শিবচর থেকে স্বাচ্ছন্দে ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছে যাত্রিরা
পদ্মাসেতুতে ট্রেন চালু হওয়ার পর দিন দিন শিবচর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াত বাড়ছে। জেলার শিবচর এবং পদ্মা স্টেশন থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের অনেক সময়ই টিকিট থাকে না। আসন তুলনায় যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকে বলে জানা গেছে। আরামদায়ক ভ্রমন এবং যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকা পৌছানো যায়। মূলত এসব কারণেই দিন দিন যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে।
যাত্রীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে,খুব বেশি তাড়াহুড়া না থাকলে শিবচর থেকে ঢাকা যাওয়ার ক্ষেত্রে ইদানিং ট্রেনেই যাতায়াত করেন এই এলাকার মানুষ। আবার ঢাকা থেকে ফেরার ক্ষেত্রেও ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন শিবচর ও আশেপাশের এলাকার যাত্রীরা।
অপর যাত্রী সুমাইয়া আক্তার নামের এক নারী বলেন,'বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত। বাচ্চাদের নিয়ে সহজেই যাতায়াত করা যায় ট্রেনে। এজন্য ঢাকা যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে এখন ট্রেনেই চড়ি। বাসে খুব একটা যাওয়া হয় না।'
পদ্মা স্টেশনে আসা ঢাকাগামী যাত্রীরা বলেন,'ট্রেন চালুর পর শিবচরের যাত্রীদের বড় একটি অংশ এখন ট্রেনে ঢাকা যাওয়া-আসা করে। বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক লোকজন, নারী-শিশু নিয়ে বেশির ভাগ যাত্রীরা ট্রেনে চলাচল করে থাকে। অনেক সময় টিকিট পাওয়া যায় না। যাত্রীদের চাপ বাড়ছেই। তাছাড়া ভাড়ী মালামাল বহনের ক্ষেত্রে ট্রেনে সহজেই আনা-নেয়া করা যায়। সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি এই এলাকার ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেন যাতায়াতকে সহজ করে দিয়েছে।'
পদ্মা স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৮ টা ৪৪ মিনিটে নকশীকাঁথা কমিউটার এবং দুপুর ১২ টা ৫৬ মিনিটে আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন শিবচরের পদ্মা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ থাকে। শিবচর স্টেশন এবং পদ্মা স্টেশন থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনে চড়ে থাকে। প্রতিদিনই ঢাকাগামী যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে ট্রেনে। শিবচর ও আশেপাশের যাত্রীরাই এই স্টেশন থেকে ঢাকা যাতায়াত করেন।
পদ্মা স্টেশনের পয়েন্ট অপারেটর মোঃ টুটুল বলেন, পদ্মা স্টেশন থেকে আমরা অনেক সময়ই যাত্রীদের আসন দিতে পারি না। যাত্রীদের চাপ সব সময়ই বেশি থাকে।'
এমএসএম / এমএসএম