মোহাম্মদপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এক্সট্রা-মোহরার আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
তেজগাঁও রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্সে মোহাম্মদপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের এক্সট্রা মোহরার(নকল নবিশ) মোঃ আওলাদ হোসেন এর বিরুদ্ধে জমি রেজিস্ট্রি দলিল জালিয়াতির সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছ।সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ‘নো ওয়ার্ক, নো পেমেন্ট’ পদ্ধতিতে চাকরি করা এক্সট্রা মোহরার বা নকল-নবিশরা পাতা প্রতি পান মাত্র ২৪ টাকা। সারাদেশে এমন নকল নবিশের সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। সে হিসেবে একজন নকল নবিশের মাসে আয় ১৫/২০ কিংবা ২৫ হাজার টাকার বেশি নয়। বর্তমান বাজারে এই সামান্য টাকায় পরিবার নিয়ে দু’বেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়। অথচ আওলাদ হোসেন তার গ্রামের বাড়িতে-বিশাল মাছের ঘের-ফ্ল্যাটসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।মোহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এই দুই ভাইয়ের সিন্ডিকেট বাণিজ্য এখন টক অব দ্যা টাউন।তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের মোহাম্মদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত এক্সটা মোহরা (নকল নবিশ) আওলাদ হোসেন এবং তার সহোদর আকিব হোসেনের বিরুদ্ধে জাল- জালিয়াতি, দালাল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ এবং নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর মারফত জানা যায় নকল নবিশ আওলাদ হোসেন বিগত ১০ বছর যাবত এই অফিসেই কর্মরত হয়েছেন কিন্তু তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে দিব্যি তার বিভিন্ন অপকর্মগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন। আওলাদ হোসেনের পূর্বের ইতিহাস খুবই ন্যাক্কারজনক ২০২৩ সালের ১২ই নভেম্বর দিবাগত রাতে নুর হোসেনের বাড়িতে তার সহোদর ভাই মোঃ আকিব হোসেন ও তাদের একদল সন্ত্রাসী সহযোগী ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ঐ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৬ই নভেম্বর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়।১,৭০০০০ (এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা)নগদ সহ অন্যান্য দামি জিনিস পত্র ডাকাতি করেন। এছাড়াও মোঃ আওলাদ হোসেন জামায়াতের একজন উগ্রবাদী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে বিভিন্ন সিন্ডিকেট সদস্য নিয়ে তেজগাঁও রেজিষ্ট্রেশন অফিসে দাপট দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।এই আওলাদ হোসেন প্রশাসনের হাত ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অবৈধভাবে জমি রেজিস্ট্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অথচ অদৃশ্য কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থাই গ্রহণ করছেন না। আর এই বিভিন্ন অপকর্মগুলো তিনি সরাসরি তার ছোট ভাই মোঃ আকিব হোসেনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তেজগাঁও সাব রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের মোহাম্মদপুর সাব- রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু দলিল লেখক, স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও স্থানীয় কিছু চিহ্নিত দালালদের সমন্বয়ে গঠিত এই সিন্ডিকেটের যোগসাজশে সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নানান ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন আওলাদ হোসেন।
কমপ্লেক্সের একজন নকল নবিশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন জমি কেনাবেচার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি হচ্ছে বালাম বই আর আওলাদ হোসেন চাকুরীতে যোগদানের পর হতে এখন পর্যন্ত কোন বালাম বই সঠিকভাবে সম্পাদন করেন নাই যার সত্যতা মিলবে যদি সঠিকভাবে অনুসন্ধান করা হয়। এছাড়াও তিনি আরো বলেন আওলাদ হোসেন বিভিন্ন সময় বালাম বই ঘষামাজা এবং ছিড়ে ফেলে সেবা প্রত্যাশীদের চাপের মুখে ফেলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা এবং গড়ে তুলেছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ সম্পদের পাহাড়। অত্র দপ্তর থেকে আরো জানা যায় নকল নবিশ আওলাদ হোসেন বিভিন্ন দলিল লেখকদের স্বাক্ষর/সই নকল করেও বিভিন্ন অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আরো জানা যায় আওলাদ হোসেনের ছোট ভাই মোঃ আকিব হোসেন অবৈধ পন্থায় কোন ধরনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ক কাগজপত্রাদি ছাড়াই মোহাম্মদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করে চলেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নাড়াচাড়া করছেন যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। নকল নবিশ আওলাদ হোসেন এবং তার ছোট ভাই আকিব হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য অনুসন্ধানে গেলে কথা হয় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার আওতাধীন আওলাদ হোসেনের এক নিকটাত্মীয়ের সাথে।
তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওলাদ হোসেন ইতিপূর্বে মরণ নেশা ইয়াবার ব্যবসা করতেন এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ৫০০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন আওলাদ হোসেন বিএনপি- জামায়াতের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন এবং তার অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ নিয়মিত যোগান দিয়ে আসতেন। তবে অনেক চতুর হওয়ার সুবাদে রাতারাতি ভোল পাল্টিয়ে নব্য আওয়ামীলীগার হয়ে গেছেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় আওলাদ হোসেন তেজগাঁও কুনিপাড়ায় পাঁচতলা আলিশান বাড়ি, টঙ্গী, বাড্ডা, হাতিরঝিলে তার বাবার জায়গায় নিজের অর্থায়নে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি ও জমি ক্রয় করেছেন এবং সিলেটর সুনামগঞ্জে প্রায় (তিন একরের) বেশি জায়গার উপরে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করে একটি মাছের ঘেরও করেছেন।
এই বিষয়ে কথা বললে মোহাম্মদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এক্সট্রা মোহরার আওলাদ হোসেন দৈনিক সকালের সময়কে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য নয় আর এই জমি ও বাড়ি আমার পৈতৃক সম্পত্তি।
তবে ওই অফিসে আওলাদ হোসেনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার