খালিয়াজুরীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে হামলার শিকার লাইনম্যান

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন একজন লাইনম্যান। এতে ক্ষুদ্র গ্রাহকের ঘুষিতে ও মারধরে আরিফুল ইসলাম নামে ওই লাইনম্যান অজ্ঞান হয়ে পড়েন।তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান।
গ্রাহক ও তাঁর স্বজনরা মিলে তাকে ওই লাইনম্যানের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় মদন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. নাজমুল হাসান বাদী হয়ে খালিয়াজুরী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত হারুন আলম শাহকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
বুধবার খালিয়াজুরী থানার ওসি খোকন কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে খালিয়াজুরী উপজেলার নূুপুর বোয়ালী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।গ্রেপ্তারকৃত হারুন আলম শাহ উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামের নূর আল আহমেদের ছেলে। আর হামলার শিকার মো. আরিফুল ইসলাম (২৭) মদন জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান পদে কর্মরত।
মামলার অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় মদন জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে। গত আট মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি হারুন আলম শাহ। বকেয়া বিল না দেওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মঙ্গলবার দুপুরে নূরপুর বোয়ালী গ্রামে যান মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি দল। এ দলে এজিএম নাজমুল হাসান, সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী মাসুদ করিম ও লাইনম্যান আরিফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ছিলেন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর ক্ষোভে লাইনম্যান আরিফুলের ওপর হামলা চালায় হারুন আলম শাহ ও তার চাচাতো ভাই শামীমসহ আরও কয়েকজন। এতে ঘুষিতে ও মারধরে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন লাইনম্যান আরিফুল। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আরিফুলকে মমেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। এদিকে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এজিএমসহ অন্যদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। তবে স্থানীয়রা এসে তাদের থেকে উদ্ধার করে। এসময় হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় রাতেই এজিএম নাজমুল হাসান বাদী হয়ে খালিয়াজুরী থানায় মামলা করেন। মামলায় হারুন আলম শাহ, তার চাচাতো ভাই মো. শামীম মিয়া ও সোয়েব মিয়াসহ তিনজনের নামোউল্লেখ ও আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, গত আট মাসের বিল বাকি হারুন আলম শাহের। বকেয়া পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে লাইনম্যান আরিফুলের ওপর হামলা চালায় তারা। আরিফুল বর্তমানে মমেক হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
খালিয়াজুরী থানার ওসি খোকন কুমার সাহা বলেন, মামলার প্রধান আসামি হরুন আলমকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম

সততার সঙ্গে ৪০ বছরের চাকরির সমাপ্তি, কনস্টেবল আব্দুস সবুরকে বিদায়

তারাগঞ্জে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়দের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ রোধে মতবিনিময় সভা

চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে মৎস্য অবমুক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ ও ফ্লাওয়ার জোনের উদ্বোধন

মুচির ধারালো অস্ত্রের কোপে কিডনি হারালেন কৃষকদল নেতা

মিরসরাইয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার শিকার এক ব্যবসায়ি , থানায় অভিযোগ

ধামইরহাটে ১৭০ তম সান্তাল হুল দিবস পালিত

মেহেরপুরে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন জেল ও জরিমান আদেশ দিয়েছে আদালত

বড়লেখায় ভিজিএফের ২৩৪ বস্তা চাল মাটিচাপা দিলো পৌর কর্তৃপক্ষ

আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক দলের আংশিক কমিটি ঘোষনা

নবীনগরে পুকুরে ভেসে উঠল অজ্ঞাত শিশুর লাশ

পটুয়াখালীতে দীর্ঘ ২৩ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন
