ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলির প্রধান নায়ক সিআরটি প্রধান এডিসি শাহরিয়ার আত্মগোপনে


সিলেট ব্যুরো অফিস photo সিলেট ব্যুরো অফিস
প্রকাশিত: ১০-৮-২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলির প্রধান খলনায়ক সিআরটি প্রধান শাহরিয়ার আল মামুন এখন আত্মগোপনে। গত মঙ্গলবার সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে একজন সুস্থ মানুষকে রোগী সাজিয়ে তিনি সিলেট ত্যাগ করেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে তাকে গেলো কয়েকদিন থেকে হন্য হয়ে খোঁজে ছাত্র-জনতা। সূত্র জানায় তিনি নিজ বাড়িতেই আত্মগোপন করে আছেন। চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে অনেকে কালো পোশাকধারী পুলিশের এই বিশেষ বাহিনীকে প্রথমে ভারতীয় পুলিশ মনে কওে ছাত্র জনতা। প্রকৃত পক্ষে এটা পুলিশের উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিশেষ একটি বিশেষ ইউনিট। এই সিআরটি  (ঈজঞ) কে আমেরিকা থেকে প্রশিক্ষক এনে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো, জঙ্গি দমনসহ, নাশকতাকারীদের দমনের জন্য। এসএমপির ডিবিতে কর্মরত এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন এই সিআরটি বাহিনীর প্রধান হওয়ায় বিগত এক বছর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযানের নামে চালিয়েছেন লুটতোরাজ আর অত্যাচার আর নিপিড়ন। ডিবিতে পুলিশ সদস্য সংখ্যা কম থাকায় এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন যেকোন অভিযানে সিআরটির সদস্যদের নিয়ে নেমে পড়তেন মাঠে। অভিযানের নামে চালাতেন লুটপাট, আত্যাচার, নিপিড়ন এমন অভিযোগ শতশত ভুক্তভোগীদের। 
শাহরিয়ার আল মামুন দীর্ঘ ৮ বছর থেকে সিলেট এসএমপি পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি কখনোই তার কোন উর্ধ্বতন ডিসিকে তোয়াক্তা করতেন না। উত্তর-দক্ষিন জোনের ডিসিরাও ছিলেন এডিসি শাহরিয়া আল মামুনের কাছে অসহায়। দীর্ঘদিন তিনি এসএমপিতে কর্মরত বিভিন্ন কনেষ্টবলের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন অপরাধমুলক আস্থানা থেকে মাসিক-সাপ্তাহিক বখরা নিতেন। বিষয়টি স্বীকার করছেন পুলিশের সে সব কনেষ্টবল। এ প্রতিবেদককে দিয়েছেন বিকাশ লেনদেনের প্রমানাধিও বিভিন্ন টাকার লেনদেনের স্কিনস্ট কপি। তার নানাবিধ কর্মকান্ডে যখন এসএমপি ৬টি থানার ওসিরা অতিষ্ট, সকল ডিসিরা বিরক্ত তখন তিনি শেল্টার নিতেন সিলেটের প্রভাবশালী আওয়ামী দলীয় নেতাদের। তদবির করাতেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেট নগরীর যেসব এলাকায় গুলাগুলির ঘটনা ঘটে, সবখানেই নেতৃত্ব দিয়েছেন সিআরটির প্রধান এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন। পুলিশের মধ্যে কালো পোশাকে সিলেট সিআরটি স্বসস্ত্র অবস্থায় ছিলো মারমুখি। এমন শত শত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ভাইরাল। সিলেটে চলমান বৈষম্যেবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের প্রতিটি আন্দোলনস্থলে গুলির করার নৈপথ্য ছিলো সিআরটির কালো পোষাকের এই বিশেষ বাহিনী আর নেতৃত্বে ছিলেন শাহরিয়ার আল মামুন। 
সিলেট শাবির ছাত্ররা নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় শুক্রবার শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সুবিদ আসামাত্র সরাসরি সেখানে উপস্তিত থেকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন শাহরিয়ার আল মামুন। তখন সেখানে সিআরটির সদস্যরা বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ শুরু করে। সেই ছাত্র আন্দোলনের নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ইংরেজি দৈনিক দি এশিয়ান এইজ পত্রিকার সিলেট ব্যুরো অফিসের ফটো সাংবাদিক কামাল হোসেন মিঠু। দৈনিক কালবেলার ব্যুরোচীফ মিঠু দাস জয়, সিলেট প্রতিদিনের মোশাহিদ ও এক শিশুসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন। সিআরটির এসব গর্হিত জগন্য কাজের জন্য এসএমপির পুলিশের অনেক নিরোপরাধ সদস্য এখন জীবন আতংকে। তারা জীবন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেখানে থাকা অনেক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানিয়েছেন, তারা ছিলেন নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি করার বিপক্ষে। কিন্তু শাহরিয়ার আল মামুন তখন তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে গুলি করতে বাধ্য করান। এছাড়া নগরীর চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, উপশহর পয়েন্টে শাহরিয়ার আল মামুসের নেতৃত্বে প্রকাশ্যগুলি করে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপরে। ফলে শত শত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন, আহত হন অনেক সংবাদকর্মী। বিশেষ করে বিগত একটি বছর সিলেট মহানগরী এলাকায় সিআরটি সদস্যদের নিয়ে ন্যাক্কারজনক তান্ডবলিলা চালিয়েছেন শাহরিয়ার আল মামুন। এসব কর্মকান্ডের সকল তথ্য উপাত্ত্ব্য নিয়ে বারবার এসএমপির উপর মহলকে অবগত করলে তারা বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি কেউ। কারণ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর আর সিলেট আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত ছিলো তার ছায়া হিসাবে।
শাহরিয়ার আল মামুন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুয়ার আস্থানা, আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে আটক করে মানব পাচার মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে আবার ছেড়ে দিতেন তিনি। কোন জুয়ার আসর থেকে ২০ জন গ্রেফতার করলে টাকা নিয়ে ১৫ জন ছেড়ে দিয়ে  কে পরদিন আদালতে মামলা দিয়ে চালান দিতেন। চাহিদামতো টাকা না পেলে সিআরটি সদস্যদেও আটককৃতদের ইলেকট্রিক ডিভাইস দিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে ইলেট্রিক শক দিতেন। টাকা দিলে মুক্তি মিলতো, টাকা না হলে আদালতে মামলায় চালান দেওয়া হতো। এরকম শত শত অভিযোগকারী আমাদের কাছে অভিযোগ করতেন। সিলেট সিআরটির প্রধান শাহরিয়ার আল মামুন এসএমপির এডিসি ডিবিতে কর্মরত পাশাপাশি তিনি পুলিশের বিশেষ বাহিনী সিআরটির প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার গ্রামের বাড়ি বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। ২০১৬ সাল থেকে টানা ৮ বছর থেকে সিলেট এসএমপিতে কর্মরত থাকায় অনেক অপরাধীসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। শাহরিয়ার আল মামুন ২৭ বিসিএস কর্মকর্তা। ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর পুলিশ বাহিনীতে যোগদেন। কর্মজীবনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), গাজীপুরের কালীগঞ্জ সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এবং সদর সার্কেলে হিসাবে চাকরি করেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৬ সালে সিলেট এসএমপিতে যোগদান করে এখনও একই ইউনিটে কর্মরত আছেন।

এমএসএম / এমএসএম

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় কেরুজ পুকুরে বিদ্যুতায়িত জিআই তারে কৃষকের মৃত্যু

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

কুতুবদিয়ায় তিন দিনে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

রাজশাহীতে দিনব্যাপী সুজুকি বাইকার্স ডে অনুষ্ঠিত

চিতলমারীতে কাব কার্নিভাল-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন

সিংড়া পৌরসভার ৩০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

শান্তিগঞ্জে 'পার্টনার কংগ্রেস' অনুষ্ঠিত

দোহারে পুলিশের বিরুদ্ধে যুবকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ