেশাটি রুটি রোজগারের একমাত্র অবলম্বন হওয়ায়। সময়ের ব্যবধানে পেছনে ফেলে আসা পুরনো স্মৃতি সেই তাঁত শিল্পের প্রতি ছিল তাদের বেশ মনোনিবেশ। দামও ছিল ক্রেতা সাধারণের নাগালের মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক শিল্পের সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে না পেরে এ শিল্পটি আজ অবলীলাক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কারিগররা জানান, এক সময় তাদের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো এই তাঁতশিল্প। যেটা দিয়ে তাদের সংসার খরচ মিটিয়ে ছেলে মেয়েদের পড়া--শুনার খরচ জুগিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে তাঁত শিল্পের কাজে দফায় দফায় লোসকানের মুখে এ পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সবাই। জীবন জীবিকার তাগিদে বেঁছে নিয়েছেন নানান ধরনের পেশা ।
তবে বাপ -দাদার এ পেশাকে আকড়ে ধরে রাখতে না পারলেও। স্মৃতি স্বরূপ এ শিল্পের সকল পরিত্যক্ত সরঞ্জামাদি বসত ঘরের চালে ঝুলিয়ে রাখার বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। তথ্যানুসন্ধানে, সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের মোঃ আরশাদ হোসেন জানান, এক সময় এই রাজনগর গ্রাম জুড়ে ছিলো তাঁতশিল্পের এক মহা উৎসব। কিন্ত সময়ের পালাবদলে আস্তে আস্তে গ্রাম থেকে এ তাঁতশিল্পটি একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এছাড়া বল্দিপাড়া,মোকন্দপুর,নগরঘাটা,পাচপাড়া। বাশদহ,পরানদাহ,ভাদিয়ালি,ঝাউডাঙ্গা,মাধবকাটি,চুপড়িয়া, ঘোনা,হাজিপুর,পাথরঘাটা,মুরালিকাটি,গোপিনাথপুর,মাহমুদপুুর,এছাড়া তালা উপজেলার হাজরপাড়া ,ভারসা,তৈলকুপি,যুগিপুকুরিয়া,বারাত, মীর্জাপুর এবং নলতা গ্রামে এই তাঁতশিল্পের ব্যাপক প্রচলন ছিলো। কিন্তু এখন আর আগের মত সেই ভাবে গ্রামে গ্রামে তাঁত শিল্পের ব্যাপকতা দেখা যায় না । তবে নলতার গামছা এক সময়ে ব্যাপক পরিচিতি ছিলো । কারিগররা জানান, বর্তমানে রং এবং শুঁতার মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ শিল্পের প্রতি পড়েছে চরম খড়গ। ফলে লাভের পরিবর্তে লোকসানের দিকটা ভারী হওয়ায় এ শিল্পের মূখ থুবড়ে পড়েছে। এছাড়া তিনি জানান গার্মেন্টস শিল্পের তৈরি পোশাক বাজারজাত করার কারণে এ শিল্পটির ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। একই গ্রামের মোঃ আব্দুল গনি জানান, তাঁত শিল্পের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে আমাদেরকে ২ বার লোন দেওয়া হয়েছিল। একবার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এবং দ্বিতীয় বার সাবেক প্রেসিডেন্ট এ,এইচ,এম এরশাদের শাসনামলে। সর্বোপরি বর্তমানে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হয়তোবা প্রাচীন ঐতিহ্য এ শিল্পটি নতুন করে দাঁড় করানো সম্ভব বলে ভুক্তভোগী এবং এলাকার সচেতন মহলের অভিমত।
এমএসএম / এমএসএম

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
