আধিপত্য বিস্তারের জেরে টেঁটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ০৬, আহত অর্ধশতাধিক

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ০৬ জন নিহত হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের আহত অন্তত ৫০ জন।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্স, নরসিংদী সদর ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ ও বালুচর এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকার ইসমাঈল হোসেন ব্যাপারীর দুই ছেলে আমির হোসেন (৭০) ও বাদল মিয়া (৪৫), আব্বাস আলীর ছেলে আনিছ মিয়া (২৫), শাহীন মিয়ার ছেলে ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোস্তাকিম জুনায়েদ (১৬), সিদ্দিক মিয়া ও একই ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকার শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫)। স্থানীয় সূত্র জানাযায় দুটি পক্ষের মধ্যে একটির নেতৃত্বে আছেন আবু হানিফ জাকারিয়া (হানিফ মাস্টার) নজরুল ইসলাম ও ইউনুস আলী অন্যটির নেতৃত্বে আছেন ফরিদ মিয়া ও আহসানুল্লাহ মেম্বার।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ১৬টি বছর আবু হানিফ জাকারিয়া আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ছিলেন এবং দলীয় সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আবু হানিফ জাকারিয়া পুনরায় বিএনপিতে চলে যান। এবং নিখুঁতভাবে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকান্ড চালান, এখনো তার পক্ষে নজরুল ইসলাম ও ইউনুস আলীর নেতৃত্বে একটি দল দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, দা, বল্লম, ছুরি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহসানউল্লাহ মেম্বারের সমর্থকরা। এ ঘটনা এখনও পর্যন্ত এলাকায় কোন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাননি বলেও জানিয়েছেন তারা।
আহতদের মধ্যে তোফাজ্জল মিয়া নামে এক স্কুল শিক্ষককে আশঙ্কাজন অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তাঁর বুকে ও কোমড়ে দুটি টেঁটার আঘাত রয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী জুনায়েদের ভাই সানজিদ জানান, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে আমার ভাই জুনায়েদকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে নজরুল ও ইউনুস। তারা আমাদের বাড়িতেও ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে।
নিহত আমির হোসেন এর স্ত্রী জানান বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুই ভাই আমির হোসেন ও বাদল মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের ক্যাডার ইউনুস আলী ও নজরুল ইসলাম। আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ঘাতক নজরুল ও ইউনুস দুই ভাইয়ের লাশ রাস্তায় ফেলে রেখে উল্লাস করে।
নিহত সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী ও স্বজনরা জানান, হানিফ মাস্টারের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকাণ্ড চালাই ইউনুস ও নজরুল ইসলাম। স্বজনরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ ব্যাপারে আবু হানিফ জাকারিয়ার বক্তব্য জানার জন্য সরেজমিনে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অপরপক্ষের আহসানুল্লাহ মেম্বার বলেন আবু হানিফ জাকারিয়া (হানিফ মাস্টার) সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে আমাদের উপর নির্মম অত্যাচার ও জুলুম করেছেন, ঝগড়ার জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। দফায় দফায় গুলি করে তারা আমাদের দলের ছয়জন মানুষকে হত্যা করেছে, বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে, বহু মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে, আমি এই হত্যাযজ্ঞ ও নির্মম তান্ডবের বিচার দাবি করছি।
হত্যা কান্ডের মূল হোতা হানিফ মাস্টার
এমএসএম / এমএসএম

আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

কাপাসিয়ায় কড়িহাতা ইউনিয়নের মাস্টার ইয়াকুব আলী ফাউন্ডেশনের' উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা মাজহারুল ইসলাম ইমন

সলঙ্গায় কচুরিপানার নিচ থেকে মানুষের পায়ের কঙ্কাল উদ্ধার

পাবিপ্রবি’র শিক্ষকদের জন্য কর্মশালা শুরু

ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা

হাটহাজারীতে মানবতার কল্যাণে আমরা সংগঠনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

চন্দনাইশে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নাচোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ইলা মিত্রের জন্মশত বার্ষিকী পালিত

পাঁচবিবিতে গভীর রাতে ঝগড়া থামাতে বলায় প্রতিবেশির ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

চট্টগ্রামে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আলোচনা সভায় বেগম সেলিমা রহমান

দাগনভূঞায় ফেনী-৩ উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে দুই হাজারের বেশি রোগীকে সেবা প্রদান
