ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

পানি বাড়লেই নামে ধ্বস-স্থায়ী বাধের দাবি পদ্মাপাড়ের মানুষের


আবিদ হাসান, হরিরামপুর photo আবিদ হাসান, হরিরামপুর
প্রকাশিত: ১০-৭-২০২৪ বিকাল ৫:২১

প্রতিবছর পানি বাড়ার সাথে সাথে বাধে নামে ধ্বস। এছারাও প্রতিবছর অব্যহত বৃষ্টি আর উজান থেকে বয়ে আসা বন্যার পানিতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে উপজেলা রক্ষাবাধ ধ্বসে যায়। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। বর্তমানে প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের কারণে উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী আন্ধারমানিক,খালপাড়,দাসকান্দি,ভাওয়ারডাঙি,দড়িকান্দি,হারুকান্দি,বকচর,জগনাথপুর,আলগীচর,রামকৃষ্ণপুর,বাহাদুরপুর,গোপিনাপুর,কাঞ্চপুর,ধুলশুরাসহ পুরো উপজেলার বিভিন্ন নদী তীরবর্তি এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানেই ভাঙন শুরু হয়। ফলে জিও ব্যাগ দ্বারা নদী শাসনের কাজ চলমান থাকলেও প্রতিবছর কিছু না কিছু এলাকার অংশ পদ্মানদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আবার চরাঞ্চলে কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ দ্বারা ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও তা বিফলে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গত দুই বছরে কোর্টকান্দি,মহম্মদপুর,বৌদ্ধকান্দিতে শত শত বিঘা জমি ও বাড়িঘড় পদ্মার তান্ডবে হারিয়ে গেছে। এছারাও গত কয়েকবছর ধরে অব্যাহত ভাঙনে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১৩টি মৌজার মধ্যে ১২টিই নদীগর্ভে চলে গেছে বলে জানা যায়।
ফলে পদ্মানদীর অতি নিকটে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদসহ হুমকিতে রয়েছে সরকারি,বেসরকারি সম্পদ।
উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের জাহেদ জানান, প্রতিবছর বর্ষা এলে একই জায়গায় বাধে ধ্বস নামে। প্রতিবছর অস্থায়ী বাধে যে টাকা খরচ হয়, কয়েকবছরের টাকা একসাথে করলে তাতে করে নতুন স্থায়ী বাধ দেয়া যায় বলে ধারণা করছি। তাছারা, স্থায়ী বাধ হলেতো প্রতিবছর মোটা অংক পকেটে যাবেনা বলে হয়না, নাকি করেনা, এটা বুঝিনা।

বকচর গ্রামের মাসুদুর রহমান জানান, আমাদের গ্রামসহ নদী তীরবর্তী পুরো এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছর জিও ব্যাগ ধ্বস নামে। আবার সেখানে কিছুটা বস্তা ফেলে, এটা অস্থায়ী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার জোর দাবি- স্থায়ী একটা বাধ দিয়ে হরিরামপুরের অসহায় মানুষদের পাশে যেন তিনি দারান, এজন্য মাননীয় এমপি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন সুদৃষ্টি কামনা করেন।

খালপাড় এলাকার জয়নাল জানান, প্রতিবছর বন্যার সময় এই জায়গাটি ভাঙে। এখানে দু একদিনের বস্তা না ফেললে আমাদের পঁচিশটি পরিবারের বাড়িঘড় পদ্মায় নিয়ে যাবে। আমরা সরকার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
একটা স্থায়ী বাধ না করলে দুদিন আগে পরে ভাঙনে আমাদের রাস্তায় ঠাই হবে কি না জানিনা।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈদ উদ্দিন বলেন, জরুরীভাবে ভাঙন কবলিত স্থানে আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। হরিরামপুর উপজেলায় প্রায় ১৪ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বর্তমানে অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন আছে।

মানিকগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বলেন, হরিরামপুর পদ্মা ভাঙন কবলিত এলাকা। পরবর্তী সংসদে আমি বিষয়টি উপস্থাপন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচরে আনবো। আশাকরি, স্থায়ী একটা ব্যবস্থা হবে।

এমএসএম / এমএসএম

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট

পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা

কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান

আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল

হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা

‎শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি

বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী

চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ

কটিয়াদীতে পুকুরের পানিতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু