রাজনীতির রাজপথ

স্কুলের এক ছাত্রকে শিক্ষক মহোদয় জিজ্ঞাসা করছেন-অকুতোভয় মানে কি? ছাত্র উত্তর দিচ্ছে-কুত্তাকে ভয় না করা। তবে কুত্তাকে ভয় না করলে কি হবে কিন্তু তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাকে ভয় হয় স্যার।
একটি মারাত্নক গল্প শুনুন :
বিদেশ থেকে লেখাপড়া সেরে ছেলে দেশে ফিরছে। ছেলের কোনদিকে মতিগতি সেটা বুঝার জন্য তার বাবা বাইরের ঘরের টেবিলে পাশাপাশি চারটে জিনিস সাজিয়ে রাখলেন। এ চারটি জিনিস হল: একখন্ড গীতা, একটা রিভলবার, এক বোতল ভাল মদ এবং এক তাড়া নোট। ছেলে কোনটা তুলে নেয় সেটা দেখে বোঝা যাবে সে দেশে ফিরে ঠিক কি করতে চায়।
ছেলে কিন্তু চারটি জিনিসই তুলে নিল। নোটের তাড়া ভাগ করে দু’পকেটে রেখে হিপ পকেটে রিভলবার পুরে নিল। তার পর হাতে গীতা আর বাঁ হাতে মদের বোতল তুলে নিল। এই দেখে ছেলের মা স্বামীকে বললেন ওগো কিছুইতো বুঝা গেলো না খোকা তো কিছুই ছাড়লনা, সবই যে তুলে নিল।
গর্বিত হাসি হেসে ছেলের বাবা বললেন বুঝতে পারছ না তোমার ছেলে রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং ভবিষ্যত বড় রাজনীতিবিদ হবে। তাতে বুঝে নিতে হবে আমাদের দেশের রাজনীতি থেকে আমরা কি পাব।
তাই পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে লিখতে বসছি।
এবার কয়েকটি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি।
এ রাজনৈতিক ডামাঢোলের বাজারে সর্ব প্রথমে রাজনীতিবিদ দিয়েই শুরু করি। একালের রাজনীতি আর সেকালের রাজনীতি নিয়ে যদি একটু কথা বলি তাহলে প্রথমে বলতে হয় তখন যার ছিলো সবগতি সে করত রাজনীতি। বর্তমানে যার নাই কোন গতি সে করে রাজনীতি। যেমন তখনকার রাজনীতিকরা সত্যি রাজনীতিবিদ ছিলেন। এখন কার অধিকাংশই কিন্তু রাজনীতিজীবীতে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় রাজনীতিকগণ কিন্তু সমাজের শিক্ষক তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখার আছে আমি তা বিশ্বাস করি। একজন রাজনীতিক সমাজ ও জাতি কে যা দিতে পারবে তা কিন্তু অন্য কেউ কোন ভাবেই দিতে পারবে না। তবু ও রাজনীতিবিদদের অরাজনৈতিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাচ্ছি প্রতিনিয়ত। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রাজনৈতিক সংকটের বিষয়বস্তু নিয়ে নিম্নে আমার অনেক আলোচনা থাকলো-
তার আগে কিছু রম্য কথা বলি দু-জন রাজনীতিবিদের স্ত্রী পরস্পর গল্প করছিলেন। প্রথম জন বললেন-আমার স্বামী যে কোন প্রসঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে যেতে পারেন।
দ্বিতীয় জন এ কথা শুনে বললেন-এ আর বেশি কি। আমার স্বামীতো কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা বিরতিহীনভাবে বলে যেতে পারেন।
এই সূত্রে সেই বিখ্যাত রাজনৈতিক বক্তার কথা পড়েছে। ভদ্রলোক সন্ধ্যাবেলায় বক্তৃতা করতে মঞ্চে উঠেছেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত এসে গেলো এবং রাতও গভীর হয়ে গেলো, ভদ্রলোকের বক্তৃতা আর থামে না। শ্রোতাবৃন্দ প্রথমে উসখুশ করতে লাগলেন, তারপর অনেকে উঠে চলে গেলেন। কিন্তু ভদ্রলোক ক্লান্তিহীনভাবে এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছেন। অবশেষে সভা কক্ষের দিকে তাকিয়ে বক্তা ভদ্রলোকের খেয়াল হল। অনেকক্ষণ হয়ে শ্রোতার সংখ্যাও খুবই কমে গেছে। অনুতপ্ত কন্ঠে বক্তৃতা থামিয়ে বললেন, খুব দেরি করে ফেললাম। আমার হাতে কোন ঘড়ি নেই, বুঝতেই পারিনি এতক্ষন হয়ে গেছে।
এক ব্যক্তি প্রথমাবধি হলের মধ্যে বসেছিলেন তার একটাই কারণ মাইকটা তার। সভা শেষ করে তিনি মাইকটা ফেরত নিয়ে যাবেন। খালি হলে মাইক ফেলে যাওয়া ঠিক হবে না তাই। বক্তৃতা শেষ হওয়ার জন্য যে মাইকওয়ালা ভদ্রলোক অপেক্ষা করেছিলেন। বক্তৃতা যখন দীর্ঘ বক্তৃতার জন্য ঘড়ি না থাকার অজুহাত দেখালেন, তখন তিনি আর থাকতে পারলেন না। মাইকওয়ালা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, কিন্তু স্যার আপনার হাতে হাতঘড়ি না থাকতে পারে তবে হলের দেয়ালে তো ক্যালেন্ডার রয়েছে। অভিযোগটি সর্বৈব সত্যি, কারণ তখন মধ্য অতিক্রান্ত হয়ে পরের দিনের তারিখ আরম্ভ হয়েছে। শুনেছি গুরুসদয় দত্ত বলতে পারতেন তবে তিনি প্রসঙ্গহীন ছিলেন না। তার প্রিয় প্রসঙ্গ ছিল ব্রতচারী। প্রথমে ব্রতচারীর ইতিহাস বলতেন, বেদ ও উপনিষদে ব্রতচারী। হিন্দু যুগে ব্রতচারী প্রথার, তারপর বৌদ্ধ যুগ, পাঠান-মোগল যুগ, অবশেষে ইংরেজ রাজত্ব ব্রতচারী এ নিয়ে কয়েক ঘন্টা বলতেন। কিন্তু এতেই শেষ নয়। এরপর ব্রতচারী আন্দোলনের সুফল ও প্রয়োজনীয়তা গ্রাম গ্রামান্তরে দিকে দিকে ব্রতচারী আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার বিভিন্ন উপায় অনেক বলার ছিল গুরুসদয় দত্ত মহোদয়ের। একবার আচার্য-প্রফুল্ল চন্দ্রকে সপ্তাহকালের মধ্যে এ বিপুল বক্তৃতা একাধিকবার শুনতে হয়েছিলো। গুরুসদয়কে অনুরোধ করেছিলেন, মোগল কিংবা ইংরেজ রাজত্ব থেকে শুরু করুন। সুফলটা না হয় বলুন, প্রয়োজনীয়তাটা নাই বললেও চলবে।
বক্তাদের মধ্যে যেমন ভাল-খারাপ আছে তেমনি সুবক্তা-কুবক্তাও রয়েছে। তেমনি আছে তাদের রকমফের। কেউ কেউ যে কোন বিষয়েই থিয়েটারি ঢংয়ে বলেন, কেউ আবার ঝড়ের মত বলে যান। আবার কেউ বা খুব থেমে থেমে ধীরে ধীরে। প্রত্যেক মুহূর্তেই মনে হয় এই বুঝি বক্তুতা শেষ হয়ে গেলো। আবার এমন অনেকে আছেন কোন বাক্যই সহজে শেষ করতে চান না, বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বলে যান। দু’চারজন তোতলা বক্তাও আছেন কথা বলতে গিয়ে শেষ করতে পারেন না। বাক্যের মধ্যে আটকে যান। একটু থেকে আবার প্রথম প্রথম থেকে বলা শুরু করেনে। এ রকম এক বক্তাকে আমার এক সাংবাদিক বন্ধু একদিন সভাশেষে জিজ্ঞাসা করছিলেন আপনার বোধ হয় তোতরামি আছে সুরসিক বক্তা এক জবাবে বলেছিলেন বিশেষ নয়, সব সময় নয়। এ যখন কথা বলি শুধু শুধু তখন শোনা যায়, এই বাক্যটি তিনি তোতলামি না করেই বলতে পেরেছিলেন। আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক সুযোগ স্বাধীনতার পর হতে একাধিকবার বন্ধ হয়েছে যাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা দেয়ার পরিবের্তে কিছুদিনের জন্য অবকাশ যাপন করতে পারেন। রাজনীতিকদের আন্দোলনের অন্যতম ফসল অরাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্থাৎ নিরপেক্ষ নির্দলীয় অরাজনৈতিক সরকার নিয়ে কিছু কথা বলা যায়, রাজনীতিকদের মনের কথা আমার গল্প। রাজনীতিকদের স্ত্রীরা অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা করে শুধু শুধু সমালোচিত হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে অনেক রাজনীতিক এর সহধর্মিণীরা রাজনৈতিক স্বামীর সাথে শ্রীঘরে বাস করছে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির অভিযোগে। অনেকে অভিযুক্ত তবু বলব প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক কারামুক্ত। কারণ তাদেরকে ভোটের মাধ্যমে হতে হবে জয়যুক্ত।
জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় : আমরা শক্তি, আমরা বল, আমরা ছাত্রদল। ছাত্রদের কথা, কবি জোর গলায় বলে গেলেন। দেশের বাস্তব পেক্ষাপটে দেখতে গেলে প্রথমে ধরতে হয় বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি। প্রতিদিন খবরের কাগজে দেখতে পাই হত্যা আর হত্যা। চর দখলের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করাই যেন ছাত্র রাজনীতির মূল্য লক্ষ্য। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন রাতারাতি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দখলে নেয়। ক্ষমতার হাত বদলের সাথে সাথে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ওরা একক দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে সরকার বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায় যে কোন মূল্যে। ছাত্র সমাজের হাজারো দাবি ও বহুমূখী সমস্যার দিকে ছাত্র সংগঠনগুলো কোন দৃষ্টি নেই। শিক্ষাঙ্গনে মেধার বিকাশ ও জ্ঞান চর্চার সুযোগ, বৃদ্ধিতে ছাত্র নেতাদের কোন তৎপরতা চোখে পড়ে না। হল দখল, ভর্তি বাণিজ্য শিক্ষকদের দলাদলিতে নিজেরাও পক্ষ-বিপক্ষে ভাগ হয়ে শিক্ষা বিনাশী কাজেই আজকের ছাত্র রাজনীতি বেশি মাত্রায় সক্রিয়। সংকট, হানাহানি, রক্তপাত, খুনোখুনি কেন চলছে শিক্ষাঙ্গনে। কবে ফিরে আসবে রাজনীতিতে, শিক্ষাঙ্গনে ও ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থতা ও বাঞ্ছিত পরিবেশ। দেশ ও জাতির স্বার্থেই তো রাজনীতির শুদ্ধতা জরুরি।
লেখক- প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, উপস্থাপক
এমএসএম / এমএসএম

উন্নয়নহীন ১২ হাজার মানুষের জীবনযুদ্ধ: বড়লেখায় এক অবহেলিত পাহাড়ি জনপদের নাম 'বোবারথল'

মুকসুদপুরে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা

নড়াইলে আনসার-ভিডিপি’র ২৮দিনব্যাপী অ্যাডভান্সড কোর্সের সমাপনী

নওগাঁর মহাদেবপুরে ওয়াক্ফ এস্টেটের অর্থ প্রভাবশালীদের পকেটে

বরিশালের বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপি'র পথসভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে পরিবারের সাথে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

কুতুবদিয়ায় আল্লামা দেলোয়ার হোছাইন সাঈদী (রহঃ) স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাংবাদিককে হুমকি

ভূরুঙ্গামারীতে বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রায়গঞ্জে ৬ লাখ টাকাসহ বিকাশ কর্মী নিখোঁজ: বাগান থেকে মটর সাইকেল উদ্ধার

সাংবাদিক জগতের নক্ষত্র ছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনঃ সিআরএ
