শেরপুরে ভেজাল পশুখাদ্য(ডিওআরবি) উৎপন্নকারী প্রতিষ্ঠানের ছড়াছড়ি, কর্তৃপক্ষ নীরব
বগুড়ার শেরপুরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে ভেজাল ডিওআরবি এর কারখানা। কর্তৃপক্ষের নজরদারি কম থাকার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই ভেজাল এবং নকল ডি ও আর বি ব্যবসায়ীরা । ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারিরা আর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে।
এলাকা ঘুরে রনবিরর বালা (ঘাটপার), শেরুয়া বটতলা বাজার থেকে ব্র্যাক-বটতলা পর্যন্ত প্রায় বেশ কয়েকটি গোডাউন, তালতলা ফরেষ্টগেট এর সামনে এবং শেরুয়া বটতলা রোডের কয়েকটি গোডাউন, মির্জাপুর থেকে খানপুর রোডের একাধিক গোডাউন, মির্জাপুর হতে রানীরহাট এলাকায় এবং উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন গোডাউন, সাউদিয়া পার্করোডের কয়েকটি গোডাউনে একই চিত্র দেখা যায়। প্রত্যন্ত এলাকায় গোডাউন ভাড়া নিয়ে নির্বিঘ্নে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। রনবিরবালা এবং ফরেস্টগেটের সামনের আবাসিক এলাকার দুটি গোডাউনে রাতের বেলায় চলছে এমন কর্মযজ্ঞ। পরিবেশ দূষনের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলাকে ঘিরে মুলত এই ভেজাল ব্যবসা গড়ে উঠলেও বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের উপজেলাতে। এই ভেজাল DORB,(তৈল বিহীন চালের কুঁড়া) ও ভেজাল পশু খাদ্য তৈরিকারক মহল গড়ে তুলেছে সিন্ডিকেট আর এই সিন্ডকেটের মাধ্যমে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। অসাধু ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজস করেই নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যায়, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে খামারিদের পক্ষ থেকে।
মূলত এটি পশু ও মৎস্য খাদ্য উপাদান হিসাবে সর্বোত্তম এবং এটি “A+” ক্যাটেগরীর একটি উপাদান যা গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি এবং মাছের খাদ্যের খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বেশি লাভের জন্য এতে মেশানো হচ্ছে সিরামিকের গুঁড়া, ট্যানারির বর্জ্যের শুকনো গুঁড়া, অটো রাইস মিলের শুকনা বর্জ্য, এক বিশেষ ধরনের মাটির গুঁড়া। এসব নকল উপকরণ দেশের বিভিন্ন জায়গা, বিশেষ করে টঙ্গী ও সাভার থেকে সংগ্রহ করে থাকে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা নামিদামি ব্রান্ডের ব্যবসায়ী যেমন-মজুমদার প্রোডাক্টস লি:, ওয়েস্টার্ন এগ্রো লি:, একাত্তর ডিওআরবি, তামিম এগ্রো, প্রধান ডিওআরবি, সেভেন স্টার ব্রান্ডের বস্তায় এই ভেজাল ডিওআরবি বস্তাবন্দি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডিওআরবি উৎপন্নকারী বলেন, ভেজাল এবং নকল ডিওআরবি ব্যবসায়ীদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয় এতে করে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণেই অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোছা. রেহানা খাতুন বলেন, পশুখাদ্যে ভেজাল দেওয়া অপরাধ। তথ্য পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যাবস্থা নেব।
এমএসএম / এমএসএম
সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলামের বাড়ির অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
রাণীনগরে দিন দুপুর সুন্ধ্যাই চুরি বাড়ছে উপজেলা জুড়ে আতঙ্ক নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে তালার মহিলা নেত্রী মিনির নিরলস প্রচেষ্টা
রাজস্থলীতে পাহাড়ী ঐতিহ্য শীতের পিঠা জমে উঠেছে বিক্রি
মনোহরগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল
বারহাট্টায় শিশু স্বর্গ ফাউন্ডেশন পঞ্চগড়ের আয়োজনে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
সুনামগঞ্জে সুদের ঋণের চাপে বাড়িছাড়া গৃহিণী শিরিনা বেগম
সাতকানিয়া-ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউএনও, রহস্যজনক ভূমিকায় বিএডিসির উপ-সহকারী ইকবাল
কুষ্টিয়ায় নির্বাচন অফিসে দুর্বৃত্তদের আগুন
রায়গঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ইকরা নূরানী শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, বিএনপি সমর্থকের অর্থদন্ড
মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে ছয়টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক একজন