পঞ্চগড়ে বনাঞ্চল উজার করছে বন বিভাগ
পঞ্চগড়ে বনাঞ্চল উজার করছে স্বয়ং বন বিভাগ, গাছ রোপনের পরিবর্তে গাছ কাটাই যেন বন বিভাগের কাজ।
পঞ্চগড়ে সড়কের ৬ হাজার গাছ কাটার প্রস্তুতি সম্পন্ন বন বিভাগের। গাছে নাম্বারিং করে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার চুড়ান্ত করেছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।যদিও দেওয়া হয়নি গাছ কাটার কার্যাদেশ।
তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সড়কের সৌন্দর্যের জন্য গাছগুলো না কেটে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন, স্থানীয় জনগণ ও পথচারীরা।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জেলায় বনবিভাগ গাছ কেটেছে প্রায় ৩৫ হাজার। ৬৩ হাজার গাছ রোপন করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত দপ্তরটির রোপন কার্যক্রম দেখা যায়নি। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলায় বদলী হয়ে যাওয়া কর্মকর্তা মধু সুদন বর্মন জানিয়ে ছিল গত ১০ বছরে বন বিভাগ পঞ্চগড়ে কোন গাছ রোপন করে নাই। বন বিভাগের লাগানো প্রায় সব গাছ কেটে শেষ। সরেজমিনে দেখা যায়,এখন সেই এলাকাগুলো ধূধূ মরুভূমি,তীব্র তাপদাহ।সড়কের গাছের নিচে ছায়াতলে মানুষ বিশ্রাম নিত।পথচারী চলাচল করতো আরামে।সড়কের ধারে সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্য এখন আর নেই।
বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী জেলায় ৫৩ কিলিমিটার সড়কের প্রায় ছয় হাজার গাছ মার্চ মাসে টেন্ডার করা হয়েছে।যা বোদা উপজেলার বানিয়াপাড়া থেকে পূর্বে কামাত মাঝগ্রাম ৭৯ টি,ভীমপুকুর থেকে পাহাড়ডাঙ্গা ১৬৭ টি, মন্নাপাড়া থেকে ভেল্লাই ৫৮,উলিপুকুরি স্কুল থেকে দাড়িয়াপাড়া ৩২৫,মন্নাপাড়া খেকে সুতার পাড়া ৭৮৬,দেবীগঞ্জ পামুলি ইউনিয়নের সাবেক রজব আলী মেম্বারের বাড়ি হতে রনিউল মেম্বারের বাড়ি ১ হাজার ১১০ টি,বসুনিয়াহাট বটতলি হতে সোনাহার কলেজ ৭৬০,ভাউলাগঞ্জ বটতলি ছাউনি থেকে টেপ্রীগঞ্জ বাজার ৪০৯,পঞ্চগড় সদরের গাঞ্জাবাড়ি থেকে জোতপাড়া স্কুল ২১৯,গড়িনাবাড়িতে ২২৪,আটোয়ারী পাটশিরি বাজার দরমপাড়া ১ হাজার ১৩১,চাকলাহাট সর্দারপাড়া হয়ে নেকীপাড়ায় ১১৩ টি।
লক্ষীরহাট এলাকার রুবেল বলেন,যেহেতু গাছগুলো আমাদের ছায়া দিচ্ছে। সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে।পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করছে।সেহেতু গাছগুলো না কাটা ভালো। তার ভাষ্যমতে, গাছপালা কমে যাওয়ার কারণেই পরিবেশ হুমকির মুখে।
দেবীগঞ্জ পামুলি লক্ষিরহাট সড়কের নিয়মিত চলাচল করেন ভ্যানচালক কেরামত আলী। তিনি বলেন, ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি প্রায়ই সড়কের পাশে বসে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেন।গাছগুলো কাটা হলে আর বসা হবে না।তার কথায়-গাছের কারণে মানুষ স্বস্তিতে সড়কে চলাচল করতে পারে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পঞ্চগড় আঞ্চলিক কমিটির সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল জানান,একটি গাছ কাটা মানে একজন মানুষকে মেরে ফেলা।গাছ কাটার তিন বছর আগে থেকে,চিন্তা করে সে গাছ রোপন করতে হবে।গাছগুলো যেহেতু সড়ক নির্মাণ ও চলাচলে সমস্যা করছে না।সেহেতু শুধু টাকার জন্য কেন কাটা হবে? নির্বিচারে গাছ কাটার কারণেই প্রকৃতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।তিনি গাছ রক্ষার দাবি জানিয়ে, প্রয়োজনে মানববন্ধন সহ আন্দোলন করা হবে বলেন এই নেতা।
দেবীগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আব্দুল কাদের বলেন,সামাজিক বনায়নে উপকারভোগিদের সাথে ১০ বছরের চুক্তি থাকে,গাছ কাটা এবং রোপন করার।এতে পরিবেশ ও উপকারভোগি দুদিকেই লাভবান।তারপরও ১০ বছরের পরিবর্তে ১২-২০ বছরেও পার হয়ে যায় গাছ কাটার সময়।
এমএসএম / এমএসএম
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
দুমকীতে দুই আওয়ামীলীগ নেতা আটক
চন্দনাইশে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের তথ্য উপস্থাপন কর্মশালা
পবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী পুনঃভর্তির আদেশ
দৈনিক সকালে সময় পত্রিকাই সংবাদ প্রকাশের পর পানিবন্দি থেকে মুক্তি পেলেন অর্ধশত পরিবার
জয়পুরহাটে কাব ক্যাম্পুরী ও শতভাগ অর্জনকল্পে প্রস্তুতিমূলক ক্যাম্পের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন
শেরপুরের শ্রীবরদীতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
বড়লেখায় ৩ দফা দাবিতে সহকারি শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত, ১৫১ প্রাইমারি স্কুলে অচলাবস্থা
কুমিল্লায় ৫ হাজার গাড়ীবহর নিয়ে বিএনপিনেতা গফুর ভূইয়ার প্রচারনা
রাজশাহীতে ‘‘অপারেশনস্ ফার্স্ট লাইট’’ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও মোটরসাইকেল উদ্ধার: গ্রেফতার: ১৩
বালাগঞ্জে পরিচ্ছন্নতা ও রোগীর স্বাস্থ্য রক্ষায় নতুন উদ্যোগ নিলেন ডা. মামুন