দেশের নাগরিকের চাহিদার সাথে সাথে কারিকুলামও পরিবর্তন হতে পারেঃ প্রফেসর সৈঃ জাফর আলী
'শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড' এ কথা সচেতন মহল সকলের জানা। তবে সেটি প্রকৃত মানসম্মত জীবন গঠনে প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হলেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে। মানুষ যুগে যুগে সভ্যতার ছোঁয়া পেয়ে আসছে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।
পুর্বের শিক্ষার মান এবং বর্তমান নতুন কারিকুলাম সম্বলিত শিক্ষার মান নিয়ে কথা হচ্ছিল বর্তমান মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী এর সহিত এবং সামনে ঈদ উল ফিতর এর আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে সোজা সাপ্টা প্রশ্নের উত্তর দিতে দৈনিক সকালের সময়ের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে উত্তর দিলেন এই উর্ধত্বন শিক্ষা কর্মকর্তা।
দৈঃ সঃ সঃ বর্তমান মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন কারিকুলাম বিষয়ে আপনি কি পরিস্হিতি অনুভব করছেন? প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলীঃ সরকার শিক্ষাকে বাস্তব, যুগোপযোগী এবং বিশ্বের উন্নতশীল দেশের সহিত তাল মিলিয়ে শিক্ষাকে বাস্তব জীবনের প্রয়োজন অনুভবের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নতুন কিছু করতে গেলে কিছু সমস্যা আসবে আমরা সেই সমস্যাগুলো বের করে সমধানেরও পথও খুঁজছি । নতুন কারিকুলাম নিয়ে তিনি নতুন কারিকুলামরর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক মন্ডলী, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন,নতুন কারিকুলাম নিয়ে কিছু সমস্যা থাকবে সেগুলো কাটিয়ে একটি শুদ্ধ কারিকুলাম প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নের সকল চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন। কারন সমস্যা বের করে একটি আধুনিক কারিকুলাম করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সচেতন।
দৈঃ সঃ সঃ এই পদ্ধতি কি ছেলেমেয়ের জন্য সহজসাধ্য, বাস্তব উপযোগী এবং কতদিন লাগবে সহজে গ্রহনযোগ্যতা ফিরে আনতে
প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলীঃ এই কারিকুলাম প্রনয়ন করে 'MCT' তারা এই কারিকুলাম প্রনয়নের মুল এজেন্সি তবে কারিকুলাম সবসময় পরিবর্তন হতে পারে। কারন এটি নির্ভর করে আমরা আমাদের নাগরিকদের কি দিতে চায় তার ভিত্তিতে কারিকুলামের প্রয়োগ। আমরা এখন এখন একবিংশ শতাব্দীতে যা শিখছি, বিংশ শতাব্দীতে তা ছিল না, ঊনবিংশ শতাব্দীতে যা শিখছি অষ্টাবিংশ শতাব্দীতে তা ছিল না, অর্থাৎ দিন দিন কারিকুলাম পরিবর্তন হয় যুগের সাথে নাগরিকদের প্রয়োজনে। এই মুহূর্তে সহজসাধ্য হয়েছে বলে এখনও বলা ঠিক হবে না, তবে যা শুরু হয় তা একটি সময় এসে সহজসাধ্য এবং বাস্তব উপযোগী মনে হবে। তবে এই কারিকলাম নিয়ে যেখানে ভুলত্রুটি আছে সেগুলো সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে কয়েকটি কমিটির মাধ্যমে প্রতিমুহূর্তে সমাধানের বিষয়ে সচেতন আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
দৈঃসঃসঃ বর্তমান নতুন কারিকুলামের সহিত বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো এবং ক্লাস রুম শিক্ষকদের প্রশিক্ষন যথাপোযুক্ত আছে কি না?
প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলীঃ পদ্ধতিটির সাথে ক্লাস রুমের ধরন, বসার জন্য বেঞ্চের এবং শিক্ষকদের নতুন কারিকুলামের সহিত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তোরনের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
দৈঃসঃসঃ মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারি এবং বেসরকারী বিদ্যালয়ের একই কারিকুলাম কিন্ত সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত বেতন কাঠামো এবং বেতন বৈষম্য শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষেত্রে কতটুকু প্রভাব ফেলছে বলে আপনি মনে করেন?
প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলীঃ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে বৈষম্যতা প্রভাব ফেলছে, এক্ষেত্রে বলা যায় বর্তমান শিক্ষকদের যে বেতন কাঠামো তাতে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে একজন শিক্ষকের পরিবার নিয়ে বাস করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যার ভিতর চলতে হয়। অপরদিকে গ্রাম্য পর্যায়ে লোকাল ম্যানেমেন্টের অনঅভিজ্ঞতার রোষানলে নিজেদেরকে বিকিয়ে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে সুষ্ট পরিবেশের নিশ্চয়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরের আনরতরিকতা প্রয়োজন। বর্তমান নতুন কারিকুলামের কারনে পুর্বের সিলিবাসের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট অথবা কোচিং বাবদ একটি বাড়তি আয়ের সুযোগ ছিল অনেকের। কিন্ত বর্তমান কারিকুলামে প্রাইভেট অথবা কোচিং বাবদ বাড়তি আয়ের সুযোগ না থাকায় নির্দিষ্ট বেতনের উপর নির্ভরশীল অনেকে শহরের চাইতে কম খরচে থাকার জন্য মোফস্বলে থাকার কথা ভাববে। এক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে পাঠ দানে আগ্রহ কমবে। কারন পেশাগত দায়িত্বের সাথে সকলেই তার নিজের পরিবারের কথা ভাববে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে শিক্ষার মান উন্নয়নে গ্রাম ও শহরের অবস্হানের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ -সুবিধার প্রতি আন্তরিকতা প্রকাশ করেন।
অপর এক প্রশ্নে কতদিন পর নতুন কারিকলাম বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা,ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের আস্হা ফিরে আসতে পারে বলে মনে করেন।
উত্তরে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে একটি স্মার্ট পর্যায়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের উন্নতশীল শিক্ষা পদ্ধতি কে অনুসরন করে বাস্তব জীবনে ব্যবহারিক প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে উপলদ্ধি করলে দ্রুত এই কারিকুলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে অল্প দিনেই এর সুফল উপলদ্ধি করবে বলে মনে করেন।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৩৫ হাজারের বেশী। এর মধ্যে এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজরের বেশী। এই পরিসংখ্যানেই বলে দেই বর্তমান নতুন কারিকুলামের বাস্তবতার আলোকে আলো পেতে শিক্ষকের বেতন কাঠামো বৃদ্ধিসহ জীবনমানের উন্নয়ন দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতভাবে মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে প্রাইভেট পড়ানো অথবা কোচিং বানিজ্যে আলাদা সময় ব্যয় করার পিছু টান কমবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সবশেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী,সরকারী -বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলীর উদ্দেশে ঈদ-উল-ফিতরের আগ পর্যন্ত যথাসম্ভব ছোট,বড় সকল সমস্যা সমাধানে সর্বাত্বক চেষ্টা করব ঈদ উযযাপন সকলে একসংগে আনন্দের মধ্য দিয়ে পালন করতে পারি।
এমএসএম / এমএসএম
সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলামের বাড়ির অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
রাণীনগরে দিন দুপুর সুন্ধ্যাই চুরি বাড়ছে উপজেলা জুড়ে আতঙ্ক নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে তালার মহিলা নেত্রী মিনির নিরলস প্রচেষ্টা
রাজস্থলীতে পাহাড়ী ঐতিহ্য শীতের পিঠা জমে উঠেছে বিক্রি
মনোহরগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল
বারহাট্টায় শিশু স্বর্গ ফাউন্ডেশন পঞ্চগড়ের আয়োজনে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
সুনামগঞ্জে সুদের ঋণের চাপে বাড়িছাড়া গৃহিণী শিরিনা বেগম
সাতকানিয়া-ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউএনও, রহস্যজনক ভূমিকায় বিএডিসির উপ-সহকারী ইকবাল
কুষ্টিয়ায় নির্বাচন অফিসে দুর্বৃত্তদের আগুন
রায়গঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ইকরা নূরানী শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, বিএনপি সমর্থকের অর্থদন্ড
মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে ছয়টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক একজন