পাবনার আটঘরিয়ায় দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত: ১৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সূত্রপাতের ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদ্বয় একে অপরের উপর দোষারোপ করছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠিতব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। 
সোমবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। পরিচয়প্রাপ্তরা হলেন-মতিগাছা এলাকার এলেম উদ্দিনের দুই ছেলে আফাই মোল্লা ও সইমুদ্দিন মোল্লা, সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে আবুল কাসেম এবং আবুল কাসেমের ছেলে মাহাতাব প্রামাণিক। তবে আহতদের মধ্যে ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টার দিকে তানভীর ইসলামের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করার পর ফেরার পথে তানভীর ইসলামের সমর্থকদের মারধর করে কামালের সমর্থকরা। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত: ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে চাঁদভায় আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে কামালের লোকজন। আজকে আমার সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে কামালের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এতে আমার অনেক সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।’
তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামাল হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,‘আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ মিথ্যা ও কাল্পনিক। দেবোত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপরই হামলা করা হয়েছে। এতে আমার এক বৃদ্ধ ও নারী সমর্থক আহত হয়েছেন।’
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম বলেন,‘আমরা ঘটনা শুনেছি। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।