অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একই রাতে ৪টি বাড়িতে ডাকাতি, আসামি ধরার জন্য তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একই রাতে চারটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে। তাদের মারধরে আহত হয়েছেন দুই গৃহবধূ।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) আহত গৃহবধূদের সাথে কথা বললে তারা ঘটে যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে পরিস্কার করেন।
জানা যায়, গত পরসু রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর হাতিয়ারকুল কুদ্দুস সওদাগর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। সোমবার বিকেল ৪টা নাগাদ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল কাদের চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে মুখোশ ও হাফপ্যান্ট পরে ২৫-৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল প্রথমে আব্দুল জব্বারের বাড়িতে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। সেখানে ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৩০ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় হাজার সৌদি রিয়াল, ৫টি মোবাইল ফোন সেট ও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে পর্যায়ক্রমে পাশের মৃত খায়ের আহমদ, নুর আহমদ ও মৃত আলী আহমদের ঘরে একই কায়দায় প্রবেশ করে তিনটি মোবাইল ফোন, প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার, প্রায় এক লাখ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ছয় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নুর আহমদের ছেলে সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বেবি আক্তার বলেন, প্রথমে দরজা ভেঙ্গে ৭-৮ জনের ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে আমাকে ও ঘরের অন্যান্য সদস্যদের জিম্মি করে। আমার যা আছে তা দিয়ে দিতে বলে। এতে আমি গড়িমসি করলে লোহার খুন্তি দিয়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে কানে থাকা দুল ও শরীরে থাকা অন্যান্য স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। আলমারিতে থাকা প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও ২৬ হাজার টাকা দিয়ে নতুন কেনা হাতে থাকা একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে গেছে। কানের দুল নেয়ার সময় ডান কানের লতি পুরো এবং বাম কানের লতির প্রায় অংশ ছিড়ে গেছে।
নুর আহমদের আরেক ছেলে ও ঢাকায় জুতার কারখানায় কর্মরত মো. জাফর আলম বলেন, রাত চারটার দিকে আমার স্ত্রী নাজমা আক্তার আমাকে মোবাইল ফোনে ঘরে ডাকাত প্রবেশের বিষয়টি জানায়। আমার স্ত্রী মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা দিতে দেরি করলে ডাকাত দল আমার বড় মেয়েকে পা দিয়ে চেপে ধরে এবং ছোট ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ও টাকা দিতে বাধ্য করে।
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল মুন্নাফ বলেন, ডাকাতির ঘটনাটি সত্য,আমি নিজে গেলাম,অপরাপর অফিসাররাও গেল,আসামি ধরতে কাজ করছে পুলিশ।
তবে ভুক্তভোগীরা মামলা করলে সুবিধা হয়।মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম