মধুপুরে নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টার্গেট করে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট
শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রকাশের পর আন্দোলনকারীরা টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরে বিশাল আনন্দ মিছিল করেছে।
সোমবার বিকেলে বাস্ট্যান্ডের সড়ক মোহনার আনারস চত্ত্বরে সমবেত হয়ে তারা এ মিছিল শুরু করে। এসময় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বাসা বাড়ি টার্গেট করে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করেছে বিক্ষুব্দরা। সোমবার বিকেল চার থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত চলেছে এমন কর্মকান্ড।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি সিদ্দিক হোসেন খানের জামালপুর রোডের বাসা ভাংচুর, লুট, অগ্নি সংযোগ করে, তার গোপদের অটো চালের কারাখানায় হামলা করে বস্তায় বস্তায় চাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবুর বাসার চেম্বার, সহসভাপতি কাজী মোতালেবের কাজী ডিজিটাল হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ডের রাসেল খান টাওয়ার, বন্ধু ফার্মা (ঔষুধের দোকান), সোনালী ব্যাংকের পাশে কম্পিটারের দোকান, হাটখোলায় একাধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের উপর রোববার আক্রমণ করার কারণে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ সজীব, যুবলীগের খন্দকার আলমগীর হোসেন শিমুল, শিমুল মন্ডল, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকের বাড়ি ভাংচুর করে আগুন দেয় বিক্ষুব্দরা। তারা পুরো শহরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। টার্গেট করে করে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে তারা।
এর আগে রোববার দ্বিতীয় বারের মতো উপজেলা আ’লীগ অফিস, ট্রাক মালিক সমিতির অফিস আক্রমণ এবং অগ্নি সংযোগের শিকার হয়েছে। পৌর ভবন জনপ্রতিনিধিদের বাসা বাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ১৫ টি মোটর সাইকেল, পুলিশ বক্স কোন কিছুই বাদ যায়নি আক্রমণ থেকে।
ময়মনসিংহ সড়কের পৌরভবনে আক্রমণ করে ময়লার গাড়ি,পানির ট্যাংক বহনকারী গাড়িসহ অন্তত ৪ টি বড় ও দুইটি ছোট গাড়ি ভাংচুর করে আগুন দেয়। ভিতরে ঢুকে কম্পিউটার সার্ভার কক্ষ, আলমিরাসহ গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে। মধুপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একদল কর্মি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সোমবার দুপুরে ধনবাড়ী উপজেলা আ’লীগের অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অফিসের পিয়নকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমএসএম / এমএসএম