আমাদের পরীক্ষার সিস্টেম ভালোনা
এবারে এসএসসি পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে ত্রা মধ্যে ৩লাখ ৫২হাজার ৩৯জন ফেল করেছে। যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের নিয়ে “চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থী সম্মেলন” নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান নামে একটি সংগঠন। যার নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ড. জাফর ইকবাল বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা সবাই মেধাবী তাতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু আমাদের পরীক্ষার সিস্টেম ভালো না এ জন্য শিক্ষার্থীরা ফেল করে। তিনি বলেন, আমাদের দেখে দেখে শিখতে হবে ৯৫পার্সেন্ট আর পড়ালেখা করে শিখতে হবে ৫পার্সেন্ট। আমাদের মনবল হারালে চলবেনা, পাস করতে হবে। তিনি বলেন,আমি একবার জোকস করে ফেইসবুকে লিখে ছিলাম,যারা ফেল করে তারা মন্ত্রী হয় আর যারা ভালো রেজাল্ট করে তারা সচিব হয়। এটাই সত্য এটাই বাস্তব। তাই তোমাদের আরো সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানটি গতকাল ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে(কেআইবি) অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়।সম্মেলনে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় তিন‘শর মত অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তাদের বক্তব্য নেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের ফেল করার কারণ চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্য দেন তিনি বলেন, আমরা তোমাদের সাথে আছি, তোমাদেরকে পাস করিয়ে ছাড়বো। তবে তোমাদেরকে স্কুলে আসতে হবে। তিনি বলেন,আমি যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম তখন মেয়েদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে ছিলাম যাতে মেয়েরা শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে। তাই এখন মেয়েদের শিক্ষার হার ছেলের চেয়ে বেশি। কারিগরি শিক্ষার বিষয় তিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী হই তখন কারিগরি শিক্ষার হার ছিলো ৫পার্সেন্ট এখন তা দাড়িয়েছে প্রায় ১৭ পার্সেন্ট। তাই তোমরা কারিগরি শিক্ষার বিষয়ও গুরুত্ব দিতে পারে। দেশের বেকারত্ব দূর করতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে জার্মানীতে কারিগরি শিক্ষার হার ৮৫ পার্সেন্ট। এ জন্যই আমেরিকার পর তাদের অর্থনীতি এত শক্তিশালী। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ,আসাদুজ্জামান নুর এমপি, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যক আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষা সচিব এনআই খান, এবং সংগীত পরিবেশন করে শিক্ষার্থীদের উজ্জিভীত করেন রাহুল আনন্দ। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন তক্ক¦াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা রাশেদা কে, চৌধুরী।
এমএসএম / এমএসএম