ফরিদগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাতে জনদুর্ভোগ চরমে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চারদিন ব্যাপী টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি বা ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাপক জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে।
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকার নিম্নাঞ্চলের আমন ধানের জমি। টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন শ্রমজীবী, দিনমজুর ও দৈনন্দিন কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে লাখো মানুষ। পানি বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে মৎস্য চাষী ও পোল্ট্রি খামারীরা।
উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রামের কাঠমিস্ত্রি বিল্লাল হোসেন, রুহুল আমিন, এমরান’র সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বৃষ্টির কারনে গত ৪দিন কাজে যাওয়া হয়না। দিন হাজিরা হিসেবে তাঁরা ৭০০ টাকা করে আয় করেন। এভাবে বসে থাকা মানেই ক্ষতি। পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের।
বৃষ্টির কারণে কর্মহীন দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন অটো রিকশাচালক সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে লোকজন ঘরের বাইরে আসে না, তাই বাড়িতে অবসর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। তবে পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে তাদের
পৌর এলাকার চতুরা গ্রামের জাহিদ হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারনে তার পোল্ট্রি খামারের প্রায় ১৫০০ মোরগের বাচ্ছা নষ্ট হয়েগেছে।
পূর্ব বড়ালী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন গাজী বলেন, তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে কৃষি আবাদ করেছেন। ৪ দিনের বৃষ্টিতে সকল সবজি পানির নিছে পড়েছে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে তার।
কেরোয়া গ্রামের মৎস্যচাষী কামাল মিজি, জাকির হোসেন, নাজিম উদ্দিন, গাজীপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকেই জানান, তারা যৌথভাবে পুজি বিনিয়োগ করে মাছ চাষ করেছেন। টানা বৃষ্টির কারনে খামারের সব মাছ ভেসে গেছে। তাদের প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার মাছ চলে গেছে। এতে তারা সর্বশান্ত হয়েগেছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মর্কতা বেলায়েত হোসেন বলেন, মৎস্যচাষীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন। বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। সেচপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হয়েছে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, 'উপজেলার বিল অঞ্চলের কিছু আমন ধানের জমি ও সবজি আবাদ তলিয়ে গেছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে এসব পানি নেমে যাবে।
পল্লী বিদ্যুতের ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে জড়ো হাওয়ার কারনে বেশ কয়েকটি এলাকায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে, তাই কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাছপালা অপসারণ করে লাইন মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে, আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মন্ডল বলেন, বৃষ্টির কারনে পানি প্লাবিত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জেনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করবো। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

সততার সঙ্গে ৪০ বছরের চাকরির সমাপ্তি, কনস্টেবল আব্দুস সবুরকে বিদায়

তারাগঞ্জে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়দের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ রোধে মতবিনিময় সভা

চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে মৎস্য অবমুক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ ও ফ্লাওয়ার জোনের উদ্বোধন

মুচির ধারালো অস্ত্রের কোপে কিডনি হারালেন কৃষকদল নেতা

মিরসরাইয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার শিকার এক ব্যবসায়ি , থানায় অভিযোগ

ধামইরহাটে ১৭০ তম সান্তাল হুল দিবস পালিত

মেহেরপুরে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন জেল ও জরিমান আদেশ দিয়েছে আদালত

বড়লেখায় ভিজিএফের ২৩৪ বস্তা চাল মাটিচাপা দিলো পৌর কর্তৃপক্ষ

আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক দলের আংশিক কমিটি ঘোষনা

নবীনগরে পুকুরে ভেসে উঠল অজ্ঞাত শিশুর লাশ

পটুয়াখালীতে দীর্ঘ ২৩ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন
