ঢাকা বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

নিজ বাড়িতেই জামদানির কারখানা মোস্তফা রহমানের


আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি photo আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮-৮-২০২৪ দুপুর ৩:৩১

সবুজের অবারিত প্রান্তর, পাখ পাখালির সুরেলা কন্ঠের বাহারী গানে মুখরিত চারিপাশ। প্রবাহমান মধুমতি পাড়ের মনোমুগ্ধকর ছোট্ট গ্রাম চাপুলিয়া। শৈল্পিক হাতের ছোঁয়া আর নান্দনিক মননের মিশেলে এমনি পরিবেশে বোঁনা হচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী ললনার আভিজাত্যিক বসন, জামদানি শাড়ি। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের মোস্তফা রহমান। 

নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জে দীর্ঘ ২০ বছর বিভিন্ন কারখানায় জামদানি বুনতেন তিনি। করোনা মহামারীর কবলে পড়ে বেকার হয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের হাল ধরতে মোস্তফা বাড়িতেই একটি মাত্র তাঁত বসিয়েই শুরু করেন স্বপ্নের শৈল্পিক বুনন। এরপরই শুরু হয় স্বপ্ন যাত্রা। আর বসে থাকতে হয়নি মোস্তফাকে। 

ফরিদপুর জেলা শহর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট উপজেলা আলফাডাঙ্গার চাপুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় এখন মোস্তফার ৬টি তাঁত। ৪ বছরের ব্যবধানেই তার কারখানায় কাজ পেয়েছেন আরো ১২ জন, নারী ও বেকার যুবক। তরুন উদ্যোক্তা মোস্তফার কারখানা গড়তে চার বছরে গড়ে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে তার কারখানায় ১৫-২০টি শাড়ি বুনছেন জামদানি শ্রমিকেরা। প্রতিটি শাড়ি প্রকারভেদে ১২-২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ঢাকার বাজারে ইতোমধ্যেই বেম সুনাম মিলেছে মোস্তফা তাঁতের জামদানির শৈল্পিক শাড়ীর। সুতা কারখানা ও শ্রমীক খরচ শেষে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ থাতছে তার। 

কারখানা বড় পরিসরে করার ইচ্ছা ব্যক্ত করতে গিয়ে মোস্তফা বলেন, অনেক কষ্টে তিলতিল করে এ পর্যন্ত এসেছি। কারখানাকে বড় করার মত অর্থ আমার কাছে নেই। সরকারী সহযোগীতা পেলে কারখানা বড় করার যেত। পানাইল গ্রামের গৃহিণী লতা বেগম ৩-৪ মাস ধরে কাজ শিখছেন এখানে। তিনি বলেন, সংসারে কাজ শেষ করে বাড়তি সময়ে মোস্তফা ভাইয়ের তাঁতে সময় দিই। এখন আমি কাজ শিখছি, তাও প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পাই। 

পার্শ্ববর্তী চাপুলিয়া গ্রামের হুসাইন আগে রূপগঞ্জে তাঁতপল্লিতে কাজ করতেন। এলাকায় তাঁত চালু হওয়ায় চলে এসেছেন। প্রতি মাসে আয় করছেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তিনি জানান, বাড়িতে থেকে কাজ করছি; ঘর ভাড়া দিতে হচ্ছে না। পরিবার নিয়ে এখন আগের থেকে অনেক ভালো আছি। 

ফরিদপুরের কানাইপুর থেকে আসা জামদানি শ্রমিক ইমন জানান, ২০-২৫ হাজার টাকা বেতন পাই। মালিকের বাড়িতেই থাকি। বাড়তি কোন খরচ নাই। আল্লাহ ভাল রেখেছেন।

উদ্যোক্তা মোস্তফার স্ত্রী লিপি সুলতানা জানান, তিনি স্বামীর কাছ থেকে তাঁত  বোনা শিখেছেন। স্বামী কাজের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গেলে তিনিই পুরো বিষয় দেখভাল করেন।  টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়া আসাদুজ্জামান জানান, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় জামদানি শাড়ি তৈরি হচ্ছে– এটি খুব আনন্দের। এলাকার কিছু বেকার কাজ পেয়েছেন। এখন অনেকেই যদি মোস্তফার মতো তাঁত গড়ে তোলেন, তাহলে এলাকার অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা  করা হবে।  আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দৈনিক সকালের সময় বলেন, এ উপজেলায় জামদানি শাড়ি তৈরি হচ্ছে– শুনে খুব ভালো লাগছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তা মোস্তফাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। 

T.A.S / T.A.S

বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্যে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

ভূরুঙ্গামারীতে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে সরকারী ও বেসকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের হাইব্রিড বীজ বিতরণ

বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে এসেছেন অলি-আউলিয়ারা, রাজনৈতিক দল নয়—পীর সাহেব ছারছীনা

নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ: আইডিয়াল স্কুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা

টঙ্গীতে রনি'র সমর্থনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৭ নেতার প্রস্তুতি সভা

কুমিল্লায় বেগম রোগমুক্তি কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে কুরআন খতম ও দোয়া

নাচোলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘নাচোল সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব’-এর কার্যালয় উদ্বোধন

সুবর্ণচরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমির ওপর অবৈধ ইটভাটা অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি

কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপি, জামায়াত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ