দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ
জাল সার্টিফিকেটে চাকরি করা জুনিয়ার অফিসার খাদিজা আক্তার চাকরিচ্যুত
জাল সনদে চাকুরী করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের এক্সরে বিভাগের জুনিয়র অফিসার খাদিজা আক্তার কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ২ জুলাই মঙ্গলবার দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদ হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তাকে চাকরি চ্যূত করে। গতকাল খাদিজা আক্তারের চাকরি চ্যূতির বিষয়টি দৈনিক সকালের সময় কে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এস এম খোরশেদ আলম মজুমদারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে গত ২ জুলাই দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় "হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে জাল সার্টিফিকেটে চাকরি করছেন খাদিজা আক্তার" শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় মগবাজারস্থ হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে দীর্ঘ এক বছর ধরে চাকরি করে আসছেন খাদিজা আক্তার নামক এক নারী। এবং গত এক বছর ধরে তিনি ওই হাসপাতালের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা এবং বেতন ভাতা উত্তোলন করে ভোগ করছেন। এই বিষয়টি হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে জানাজানি হওয়ার পরেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন এই নারী। ২০২৩ সালের ২৮ মে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে জুনিয়র অফিসার পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান খাদিজা আক্তার। যা ওই বছরের ০১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। তার মাসিক বেতন ধার্য করা হয় ২২০০০ (হাজার )টাকা।হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(ডাঃ) এস এম হুমায়ুন কবীর (অবঃ) এই নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। সেই সময়ে চাকরির আবেদনপত্রের সাথে দেওয়া জীবন বৃত্তান্তে খাদিজা আক্তার নিজেকে ডিগ্রি পাস বলে উল্লেখ করেন। পিরোজপুরের আফতাব উদ্দিন কলেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৬ সালের ডিগ্রি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এবং সেই সাথে ডিগ্রি পাসের শিক্ষা সনদ সংযুক্ত করেন খাদিজা আক্তার। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তার সংযুক্ত করা ডিগ্রি পাশের শিক্ষা সনদটি জালিয়াতি করে চাকরিতে নিয়োগ নিয়েছেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে খাদিজা আক্তার ২০১৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাসের সনদপত্রে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ১৫৮৯১১৫ এবং রোল নাম্বার ব্যবহার করেছেন তা গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা কলেজের মানিক সরকার নামক এক ব্যক্তির। কম্পিউটারে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে তিনি এই জালিয়াতি করেছেন।
এ বিষয়ে খাদিজা আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে জানান,আসলে আমি ডিগ্রী পাস করিনি, আমি চাকরিতে যোগদানের জন্য সিভি জমা দিয়েছিলাম ডিগ্রি পাশের জাল সার্টিফিকেট দিয়ে, কিন্তু আপনাকে লেখার জন্য কে বলেছে? আপনাকে কি এই বিষয়টি এডওয়ার্ড জানিয়েছে? আপনাকে কি হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে আমার সার্টিফিকেট ভেরিফাই করার দায়িত্ব দিয়েছে?
এই ধরনের নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন খাদিজা আক্তার। তিনি আরো জানান, আমার এই ধরনের কাজ যদি ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে তাড়িয়ে দিক।এছাড়াও খাদিজা আক্তার অভিজ্ঞতার সনদপত্রে ন্যাশনাল ইয়্যুথ ডেভেলপমেন্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমির যে সনদপত্র দিয়েছেন তাও জাল বলে জানা গেছে। খাদিজা আক্তারের গ্রামের বাড়ির পিরোজপুর সদর উপজেলার তালুকদার পাড়া শেখপাড়া গ্রামে।এই গ্রামের বাসিন্দা আজহার পালোয়ানের মেয়ে খাদিজা। তার মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম।
ইতো পূর্বেও এই খাদিজা আক্তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরি করে এসেছেন বলেও জানা গেছে।
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা
Link Copied