ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া

নিজের দৃশ্যমান কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নেই, তবুও মাসে ভাড়া ওঠে ৩৫ লাখ


মোস্তাফিজুর রহমান  photo মোস্তাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: ১৩-৫-২০২৪ বিকাল ৫:২৯

 আয়কর নথির তথ্য অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব মিয়ার নিজের কোনো জমি নেই। আব্দুল্লাহপুরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গায় গড়ে তুলেছেন মাছের আড়ত। সেখানে ২৮০টি দোকান রয়েছে তাঁর, যা থেকে মাসে ভাড়া আদায় করেন ৩৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এসব দোকানের পজিশন দেওয়ার সময় এককালীন ৫০ হাজার করে নিয়েছেন ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যারা বিটের পজিশন নিয়েছেন, তারা জামানত হিসেবে ৩ থেকে ৫ লাখ করে প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন। গত ৫ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে মাছের আড়তে পাঁচ থেকে সাত ফুট আয়তনের একটি পজিশনকে বিট হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। পুরো আড়তে ২৮০টি বিট হয়েছে। এসব বিট থেকে ৪২০ টাকা করে প্রতিদিন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা আদায় করেন। এ ছাড়া মাছের আড়তের পশ্চিম পাশে বেড়িবাঁধে গড়ে তুলেছেন রেস্টুরেন্ট, ফল ও কাঁচাবাজার। সেখানের প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ৪০০ টাকা করে ভাড়া নেন। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণখান এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার অটোরিকশা রয়েছে তার। এসব রিকশা থেকে প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে আদায় করেন। যা মাসে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। আর ওয়ার্ডের বর্জ্য বাণিজ্য করে মাসে ২ লাখ টাকা আয় করেন। যার কিছুই উল্লেখ নেই আয়কর নথিতে। এটি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান অভিযোগকারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর ঢাকা বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত সকালের সময়'কে বলেন, সড়কের পাশে যেসব জায়গা সবই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। নদীর পাড়ের কিছু জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকলে থাকতে পারে। যেখানে আড়ত নির্মাণ করা হয়েছে সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। তাদের উচ্ছেদ করতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া গেলেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া বলেন, তিনিসহ আরও অনেকের জমিতে আব্দুল্লাহপুর মাছের আড়ত গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। জমির দলিল তার কাছে আছে। আড়তে তার দুই থেকে তিনটি বিট আছে। আড়তের জায়গায় সরকারি জমি হলে সরকার নিয়ে যাবে।

জমির মালিকানার দলিল থাকলে তা আয়কর নথিতে নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আয়কর নথিতে কী পরিমাণ জমি আছে তা খুঁজে দেখেন। দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে দোষী হলে মামলা করবে। তিনি অটোরিকশা বা অন্য কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান।

কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জোন-৯-এর ১৯৭ সার্কেলের একজন করদাতা। তার আয়কর রিটার্নের তথ্য বলছে, তিনি দক্ষিণখানের উত্তর ফায়দাবাদের ৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ের একজন বাসিন্দা। তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়িতে থাকেন। তার নিজের কোনো জমি, প্লট, ফ্ল্যাট কিছুই নেই। তিনি ব্যবসা থেকে বছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। তার নগদ ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ রয়েছে।

এমএসএম / এমএসএম

তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত

ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত

পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা