এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ বিক্রি চলছেই
জঙ্গি সাদেক আধুনিক পোশাকধারী ধর্ষক
বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ তৈরি ও বিক্রির একমাত্র ব্যবসায়ী যুদ্ধপরাধী জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। ১৯৯৬ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ২৯ বছরে তিনি প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সনদ বিক্রি করছে। দৈনিক সকালের সময়ের ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পরে তদন্ত করে সনদ বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এরপরে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে সনদ জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণের কথা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ব্যবস্থা নিতে বলছে। এরপরে ২১ সালের ৩০ নভেম্বর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি যুদ্ধাপরাধী মাওলানা সাদেকের পুরানো সহচর শাহজাহান নামের এক প্রবাসী অনভিজ্ঞ লোককে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাদেকের তদবিরে ২৫ বছর পরে নিয়োগ পাওয়া ওই উপাচার্য যুদ্ধাপরাধী মাওলানা সাদেকের আনুগত্য কর্মচারী হয়ে মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে ওই কর্মচারী অধিকাংশ বিদেশে থাকে। তাই টানা ২৫ বছর নিয়ন্ত্রণে রাখা জঙ্গি নেতা মাওলানা সাদেকের নির্দেশেই এখন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সনদ বিক্রি করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারী থেকে উচ্চপর্যায়ের কর্মচারী সকলেই এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের দুর্নীতির সমার্থক। ওদিকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ২৭ বছর যাবত চুপ আছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তাদের একটিই উত্তর, "বিশ্ববিদ্যালয় দেখাশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আছে"। কমিশনের কাছে কিছু জানতে চাইলে কমিশন বলে, "আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছুই করতে পারিনা"। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্ব পাওয়া কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ দন্দ মিডিয়া এবং সাংবাদিক এড়িয়ে চলে এবং মোবাইলে সাংবাদিককে সাক্ষাৎ দেয়ার কথা দিয়ে তিনি সেদিন কমিশনেই আসেন না। এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে কমিশনের অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি মোবাইল ব্লক করে দেয়। বেসরকারি বিভাগের বর্তমান পরিচালক ওমর ফারুক মোবাইলে কথা বলেন এবং সাক্ষাৎ চাইলে সাক্ষাৎ করেন তবে তার বিরুদ্ধে জামাত শিবির দ্বারা প্রতিপালিত হওয়ার গুঞ্জন আছে। ওই বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম দুর্নীতিগ্রস্থ বলে জানিয়েছে কমিশনের একাধিক লোক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের এক কর্মকর্তা বলছে নগদ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দুর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।
অনার্স মাস্টার্সের সনদ বিক্রি বন্ধ না করে এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিএইচডি ডিগ্রি বিক্রির পথ তৈরি করে দিচ্ছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয় সুত্র বলছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কয়েকজনকে সদস্য করে একটি পর্যালোচনা কমিটি করা হয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি হয়, সে ব্যাপারে আপনার পদক্ষেপ কি হবে জানতে চাইলে শিক্ষা সচিব সকালের সময়কে বলেন, "যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ বিক্রি হয় তাঁদেরকে ধরেন, আমাদের কিছু করার নাই।" এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের সুযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি ডিগ্রি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করবে কিনা জানতে চাইলে সচিব চুপ থেকে অফিসিয়াল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে। তখন সচিবের পিএস সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা জঙ্গি যুদ্ধাপরাধী আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক ২৫ বছর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উপাচার্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছে। একই ব্যক্তি টানা ২৫ বছর ভিসি পদে থেকে ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ প্রক্রিয়ার চর্চা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলছেন সুন্দরী মেয়েদের জন্য সাদেকের আলাদা দরদ আছে। যেমন- ‘আদর মমতা দাও সনদ নাও’। সাদেক একজন আধুনিক পোশাকধারী ধর্ষক। বিশ্ববিদ্যালয় বহু নারী শিক্ষক এবং শতো শতো ছাত্রীকে তিনি গোপনে ধর্ষণ করছে। কেউ মুখ খুলতে পারছে না। ছাত্রীর দরকার সার্টিফিকেট এবং নারী শিক্ষকের দরকার চাকরি, বিষয়টি যেহেতু পৌনঃপুনিক তাই সাদেকের যৌনতা গোপন থেকে যায়। পুরুষ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যোগ্যতা কেবল একটাই, আর তা হচ্ছে শিবির ক্যাডার বা জামাত ইসলামের আনুগত্য হতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সর্তকতা জারি করে ইউজিসি মাঝে মাঝে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। আইন অমান্য, আউটার ক্যাম্পাস বহাল রাখা, অনুমোদনহীন কারিকুলাম চালু, মামলাসহ বিভিন্ন কারণে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে নিষেধ করা হয় এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় তার মধ্য একটি। বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১(২) অনুযায়ী ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী এবং একাডেমিক কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্যের স্বাক্ষর ছাড়া সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসি কর্তৃক স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট অবৈধ হবে। একই সাথে অর্থ সংক্রান্ত চেক এবং কোনো দলিলপত্র স্বাক্ষর করাও বৈধ হবে না। সেক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেরণ করা যেকোনো দলিলপত্র আর বৈধ নেই, এমনকি যে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা গর্ব বোধ করছে সেগুলোও বৈধ নয়।
জঙ্গি যুদ্ধাপরাধী মাওলানা সাদেক তার পুত্র জাফর সাদেককে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে কিছু শিবিরের ক্যাডার নিয়ে চালাচ্ছে এই জঙ্গি অধ্যুষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে পেট্রোল পাম্পে বোমা হামলার আসামি শিবিরের ক্যাডার ইয়াসিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। জঙ্গি সাদেকের চাচাত ভাই মঞ্জুর এলাহী বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজশাহী ক্যাম্পাসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুর মাধ্যমে এশিয়ানের ভিসিকে রাজাকার থেকে হাইব্রিড আওয়ামী লীগে রূপান্তরের চেষ্টা চালিয়েছে তিনি। মঞ্জুর এলাহী ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী ছিলো, তিনি এখন নরসিংদী অঞ্চলের মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান। ঢাকার ধানমন্ডি ক্যাম্পাসের এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার মাহফুজ ছিলো শিবির ক্যাডার। জঙ্গি সাদেকের পিএস মাহাবুর শিবির অধ্যুষিত অঞ্চল কারমাইকেল কলেজ শাখার শিবির সভাপতি ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়েরটির প্রফেসর মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিশ শুরা সদস্য ও রোকন। ১৯৭১ সালে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। মুক্তিযুদ্ধ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যজোরে বেঁচে গেছেন। সাদেক তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স পরিচালক পদে নিয়োগ দেয় এবং পরবর্তীতে তাকে ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে রাজশাহী অঞ্চলের স্বীকৃত রাজাকার আবদুল্লাহ যুদ্ধের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জেনারেল জিয়ার শাসনামলে রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সময় আবদুল্লাহ আবার এলাকায় ফিরে আসে। তিনি এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন। আলহাজ মকবুল হোসেন ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, মকবুল ছিলেন এশিয়ানের ক্রয় কর্মকর্তা। জঙ্গি সাদেকের ঘনিষ্ঠ সহচর জামায়াত নেতা জাকির হোসেন গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসায়ী তিনি বর্তমানে এশিয়ানের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী প্রফেসর। জাকির জামায়াতে ইসলামী পল্টন শাখার সেক্রেটারি। ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের জনসভায় বোমা হামলার উস্কানীদাতাদের অন্যতম। তার নামে রয়েছে বোমা হামলার একাধিক মামলা।
জঙ্গি সাদেকের বিশ্বস্ত সহযোগী সাবেক স্পেশাল এসিস্ট্যান্ট শাহাদাত হোসেন নারী কেলেঙ্কারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করছে। তাকে প্রথমে স্পেশাল এসিস্ট্যান্ট টু দ্যা ভাইস চ্যান্সেলর, পরবর্তীতে পরিচালক প্রশাসন নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ভারপ্রাপ্ত হিসাবে ট্রেজারার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং প্রো-ভিসির দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিকল্পনা পরিচালক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির জামায়াতপন্থী চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবী হিসাবে স্বীকৃত। এই শাহাদাতের মনোরঞ্জনের জন্য জঙ্গি সাদেকের পূর্ব পরিচিত মঞ্জুশ্রী দত্ত নামে এক সুন্দরী হিন্দু মেয়েকে এশিয়ানের ধানমন্ডি ক্যাম্পাসের অফিস সহকারী হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। শাহাদাত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লেও মঞ্জুশ্রী দত্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছাড়েনি। জঙ্গি সাদেক আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করতে এই মহিলাকে ব্যবহার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা ক্যাম্পাসের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর শেখ আশরাফ ছিলেন খুলনার জামায়াত নেতা বর্তমানে তিনি জেলে আছে। সাদেকের গ্রামের বাড়ির নরসিংদীর জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তিনি জামায়াত সমর্থিত এনজিও World Association of Muslim Youth (WAMY) এর সেক্রেটারি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক জামায়াতে ইসলামীর সদস্য আবদুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘ ৭-৮ বছর এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। জঙ্গি সাদেকের মরহুম পিতার বিভিন্ন ইসলামিক বই প্রকাশে সহায়তার পাশাপাশি আবদুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরিরত অবস্থায় এশিয়ান থেকে বহু সুবিধা ভোগ করছে। একসময় তাকে একাডেমিক পরিচালক বানিয়ে ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারারের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রীটা আশরাফের সাথে যৌন কেলেঙ্কারি কথা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পরেছিলো। ২০০৩ সালের পহেলা জুলাই থেকে এক বছরের কিছু বেশি সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করছিলেন জায়দুর রহমান। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অপকর্মের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় জায়দুর রহমানকে। ২০০৭ সালের ২৫ মে তত্বাবধায়ক সরকারে সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ হয়। সেই শ্বেতপত্রে প্রফেসর জায়দুর রহমানের নাম আছে। চাকরিচ্যুত জামাত নেতা জায়দুর রহমানকে জঙ্গি সাদেক চাকরি দেয় এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান। তিনিও অধ্যাপক না হয়েও ভিসি সাদেকের মৌখিক অনুমোদনের ভিত্তিতে নামের পূর্বে অধ্যাপক পদ ব্যবহার করতেন। সাদেকের বাল্যবন্ধু ফরিদউদ্দিন খান স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর কোন অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও জামাতি অনুসারী বাল্যবন্ধু হওয়ার কারণে সাদেক তাকে অধ্যাপক বানিয়েছেন। ফরিদউদ্দিন পরবর্তীতে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণের দায়িত্বে থেকে শহরের অলিগলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খুলে সনদ বাণিজ্য চালিয়েছেন।
এমএসএম / এমএসএম