ফলের দাম আকাশচুম্বী, শুনে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতা
ফলের দোকানে ক্রেতা আসছেন, তবে কিনছেন না। কেউ কেউ দরদাম করছেন আর কেউ কেউ দাম শুনে কিছু না বলে চলে যাচ্ছেন। রোজার দ্বিতীয় দিনে (১৩ মার্চ)শিবচরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ ফলের দোকান ফাঁকা,
ইফতারের জন্য খেজুরসহ নানা ধরনের ফল কিনতে ফলের দোকানে ভিড় দেখা গেছে ক্রেতাদের। হাতের নাগালে ফল থাকলেও ফলের দাম নাগালের বাইরে! ফলে দোকানে ভিড় থাকলেও না কিনেই ফিরে যেতে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্রেতাদের। একই সাথে দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। বুধবার (১৩ মার্চ) মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা গেছে এই চিত্র।
ক্রেতারা জানান,'খেজুরের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। নরম কম দামের খেজুরও আজ ২ শত টাকার উপর। অন্য সময়ে যে খেজুর সাড়ে ৩ থেকে ৪ শত টাকা বিক্রি হতো, ওই খেজুরের দাম হাজার টাকা। তাও ভালো মানের খেজুর মনে হচ্ছে না। তাছাড়া অন্যান্য সকল ফলের দামই বেশি। ইফতারের জন্য ফল কিনতে এসে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে।'
শিবচর পৌর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, খেজুর, মাল্টা, আঙুর আর তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া। এছাড়াও হঠাৎ করেই বেড়েছে লেবুর দামও। রমজান উপলক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা রকম সব্জির দামও বেড়েছে কিছুটা। রকম ভেদে বেগুনে বেড়েছে ২০/২৩ টাকা বেশি।
সবজি বিক্রেতারা জানান,'সবজির দাম খুব একটা বাড়েনি। তবে বেগুনের দাম কিছুটা বেড়েছে। রমজানে ইফতারে বেগুনির চাহিদা থাকায় বাজারে বেগুনের দাম একটু বেড়েছে। এছাড়া লেবুর দামও বেশি। এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।'
ঔষধ দোকানী সুমন মোল্লা নামে এক ক্রেতা বলেন,'তরমুজের কেজি ৮০ টাকা করে। আর খেজুর তো কেনাই যাচ্ছে না। নিন্মমানের খেজুরের দাও চড়া। আগে ৪/৫ শত টাকায় যে খেজুর কিনতাম, আজ বাজারে ১২ শত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খেজুর না কিনেই ফিরতে হয়েছে।'
নাহিদ নামের এক ক্রেতা বলেন,'ইফতার সব সময় খেজুর খাই। এক পিচ করে হলেও ইফতারে খেজর থাকে। এ বছর দাম অনেক বেশি।
৬৫০ টাকা দিয়ে আধা কেজি খেজুর কিনেছি মাত্র।'
ক্রেতারা আরও জানান,'রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুরই দাম বেড়েছে। তবে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ফলের দাম অনেক বেশি। ইফতারে ছোলা, চপ, পিঁয়াজুর পাশাপাশি আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুরসহ নানা রকম ফল থাকতো আগে। এ বছর অনেক কিছুই বাদ যাচ্ছে। খেজুর তো কেনাই যাচ্ছে না। বাজারে ফলের দোকানে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে।'
এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে বলে জানান ফল বিক্রেতারা। বলেন,'ফলের দোকানে ক্রেতারা ভিড় করলেও বিক্রি কম। দাম বেশি থাকায় এক কেজির পরিবর্তে আধা কেজি, অনেকে আড়াইশ গ্রাম করে ফল কিনছেন। অনেকে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।'
এদিকে রমজানের কয়েক দিন পার হলেই হয়তো দাম কিছুটা কমবে এমন আশায় বুধবার অনেক ক্রেতাকেই খেজুরসহ অন্যান্য ফল না কিনেই ফিরে যেতে দেখা গেছে। ক্রেতাদের আশা, দাম সহনীয় পর্যায়ে আসুক। তা না হলে এবারের ইফতারে বাহারি আয়োজন থেকে বাদ পড়বে অনেক কিছুই।
এমএসএম / এমএসএম