ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

মুরগী-ডিমের দাম বাড়ায় খুশি বিক্রেতা বেকায়দায় ক্রেতা


এম,এম হায়দার আলী, তালা photo এম,এম হায়দার আলী, তালা
প্রকাশিত: ৫-২-২০২৪ দুপুর ১:৫৪

সাতক্ষীরায় তালায় খামারে উৎপাদিত মুরগী ও ডিমের দাম বর্তমানে বেশি পাওয়ায়। এখানকার কয়েক হাজার পোল্ট্রি মুরগী খামার মালিকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। যা গত কয়েক বছর আগেও চরম ক্ষতির মুখে বহু খামার  বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ব্যয়বহুল খরচে নির্মিত ওইসব পরিত্যক্ত খামারগুলো গরু-ছাগল পালনের ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে সম্প্রতি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এই অঞ্চলের পোল্ট্রি মুরগী শিল্প। ফলে লাভবান কর্মসংস্থান বিবেচনায় অতি আগ্রহের সাথে বাড়ছে নতুন নতুন খামারের সংখ্যা। এসব খামারে উৎপাদিত মুরগী ও ডিম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে। সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। খামারিরা বলছেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশ কিছু দিন যাবৎ  মরগী ও ডিমের ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে। অন্য এদিকে ডিম ও মুরগীর দাম বেড়ে যাওয়া ভোক্তা সাধারনের পড়েছেন দারুণ  বেকায়দায়।   সাধারণ  স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তালা উপজেলা সহ জেলার সাতটি উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা উৎপাদনমুখী বিভিন্ন জাতের মরগীর খামার রয়েছে ৩ হাজার ৭শত ৯৫টি। এর মধ্যে ব্রয়লার ১ হাজার ৪শত ২৮, সোনালি ১ হাজার ৩শত ৯৯ এবং লেয়ার ৯শত ৬৮টি। এর মধ্যে নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ৭শত ২৬টি। আর নিবন্ধন ছাড়া খামার পরিচালনা হচ্ছে ৩ হাজার ৬৯টা। এলাকার ডিম উৎপাদনকারী (লেয়ার) খামার মেসার্স লক্ষ্মী এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী অরবিন্দ কুমার সরকার জানান, বর্তমানে আমার খামারে প্রায় ১২ হাজার মুরগি রয়েছে। এর মধ্যে ৮০--৮৫ শতাংশ মুরগি ডিম দিচ্ছে। কয়েক বছর লোকসানের পর সম্প্রতি সময়ে খামারে লাভ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে মুরগি ও ডিমের দাম বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে।প্রতিটি ডিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত। মুরগি, খাদ্য, ওষুধ ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বছরে ১০-১২ লাখ টাকা তার খরচ হচ্ছে। বর্তমান সময়ে এসব খরচ উঠে ভাল লাভ হচ্ছে। তবে বাজারে ডিম ও মুরগির এমন দাম থাকলে পোল্ট্রি  শিল্প আরো সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে  পোল্ট্রি খামার করেছি। বর্তমানে খামারে ছয় হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। ৪০-৪৫ দিন পর পর ছয়-সাত হাজার মুরগি বিক্রি করছি। বাজারে মুরগির যে দাম তা খামারিরা সঠিক ভাবে পান না। অসম প্রতিযোগিতার কারণে ভালো লাভ করতে পারেন না এখনকার খামারিরা। বাজারে মুরগি বিক্রি হয় ২০০ টাকা কেজি দরে। সেখানে খামারিরা পান ১৫০-১৫৫ টাকা। জেলার বাইরের পাইকাররা এসব মুরগি কিনে নিয়ে যান। তারা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মুরগি ক্রয় করেন। অনেকটা খামারিদের জিম্মি করার মতো। বাইরের এসব ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার ফলে মুরগির দাম বাড়লেও তার সুফল পাচ্ছেন না খামারিরা।
অন্যদিকে পোলট্রি খাদ্যের দামও বেড়েছে। জেলায় যেসব পোল্ট্রি  খামার রয়েছে সেগুলো টিকিয়ে রাখতে সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ ও খাদ্যের দাম নির্ধারণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। যে খাদ্য দুই-তিন বছর আগে ৪২-৪৫ টাকা কেজি ছিল, তা এখন ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।’
ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ী জহুরুল হক বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সব ধরনের মুরগির দাম বেশি। গত বছর এই সময়ে যে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এছাড়া ২১০ টাকার সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহে তিন-চার হাজার কেজি মুরগি বিক্রি করছি। গতকাল তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারের মুরগি ক্রেতা শেখ মঞ্জুর হাসান চঞ্চল জানান, কিছু  দিন আগের ১১০ টাকার আস্ত পোল্ট্রি মুরগী এখন প্রায ২০০ টাকা কেজি দরে কিনলাম। আর অন্য মুরগী বা গরুর মাংসের দামের কথা বলেও লাভ কি। জিনিসপত্রের যা দাম তাতে করে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এদিকে তথ্য সংগ্রহ কালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যবয়সী আরেক  ক্রেতা  জানান, বাজারে তেলাপিয়া মাছ ও পোল্ট্রি মুরগী আছে বলেই এখনো আত্মীয়তা টিকে আছে। বর্তমানে ১ মণ ধানের দামে  ১কেজি ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে।  এবং জবাইকৃত পোল্ট্রি মুরগীর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। সাধারণ গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে এসব জিনিসের দাম কমানো উচিত। আর এ ধরনের অভিযোগ বহু ক্রেতা সাধারণের বলে জানা যায়। জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডাক্তার এস.এম মাহবুর রহমান জাতীয় দৈনিক সকালের সময়কে জানান , জেলায় তিন হাজারের অধিক  পোল্ট্রি  খামারে মুরগি ও ডিম উৎপাদন হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব মুরগী ও ডিম সরবরাহ হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। উৎপাদন বাড়াতে জেলার খামারিদের সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া মুরগীর ভ্যাকসিন ও অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানকার পোল্ট্রি  খামারের সঙ্গে সরাসরি লক্ষাধিক মানুষ জড়িত।  বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তারা এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ শিল্প আরো সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। 

এমএসএম / এমএসএম

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম

নেত্রকোনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ বশির