পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে সাবেক এমপি নদভীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী ও তার ভাতিজা সাতকানিয়ার মাদার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ন.ম. সেলিমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মাদার্শা ও এওচিয়া ইউনিয়ন এবং সাতকানিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে শতাধিক ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বহন করেন। একই সঙ্গে বক্তারা সাবেক এমপি নদভী এবং তার পরিবারের অপকর্ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচার দাবি করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাবেক এমপি নদভী ও তার ভাতিজা আ.ন.ম. সেলিম দেওদীঘি বাজারকে মাদকের ট্রানজিট পয়েন্টে রূপান্তর করেছেন। তারা সরকারি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে অনিয়ম করেছেন। নদভীর পরিবার দেওদীঘি বাজারে নিজেদের জবাই করা গরু ছাড়া অন্যের মাংস বিক্রি করতে বাধা দিয়েছেন।
নদভী ও চেয়ারম্যান সেলিম ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির ইটভাটা দখল, হাসপাতাল নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা দখল, সরকারি বনের অবৈধভাবে গাছ কাটা, মাদার্শা স্লুইচ গেইট সংলগ্ন সেচ প্রকল্প দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িত। তাই চাঁদাবাজ নদভী পরিবারের অপকর্মের বিচারসহ ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত চেয়ারম্যান সেলিমের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ কামাল বলেন, আমি ইটের ব্যবসা করি। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান সেলিমের কাছ থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ব্যবসা বাবদ ১৬ লাখের বেশি টাকা পাওনা ছিলাম। অনেক কষ্টে ৮ লাখ টাকা আদায় করেছি। টাকা খুঁজতে গিয়ে ইয়াবা, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ ও ছুরিকাঘাতের মামলা খেয়েছি। শুধু তাই নয়, সারা জীবন যে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এলাকায় টিকে রয়েছি, সেই জামায়াত-শিবিরের ভাঙচুর মামলাসহ আটটি মামলার আসামি হয়েছি। বর্তমানে ছয়টি মামলায় খালাস পেয়েছি। আরও দুইটি মামলা চলমান রয়েছে।
অপর ভুক্তভোগী ও বালু ব্যবসায়ী মো. এরফান বলেন, মেম্বার নুরু, পলাশ, রফিক, তরিক ও চেয়ারম্যান সেলিম মিলে আমার একটি স্ক্যাভেটর পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া, আমার মালিকানাধীন একটি ট্রাকে অবৈধ গাছ তুলে দিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা আদায় করে।
ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নলকূপ বসানোর কাজ করতে গিয়ে সাবেক এমপি নদভী ও তার ভাতিজা চেয়ারম্যান সেলিমের কাছ থেকে ১৮ লাখের বেশি টাকা পাওনা রয়েছি। টাকা খুঁজলে মামলা দেওয়ার ভয় দেখানো হতো।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহায়তা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে ভুক্তভোগী অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাতকানিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মো. রিদুয়ানুল হক, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদ, কামাল উদ্দীন, মো. নাছির উদ্দীন, মাদার্শার সাবেক ইউপি সদস্য সামশুল আলম ও মফিজ উদ্দীন।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নদভীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব। তিনি পেয়েছেলেন ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নদভী পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ১৫২ ভোট।
এমএসএম / এমএসএম

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কাজ শেষে না করেই লাশ হলো দুই বন্ধু, ট্রাকের ধাক্কায় দুই তরুণের মৃত্যুতে চলছে শোক

ঠাকুরগাওয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মানোন্নয়নে ইন্টারফেইজ সভা
