মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তার জন্য চরম দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার আখিলা গ্রাম মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু পযর্ন্ত কাদা হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় হাজার হাজার মানুষকে। ২০০০ সালের পর পাঁচ সংসদ সদস্য বদল হলেও বদল হয়নি আখিলা গ্রামের মানুষের ভাগ্য, যেন দেখার কেউ নেই।
নাচোল উপজেলার বরেন্দ্র ভুমির এই গ্রামটিকে দেখে মন হয় অভিশাপ্ত একটি গ্রাম। নাচোল উপজেলার আখিলা গ্রাম যাওয়ার কোনো রাস্তাই নয়, বর্ষা-বদলের দিনে এ যেন আবাদি জমি। এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান-সবজি তুলে নিয়ে আসেন কৃষকরা। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু কাদার সৃষ্টি হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সকল যান চলাচল। ফলে কৃষকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময় কাদা থাকায় রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় কোনো কাজে আসে না।
বরই চাষি মো. সাব্বির, সবজি চাষি মো. নূর আলম, মাছ চাষি আব্দুর রাজ্জাক, ধান চাষি মো. হাবিবুর ও পেয়ারা এবং আম চাষি আলতাফ আলী বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই মাত্র ২ কিলোমিটার রাস্তায় এক হাঁটু কাদা হয়ে যায়। এ কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান-সবজিসহ অন্যান্য ফসল তুলে নিয়ে আসতে চরম বিপদের মুখে পড়তে হয়। রাস্তাটিতে মাঝেমধ্যে লাখ লাখ টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মাটি ভরাট করেন। মাটি ভরাট করে আরো কাদার সৃষ্টি হয় এতে সরকারের টাকা খরচ করে মানুষের কোনো লাভ হয় না বরং ক্ষতি হচ্ছে। তাই রাস্তাটি পাকা করলে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল সহজেই তুলে নিয়ে আসা যাবে। এ স্থানে অতি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল, প্রায় ৪০০টি ঘর বাড়ি রয়েছে গ্রামটিতে এবং ৩ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করে।
এদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যাওয়ার রাস্তাটি বহুদিন থেকে অবহেলায় পড়ে আছে। সরকারিভাবে পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে জ্ঞান পিপাসুরা জ্ঞান আহরণ করতে গেলে রাস্তার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণ হলে কৃষক ও জ্ঞান পিপাসুসহ সকল মানুষের জন্য ভালো হবে।
কসবা ইউনিয়ন পরিষদের বতর্মান ওয়ার্ড সদস্য মো. ফজলুর রহমান জানান, হাট-বাজার, স্কুল কলেজ, ডাক্তারের কাছে নিত্যদিনের আড়াই কিঃমিটার কাঁচা রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া এর আশে পাশে রয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। অল্প বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাটি কাদা হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা তাদের ফসল তুলতে দুর্ভোগে পড়েন। ফলে তিনি রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন।
কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান জানান, আখিলা মোড় থেকে বেড়াচৌকি সমাজকল্যাণ এই আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটি পাকা না হওয়ার কারণে কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল তুলতে কষ্ট হয়। এদিকে ঐতিহাসিক গরুর হাট সোনাচণ্ডী যাওয়ার সোজাসুজি রাস্তা থেকে বঞ্চিত শত শত মানুষ। ফলে রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি এবং আমার জানামতে দেড় কিলোমিটার রাস্তাটির বাজেট পাস হয়ে আছে। শুধু টেন্ডার বাকি আর টেন্ডার হয়ে গেলেই রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ মাত্র সময়ের ব্যাপার।
এমএসএম / জামান
চুরি করে আনা প্রাইভেট কারে ছিল বিপুল পরিমান মাদক
বিগত সরকারের শাসনামলের ১৫ বছর আতঙ্কের ভিতর কাটিয়েছিঃ অভি
ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা খোকন গ্রেফতার
মেডিক্যাল চান্স পাওয়া পাবনার শিক্ষার্থী মেঘলার সব দায়িত্ব নিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক
উলিপুরে নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
গলাচিপায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
মান্দায় ভারতীয় জাল রুপিসহ আ.লীগ নেতা আটক
সিলেটে ২ দিনে ১ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
চন্দনাইশে আটককৃত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ভুরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসায় ভোগান্তি বন্ধে মানব বন্ধন
আপনারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে না পারলে, যারা পারবে তাদের পথ সুগম করেন: দুদু
খানসামায় নদীর বালু হরিলুট করছে ইউপি সদস্য
Link Copied