সাতকানিয়া হাসপাতাল কোয়ার্টারের ভাড়া যায় কার পকেটে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ১৫টি সরকারি কোয়ার্টার থাকেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংশ্লিষ্ট নানান পদের কর্মকর্তা ও তৃতীয় শ্রেনী বা চতুর্থ শ্রেণীর বিভিন্ন কর্মচারীরা।
সূত্র বলছে,বিধি মোতাবেক সরকারি কোয়ার্টারে থাকলে দিতে হয় নির্দিষ্ট ভাড়া।আর ওই ভাড়ার টাকা কর্তন করা হয় সংশ্লিষ্টদের বেতন থেকে, তৎমধ্যে কারোটা হয় বেতন থেকে সরাসরি অনলাইনে আর কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীদেরটা হয় ম্যানুয়ালি।
তবে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেন যে, অনলাইনে হোক কিংবা ম্যানুয়ালী হোক টাকা যাবে ব্যাংক চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে,কিন্তু সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা ১৫টি কোয়ার্টারের ভাড়া ডাক্তার মামুনের নির্দেশনা মোতাবেক বিগত ২বছর ধরে কর্মকর্তা কর্মচারীরা পরিশোধ করেন সরাসরি ক্যাশে।আর ওই ক্যাশ টাকা উত্তোলন করেন একই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার আব্দুল মান্নান এবং হিসাব রক্ষক মো: আজাদ নামে ২কর্মচারী।
তারা ১৫টি বাসার মধ্যে প্রতিমাসে স্টাফদের থেকে ভাড়া বাবদ নেয় মোট ৩৭০০০ থেকে ৪০হাজার টাকা। তৎমধ্যে উন্নতমানের চারটি কোয়ার্টার থেকে নেয়া হয় ২০হাজার টাকা, অপরদিকে মাঝারি মানের চারটা থেকে নেয়া হয় ২৫০০(পঁচিশ শত)টাকা করে ১০,০০০,এবং দুই কোয়াটার থেকে নেয়া হয় ২হাজার টাকা করে ৪০০০টাকা।
অপর ২টি থেকে নেয়া হয় মাত্র ১হাজার করে শুধু ২হাজার টাকা,সর্বশেষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভাষানু্যায়ী পরিত্যক্ত ৩টি কোয়াটার থেকে নেয়া হয় ৩হাজার টাকা, মোট ১৫টি কোয়াটার থেকে আয় হয় ৩৭হাজার থেকে ৪০হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,এখন যারা ভাড়া পরিশোধ করেন তাদের অনেকের হিসাব মতে ওই টাকা দুই বছর থেকে তারা সরাসরি হাতে পেমেন্ট করলেও পায়না কোন ধরনের রিসিভ কিংবা ভাউচার।
এবং তাদের সন্দেহ এই টাকা কি আসলে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা?নাকি কোয়ার্টার ভাড়ার টাকা নয়ছয় হচ্ছে সেটাও।এদিকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন সকালের সময়কে বলেন, তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর কোয়ার্টার ভাড়াগুলি অনলাইনে পরিশোধ করার সুযোগ নেই, সেগুলি পরিশোধ করা হয় ম্যানুয়ালি।
তবে আমারটা পরিশোধ করা হয় অনলাইনে, আর এখানে যারা কোয়াটার ভাড়া দেন সেগুলি সরাসরি তারা উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা অনুপ কুমার চৌধুরীকেই বিল আকারে জমা দেন।
এবং এই ভাড়া ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়না।এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টার ভাড়ার বিল গত দুই বছরে একবারের জন্য হলেও উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট জমা দেয়া হয়েছে এটার কোন অফিস কপি কিংবা ব্যাংকে ম্যানুয়ালি জমা হয়েছে, এরকম কোন চালান আছে কিনা? জানতে চাওয়া হলে ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন -এটা তারা হাতে হাতে দিয়ে দেয় তো তাই আমরা অফিসে তার তেমন কোন ডকুমেন্টস রাখিনা, তবে সব ডকুমেন্টস থাকবে উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা জনাব অনুপ কুমার চৌধুরীর কাছে।
এদিকে সাতকানিয়া উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা অনুপ কুমার চৌধুরী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয়ের কোয়াটার ভাড়ার বিল বাবদ আলাদা খাতের কোন কাগজপত্র আমার চোখে পড়েনি তবে বিষয়টা সামনে এখন আমি নজরে রাখব।তিনি আরো বলেন এগুলি মনে হয় এখন সরাসরি ওরা অনলাইনে জমা করে দেয়, আগে শুধু সোনালী ব্যাংকে নেয়া হত এখন তফসিলভুক্ত যে কোন ব্যাংকে দেয়া যায় তাই ম্যানুয়ালি দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
তারপরেও যেদিকে দিবে দিক সমস্যা নেই, ওদের(হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের) কাছে চালান থাকবে ওই চালানের নাম্বার আমাকে দিলে আমি মিলিয়ে নিতে পারব।আসলেই সরকারি কোষাগারে টাকাগুলি জমা হলো কি নাকি হলোনা বিষয়টা। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে প্রতিবেদককে ভাড়া পরিশোধ করা একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা নগদে কোয়ার্টার ভাড়া পরিশোধ করেন বলে নিশ্চিত করলেও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন -নগদে কোন টাকা গ্রহণ করা হয় না বলে জানান।
তবে তাদের কোয়ার্টারের ভাড়া সরকারি কোষাগারে (অনলাইন নাকি ম্যানুয়ালি) কোন সিষ্টেমে জমা হয় তার কোন সদুত্তর কিংবা নথিপত্র তিনি দিতে পারেননি।
এবং তার বক্তব্যের সাথে সাতকানিয়া উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার কার্যালয়ের নথিপত্রের সাথে বিন্দু মাত্রও মিল পাওয়া যায়নি। এদিকে সাতকানিয়া উপজেলার একাধিক সচেতন বাসিন্দা ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কোয়ার্টারের থাকা কর্মচারীরা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তারা প্রতিমাসে সাইত্রিশ হাজার টাকা করে দিয়ে আসছেন।
সেই হিসাবে ২০২২সালের মে মাসে যোগদান করা করা সাতকানিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাড়া বাবদ নগদে গ্রহণ করেছেন প্রতি বছর ৪লক্ষ ৪৪হাজার করে গত দুই বছরে মোট ৮লক্ষ ৮৮হাজার টাকা।
ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্যনু্যায়ী,এতগুলি টাকা কিভাবে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে সেটার কোন অফিস কপি সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংরক্ষিত নেই। অপরদিকে উপজেলা হিসাব রক্ষন কার্যালয়েও তার কোন হিসাব খুঁজে পায়নি প্রতিবেদক।
সূত্র বলেছে- উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন তার কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার আব্দুল মান্নান এবং আজাদ নামে তার(ডা:মামুন)বিশ্বস্ত দুই কর্মচারীকে দিয়ে এই টাকা প্রতিমাসে উত্তোলন করিয়ে ভাগভাটোয়ারা করেন।আর সেই হিসাবে দুই বছরের ভাগবাটোয়ারার অংকের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯লক্ষ টাকা!
তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে- কিভাবে এত বড় অংকের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হলো কি হলোনা, তার কোন দলিলপত্র এতবড় ৫০শয্যার বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানের জানা নেই।
এমএসএম / এমএসএম

ধলেশ্বরীর মাটি দিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট, উঠছে প্রশ্ন”

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আয়োজনে সুনামগঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার জয়কুমোর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ঝুলছে তালা

তাড়াশে মাঠ কৃষকদের জন্য পুনর্জননশীল কৃষির উপর কনক্লেব কাম কারিগরি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পায়রা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় মোবাইল মেকানিকের লাশ উদ্ধার

গোদাগাড়ীতে ৩০০ গ্রাম হেরোইনসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

লাকসামে ইউএনও কাউছার হামিদের বদলী আদেশ প্রত্যাহার কারণে মানববন্ধন

সদর দক্ষিণের জনগণ আমার পাশে আছে, কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না: হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন

সাঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রায়গঞ্জে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেতৃত্ব দিলেন পৌর প্রশাসক মাসুদ রানা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর আসিফ আব্দুল্লাহ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে বিজয়ী

টাঙ্গাইলে কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা
