ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

নতুন সরকারের কাছে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের কি প্রত্যাশা?


মারসিফুল আলম রিমন, পবিপ্রবি  photo মারসিফুল আলম রিমন, পবিপ্রবি
প্রকাশিত: ১৯-১-২০২৪ দুপুর ৩:৩৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করল। নির্বাচনের আগে সরকার জনগণের কাছে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে পূরণ করার ওপরই নির্ভর করবে নতুন সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতা। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নতুন সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনা, কর্মসংস্থান বাড়ানো, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছে। একই সঙ্গে গণতন্ত্রচর্চার পরিধি বাড়ানো, বৈষম্য কমানোর কথাও বলা হয়েছে। দেশের জনসংখ্যার মোট এক তৃতীয়াংশই (প্রায় ৬ কোটি) তরুণ জনগোষ্ঠী। যারা আগামীতে নেতৃত্ব দেবে দেশের উন্নয়নে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কাছে তাই তরুণদেরও রয়েছে অনেক প্রত্যাশা। নতুন সরকারের কাছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) তরুণ শিক্ষার্থীদের কি প্রত্যাশা রয়েছে? সেটিই জানার চেষ্টা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারসিফুল আলম রিমন। 

 


তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি
 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আওয়ামীলীগ সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন ছিলো। তাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয় লাভ করা ছিলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক প্রবীণদের পাশাপাশি এবারের সংসদ সদস্যদের মধ্যে বয়সে অনেক তরুণরাও রয়েছেন। যারা নিজ মেধা ও নেতৃত্ববলেই নির্বাচিত হয়েছেন।বর্তমান মন্ত্রীসভায়ও দেখা গেছে নবীন প্রবীণের সংমিশ্রণ। আওয়ামীলীগ সরকারের এই মন্ত্রীসভায় অনেক নতুন মুখ থাকায় সাধারন জনগনের মতো তরুণরাও আশার নতুন আলো দেখছেন।

বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে মৌলিক ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যার ছাপ রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট। যোগাযোগব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা সহ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় বর্তমান সরকার বিভিন্ন মহলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ যে ১১ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার প্রণয়ন করেছে, তার মূল লক্ষ্য হলো- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যে ৪ টি বিষয়কে মূল ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো হলো ১.স্মার্ট সিটিজেন ২.স্মার্ট ইকোনমি ৩.স্মার্ট গভর্নমেন্ট ৪.স্মার্ট সোসাইটি। আমাদের জনগোষ্ঠীর বৃহদাংশই তরুণ ও যুবক। এদের বাদ দিয়ে কখনোই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। তরুণদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী কিংবা চাকুরি প্রত্যাশী। তরুণদের প্রথম ও প্রধান চাহিদা ই হলো প্রতিবন্ধকতামুক্ত শিক্ষা ও কর্মসংস্থান। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য এবং শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তথ্য প্রযুক্তি সেক্টর। একজন ছাত্র কিংবা তরুনের যোগ্য ও দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। বর্তমানে দেশের সরকারী, বেসরকারি প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার পরিলক্ষিত। এমতাবস্থায় নতুন সরকার তথ্য প্রযুক্তি সেকটরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সুযোগ সুবিধা প্রদান ও প্রণোদনা দিবে বলে তরুণ সমাজের প্রত্যাশা। তথ্য প্রযুক্তির জন্য কেউ যেনো ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।
বিগত দেড় দশকে শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হলেও কিছু বিষয়ে মোটাদাগে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।সরকারের বছরের শুরুরে বিনামূল্যে বই বিতরণ কিংবা মিড ডে মিল'র মতো কর্মসূচি নিঃসন্দেহে কার্যকরী পদক্ষেপ। বর্তমানে যিনি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনিও একজন তরুণ কর্মচঞ্চল মানুষ। তার কাছে তরুণ সমাজের প্রত্যাশা থাকবে, তিনি নকল মুক্ত পরীক্ষা ও পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের হার শূন্য শতাংশে নিয়ে আসবেন। এছাড়াও যুগোপযোগী কারিগরি শিক্ষা,গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ, টেকসই, আধুনিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে একটা বড় অংশই এখন বেকার। পড়ালেখা শেষ করে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও চাকুরি জুটছেনা অনেকের ভাগ্যে।বর্তমানে দেশে প্রায় ২৬ লক্ষ কর্মক্ষম বেকার রয়েছে।
শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রেখে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়কে আরও অগ্রগামী হয়ে কাজ করতে হবে।বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছেনা। বরং কিছু কিছু খাতে কর্মসংস্থান ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে। প্রবৃদ্ধি হলেও দেশে সেই হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছেনা। ফলে বেকারত্বের সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলছে।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তরুণ সমাজের উদাত্ত আহবান, যাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্যদের প্রাধান্য দিয়ে সম্পূর্ণ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মুক্ত নিয়োগ ব্যবস্থা কার্যকরী করা হয়।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও কর্মহীনতা অনেক ক্ষেত্রেই তরুণদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করে।এতে অনেক তরুনই বিপথগামী হয়ে পড়ে।যার ফলে তরুণদের মধ্যে মাদক গ্রহণের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়।
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে। খেলাধুলার ও সাংস্কৃতিক প্রসার ঘটাতে হবে এবং তাতে দেশের তরুন সমাজকে সংযুক্ত করতে হবে।

"তারুণ্যের শক্তি,বাংলাদেশের সমৃদ্ধি" এই স্লোগানকে ধারন করে শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আত্মকর্মসংস্থান ও তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে কাজ করতে হবে।
নতুন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার তড়িৎ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করবে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কৃতিম সংকট সৃষ্টি ও সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হয়।যেসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় সেইসব পণ্যেরও দাম বেশি।সরকারের দায়িত্ব হবে প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে, ভর্তুকি দিয়ে হলেও দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনা। তাহলে নতুন সরকারের প্রতি জনগনের আস্থা আরও বাড়বে।
মুদ্রাস্ফীতি রোধ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের আর্থিক খাতেও দ্রুত সংস্কার করতে হবে।
বর্তমান সরকারের বিগত শাসনামলে যোগাযোগব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হলেও  সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট বর্তমানে বাংলাদেশের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। অব্যবস্থাপনা, ফিটনেস বিহীন যানবাহনের অবাধ চলাচল, ফুটপাত দখল,চালকের অদক্ষতাই এক্ষেত্রে বহুলাংশে দায়ী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে।
সর্বোপরি আমরা চাই বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হউক।যেখানে থাকবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ,সুশাসন, ধর্মীয় সম্প্রীতি, ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা।

–মোঃ তাওহিদুল ইসলাম
মাস্টার্স শিক্ষার্থী, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, পবিপ্রবি

 

 


“বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হয়ে উঠবে গবেষণা ও মুক্ত চর্চার প্রাণকেন্দ্র”

 

প্রথমেই অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায়। তার সাহসী এবং দৃঢ় নেতৃত্ব দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলে যে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে পটুয়াখালী তার অন্যতম। রাজধানী ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালের ক্লাস করা যাচ্ছে, এটা স্বপ্নের মতো বিষয়।২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নয়নে যে সব পদক্ষেপ জনগণের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা খাতে ঐতিহাসিক সংস্কার ও যুগান্তকারী পরিবর্তন উল্লে­খযোগ্য। বর্তমান সরকারের সাফল্য আকাশচুম্বীনতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপিত মুক্তবুদ্ধির পরিচর্যা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে বিদ্যাচর্চার নিরাপদ কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত ও ঝরে পড়া মানুষের মাঝে শিক্ষাদানের সুয়োগ সৃষ্টি ও বিশেষভাবে কর্মজীবীদের দক্ষতা এবং তাদের উচ্চ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করাই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য।  মুক্ত চিন্তার চর্চা, নিরাসক্তভাবে সত্যের অনুসন্ধানের মাধ্যমে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য। এসব লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিদ্যাপীঠে পরিণত করতে সহায়ক হবে।

–তুহিন রায়হান, 
মাস্টার্স শিক্ষার্থী, কৃষি বনায়ন বিভাগ, পবিপ্রবি

 

 

রোবটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে তৈরী হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ

 

আমি শুরুতেই 'স্মার্ট বাংলাদেশের' যাত্রায় নব সজ্জায় শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রধান মৌলিক অধিকার নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল করার প্রত্যাশা করছি। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন ও মুখস্ত বিদ্যার পরিবর্তে গঠনমূলক ভাবে প্রয়োজনের নিরিখে সরকার যে উদ্যো নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে চিকিৎসা সহ নানান ক্ষেত্রে রোবটিক্স এর ব্যবহার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়াতে হবে বলে মনে করি। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের যে ফারাক রয়েছে সেটি সমাধানে সরকারের সাম্প্রতিক উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের যে ধারা তৈরি হয়েছে সেটি অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা রাখি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে অনেকটা এগিয়ে গেলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সেটি আরো দৃঢ় ও উন্নয়নমুখী হবে বলে বিশ্বাস রাখি।  

সরকার দেশব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়ন সাধন করলেও সময়সাপেক্ষ হওয়ায়  আমরা এখনো অর্থনৈতিকভাবে পরিপূর্ণ লাভবান হতে পারিনি, কিন্তু যা বর্তমান সরকারের সময়ে পুরোপুরিভাবে উন্নয়নমুখী আয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের রপ্তানি পণ্যগুলো কৃষকের ও  দিনমজুরের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং বেশকিছু আমদানি পন্য দেশে উৎপাদনই অর্থনৈতির চাকাকে আরও সুগম করবে। তাছাড়া বর্তমান সময়ের বৈশ্বিক ডলার সংকটে সরকার রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পাঠানো অর্থের প্রক্রিয়ার প্রতি সহজতর উপায় তৈরি এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশী প্রবাসীদের নির্যাতিত ও নিপীড়িত হওয়ার ব্যপারে হাইকমিশন ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি। পরিশেষে,
বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে নব দীপ্তি প্রজন্মের কাছে ছড়িয়েছে তা যুগ যুগ দিগন্তজুড়ে বিস্তৃত হবে বলে প্রত্যাশা রাখছি। 

–মোঃ রাকিবুল ইসলাম রোমিও 
মাস্টার্স শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পবিপ্রবি।

এমএসএম / এমএসএম