ঢাকা বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পূর্ণিমায় জেলেদের মুখে তৃপ্তির হাসি


নিজস্ব সংবাদদাতা photo নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২৩-৮-২০২১ দুপুর ৩:১

দীর্ঘ ৬৫ দিন সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর সাগরে নেমে আশান‍ুরূপ ইলিশ মেলেনি আনোয়ারার ১০ হাজার জেলের জালে। ভরা মৌসুমে ইলিশ না মেলায় হতাশ মনে দ্বিতীয় পূর্ণিমায় অপেক্ষায় ছিলেন তারা। তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার শুরু থেকে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়তে শুরু করেছে ইলিশ। জো-এর দিনক্ষণ মিলিয়ে আনোয়ারা উপকূলে জমে উঠেছে রুপালি ইলিশের মেলা।

দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তেমন বড় আকারে ইলিশ জালে ধরা পড়ছে না বললেই চলে। তবুও ছোট ও মাঝারি আকারের ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের মুখে তৃপ্তির হাসি। গত শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার গহিরা উপকূল এলাকার উঠান মাঝির ঘাট, দোভাষী ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত দুদিনে সাগর থেকে ইলিশবোঝাই করে ঘাটে ফিরেছে অর্ধশতাধিক ট্রলার। ফিরে আসা ইলিশভর্তি এসব ট্রলার গহিরা উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে রাখা হয়েছে। মাঝিমাল্লাদের মাঝে ছিল মাছ সংরক্ষণের তোড়জোড়। মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা না পেলেও এখন কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলে, আড়তদার ও মৎস্যজীবীদের মুখে।

দেখা যায়, কেউ ইলিশ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ প্যাকেট করছেন আবার কেউ কেউ সেই প্যাকেট বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে। ট্রলার থেকে মাছ নামতেই জেলেরা ডাক বসাচ্ছেন মাছের দামের। দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে, যা এর আগে বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে। আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ২৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে, যা এর আগে ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বড় ইলিশের সরবরাহ কম বললে চলে।

এদিকে, উপজেলার মাছের সবচেয়ে বড় আড়ত কালাবিবির দীঘির মোড়ে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ গ্রাম সাইজের প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৫০০ টাকায়। প্রতি তিন পিসে কেজি এমন ইলিশ প্রতি কেজি সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে, ছোট জাটকা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দোভাষী ঘাট মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সেগুলোর হালি ২৫০০ হাজার টাকা হাকাচ্ছে। তার মতে, বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে  ইলিশের দাম কমে আসবে।

উঠান মাঝি ঘাটের বাজারের ইলিশ বিক্রেতা ওসমান জানান, ইলিশের মৌসুম হলেও অন্য বছরের তুলনায় এ সময় ইলিশ ধরা পড়ছে কম। এ কারণে বাজারে ইলিশের দাম উঠা নামা করলেও অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।

উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কৃষ্ণ দাশ বলেন, মূলত সাগরে মিষ্টি পানি নামার সাথে সাথে গভীর সমুদ্র থেকে বড় মাছগুলো কাছে চলে আসে আর তখনই জেলেদের জালে আটকা পড়ে যায়। এ বছর বৃষ্টি হওয়ার পরও জেলেদের জালে প্রথম দিকে মাছে দেখা মেলেনি। আজ থেকে জো-এর দিনক্ষণ মিলিয়ে উপকূলে জমে উঠতে শুরু করেছে ইলিশের আমেজ। আশা করি আগামী পূর্ণিমায় জেলেদের জালে আরো ভালো মাছ পড়বে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, আসলে আমরা সরেজমিন বিষয়টি গিয়ে দেখেছি। জেলেদের জালে তেমন আশানুরূপ মাছ ধরা পড়েনি প্রথম দিকে। ভাদ্র মাসের শুরু থেকে মাছ ধরা পড়েছে। আর যেসব মাছ পড়ছে তা সাইজে অনেক ছোট।  জো-এর দিনক্ষণ মিলিয়ে সামনে মাছ পড়তে পারে।

এমএসএম / জামান

চুরি করে আনা প্রাইভেট কারে ছিল বিপুল পরিমান মাদক

বিগত সরকারের শাসনামলের ১৫ বছর আতঙ্কের ভিতর কাটিয়েছিঃ অভি

ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা খোকন গ্রেফতার

মেডিক্যাল চান্স পাওয়া পাবনার শিক্ষার্থী মেঘলার সব দায়িত্ব নিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক

উলিপুরে নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

গলাচিপায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

মান্দায় ভারতীয় জাল রুপিসহ আ.লীগ নেতা আটক

সিলেটে ২ দিনে ১ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ

চন্দনাইশে আটককৃত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ভুরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসায় ভোগান্তি বন্ধে মানব বন্ধন

আপনারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে না পারলে, যারা পারবে তাদের পথ সুগম করেন: দুদু

খানসামায় নদীর বালু হরিলুট করছে ইউপি সদস্য