ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

তীব্র দাবদাহে হিটশকের ঝুঁকিতে বোরো; কৃষকের চোঁখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ


জসিম উদ্দিন, খানসামা photo জসিম উদ্দিন, খানসামা
প্রকাশিত: ৫-৫-২০২৪ দুপুর ৪:৫৩

আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কৃষিখাত। খরা, বন্যা, ঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ বছর চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে দেশে তাপদাহ শুরু হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে খরার প্রভাব। এই প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাও। সপ্তাহ দুয়েক থেকে হঠাৎ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ায় হিটশকে মাঠের বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

রোববার (৫ মে) উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ধান ক্ষেত। আকাশ ফেটে যেন ঝরছে আগুন। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তপ্তরোদে নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। সে কারণে সেচ পাম্পের মালিক ক্ষেতে পানিও দিতে পারছেন না। সেচের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানক্ষেত।

আর এই হিটশক হলে ধানের ফুল পুড়ে দানা চিটা হয়ে যায়। মূলত ধানের ফুল ফোটার সময়ই এ ধরনের ক্ষতি হয়। এছাড়াও বিগত কয়েক মাস থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এতে অনেক এলাকায় বোরো জমিতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেচের অভাবে জমিতে বোরো ধানের ফলন নিয়ে কৃষকরা রয়েছেন চিন্তিত। এমন অবস্থা যদি আরও সপ্তাহখানেক থাকে তাহলে বোরো ধানের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে জানায় উপজেলার একাধিক বোরো চাষী। তবে কৃষি বিভাগ বলছে হিটশক এর বিষয়ে সার্বিক পরামর্শ দিতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।

এই বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, বর্তমানে তাপমাত্রা অনেক বেশি।৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে জমিতে ২-৩ ইঞ্চি পানিতে রাখতে হয়। তাহলে ধানে হিটশকের ঝুঁকি থাকে না। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় ৩ হাজার ৫০৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৬৯০ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ২৮১৬ হেক্টর। যা অর্জন হয়েছে ৩ হাজার। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৫৫০ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ২৯৫০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।উপজেলার ছাতিয়ান গড় গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, এ বছর শুরুতেই বোরো আবাদের জন্য আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে ছিল। যে কারণে কোনো ঝুট ঝামেলা না থাকলে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শেষ সময়ে এসে এই তাপমাত্রা আমাদের চিন্তায় ফেলেছে। হিটশকে বোরো ধানের ক্ষতি হলে আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।

রামকলা এলাকার বোরো চাষি দীনেশ চন্দ্র জানান, বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করেছি। বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। এছাড়া এই তাপে আরো বেশি যন্ত্রণায় আছি। বিদ্যুৎ এর অবস্থা তো আরো নাজুক। বোরো ধান লাগানোর পর থেকে তিন-চার দিন পরপর সেচ দিতেও কুল পাচ্ছি না। লাভের আশায় বোরো আবাদ করেছি মনে হচ্ছে লোকসানে পড়ব।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ