ঢাকা সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মাগুরায় সাবেক দুই এমপি সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা


মাগুরা প্রতিনিধি photo মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫-৮-২০২৪ রাত ৯:৯

মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে গুলিতে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি (৩৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য (এমপি) সাইফুজ্জামান শিখর, বীরেন শিকদার সহ ১৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন নিহত মেহেদীর ভাই ইউনুস আলী।

নিহত মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।

মামলায় মাগুরা-১ আসনের সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখর ও মাগুরা-২ আসনের এমপি সদস্য বীরেন শিকদারে বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে হত্যার হুকুম ও মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যা মামলার অন্য আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শেখ রেজাউল ইসলাম, যুবলীগের কর্মী পারনান্দুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা রথী মোল্লা, বরুনাতৈল গ্রামের আজিম, যুবলীগ নেতা মীর রাশেদুল ইসলাম সুমন, পারনান্দুয়ালী গ্রামের হেদায়েত কোরাইশ, বরুনাতৈল গ্রামের আজিজুল, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিশির অধিকারী, বরুনাতৈল গ্রামের রাকিব ও পারলা গ্রামের তৌহিদ মোল্যা।

এজাহারে বাদী ইউনুস আলী উল্লেখ করেন, তাঁর ভাই জেলা ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। মাগুরার সাবেক দুই এমপির হুকুম ও মদদে ৪ আগস্ট সকালে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হুমকি দিয়ে আসেন। পরে মেহেদী হাসানসহ অন্যরা মিছিল নিয়ে ঢাকা রোড এলাকার যেতে চাইলে আসামিরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। প্রথমে রাস্তায় ফেলে আসামিরা মেহেদী হাসানকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। একই সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম তাঁর হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে মেহেদী হাসানের বাঁ পাঁজরে আঘাত করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, একই দিনে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী ব্যাপারীপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশে ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন পুলিশের সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান। তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

হাসপাতালের পরিচালক মহসিন উদ্দিন  বলেন, ওই দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আহত অবস্থায় ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদী হাসান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন মারা যান। মেহেদীর বুকে ও ফরহাদ হোসেনের মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। দুজনই একই এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

এমএসএম / এমএসএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চন্দনাইশে বিএনপির শীত বস্ত্র বিতরন

পার্বত্য সমতল আমরা সবাই বাংলাদেশি: দুদু

নানা আয়োজনে বারহাট্টায় সরস্বতী পূজা উদযাপন

মধুপুরে জমি বিক্রির পর ফের দখলের চেষ্টা, দোকানপাট ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

রূপগঞ্জে অসহায় লোকদের ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

জমি বিরোধের উসিলায় লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে সাতকানিয়া সদরে

খাগড়াছড়িতে উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা

গজারিয়ায় মাদক সহ আটক ২জন

কাশিমপুরে ভুয়া ঋণের ফাঁদ: কোটি টাকা আত্মসাৎ, ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন।

নেত্রকোনায় বিশ্ব জলাভূমি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে উদযাপন

মানিকগঞ্জে অ‌বৈধ দুই ইট ভাটায় অ‌ভিযান

৮ বছরেও বিচারকার্য শুরু না হওয়ায় মনে আর প্রবোধ দিতে পারছি নাঃ শিমুলের স্ত্রী