সীমাহীন দুর্নীতির আস্তানায় পরিণত ইডিসিএল
সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। এখানকার কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স শেষ হলেও তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় না। বারবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বাড়তে থাকে চাকরির বয়সসীমা। এতে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান। প্রয়োজন ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিগুণ জনবল নিয়োগ দিয়ে বাণিজ্যও করেছেন তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেন এখানকার কর্মকর্তারা।
এছড়াও সরকারি ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ক্রয় করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নিম্মমানের কাঁচামাল ব্যবহার করায় কাজ হয় না সরকারি ওষুধে। সম্প্রতি অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারাও বনে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। অবসরে গিয়েও বহালতবিয়তে আছেন। ফলে এখনো নিয়ন্ত্রণ করছেন এই প্রতিষ্ঠান।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী ইডিসিএলে প্রায়ই দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। এখানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বারবার কর্মকর্তাদের মেয়াদ বাড়তে থাকে। ফলে এখানকার কর্মকর্তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ছয় হাজারের বেশি মানুষ কাজ করেন। তাদের সিংহভাগ কর্মকর্তা। জনবল নিয়োগের মাধম্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক ইডিসিএলের এক কর্মকর্তা বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্বাচিপের নেতা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবীর জগলুল ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে দুই বছরের চুক্তিতে এসে পার করলেন ১০ বছর। তিনি দুবার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মনোনয়ন কেনেন। এই দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ নেতা আছেন বহালতবিয়তে। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করছেন তিনি।
দুদকে ৪৭৭ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে রিট হলে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয় দুনীতি দমন কমিশনকে। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তাদের লোক নিয়োগ দিয়ে ম্যানেজ করে তদন্ত রিপোর্ট নিজের অনুকূলে নেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর প্রায় তিন হাজার লোক নিয়োগ করেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই লক্ষ্মীপুর ও গোপালগঞ্জের। পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ পর্যন্ত টাকা নেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্যতম হলেন এমডির এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রিপন পণ্ডিত, হিসাব শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কোম্পানি সচিব ও অর্থ পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এফসিএমএ, উপমহাব্যবস্থাপক (ভাণ্ডার বিভাগ) আব্দুল কাইয়ুম খান পাঠান, সৈয়দ জহির উদ্দিন জামাল (মহাব্যবস্থাপক প্রকিউরমেন্ট), মোহাম্মদ শওকত আলী (উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকিউরমেন্ট), এমডির এপিএস মো. শামীম, হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, প্রশাসন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান, প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, প্রশাসন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আহসান রেজা, প্রকিউরম্যান বিভাগের কর্মকর্তা মিজান ও জুয়েল, মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ইসমাইল ও মোহাম্মদ জহির (উপ-ব্যবস্থাপক, মান নিয়ন্ত্রণ)।
শুধু ব্যবস্থাপনা পরিচালক নয়, এখানকার প্রায় সব সিনিয়র কর্মকর্তা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। ইডিসিএলের হিসাব বিভাগের সচিব খুরশিদ আলম ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। ২০২৩ সালের ৩১ মে ৫৯ বছর হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি বিভিন্ন লবিংয়ের মাধ্যেমে এমডির অনুমতিতে ফের এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান, যা ৩১ মে ২০২৪ তারিখ শেষ হয় এবং আবারো চুক্তির জন্য টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চুক্তির মেয়াদ বাডানোর জন্য জোর চেষ্টা করছেন।
ইডিসিএলের একটি সূত্র জানায়, খুরশিদ আলম এই প্রতিষ্ঠানে মাত্র তিন বছর। তাকে প্রতিষ্ঠানে ডিএমডি হিসেবে ডাকা হয়। তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ক্ষমতার দাপটে বাড়তি বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নেন এবং তিনি প্রায় ৩০০ লোক নিয়োগ করেছেন, যাদের একেকজন থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এছাড়াও দুর্নীতির মাধ্যেমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গাড়ি, বাড়ি, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের নামে জমি কিনেছেন। যেহেতু তিনি ক্রয় ও নিয়োগ কমিটির সদস্য, তাই নিয়োগ, পদোন্নতি, ক্রয়- সবকিছুই তিনি পরিচালনা করে থাকেন। তার রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট বাহিনী। তিনি নিজস্ব সাপ্লাইয়ার দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর গাড়ি কিনেছেন, বসিলায় ৩ হাজার ৫০০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন, এনবিআর কর্তৃক তার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
এমডির পিএস (উপ-ব্যবস্থাপক, প্রশাসন) মো. মনিরুজ্জামান জাল সনদের মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। জাল সনদধারী অনেককেই চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হলেও এই মনিরুজ্জামান আছেন বহালতবিয়তে। বর্তমানে তিনি আছেন এমডির পিএস ওয়ান হিসেবে। তিনি যেহেতু এমডির খুব কাছাকাছি, তাই তিনি নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি সবকিছু করে থাকেন। ইতোমধ্যে তিনি ১০০ জনবল নিয়োগ করেছেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। তার শ্বশুরের দিকের আত্মীয় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এখানে দাপটে নিয়োগ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বর্তমান এমডি ওই ৬০ জন কর্মী পুনরায় নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেন, যার বিনিময়ে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা লেনদেন সম্পন্ন হয়।
এমডিকে দুর্নীতি থেকে রেহাই দেয়ার জন্য তার আত্মীয়কে ব্যবহার করেছেন আর এমডি এজন্য তাকে স্টোর থেকে তার পিএস হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এমডির এপিএস শামীম, তার পদবি হচ্ছে সহকারী কর্মকর্তা। তার বাড়িতে রয়েছে ডুপ্লেক্স বাড়ি, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ, বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনা রয়েছে এবং তিনি ৫০০ লোক নিয়োগ দিয়েছেন। জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। দুদক থেকে নোটিস ও তদন্ত এসেছিল কিন্তু টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে সে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার মালিক।
ভাণ্ডার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম খান পাঠান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডক্টর সিরাজুল ইসলাম থাকাকালীন ১৬৭ জন জনবল নিয়োগ তার রুমে বসেই সম্পন্ন হয়েছে। এর বিনিময়ে ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। বর্তমান এমডি ২০২৪ সালের হজে পালন করতে গেলে খুরশিদ আলম এফসিএমএ, অর্থপরিচালক এমডির দায়িত্বে পালন করেন এবং তখন তিনি গজিএম প্রশাসন রেজা, পিএস শামিম, উপ-ব্যবস্থাপক প্রশাসন মো. মনিরুজ্জামানসহ সিন্ডিকেট ৬০ জন সিকিউরিটি গার্ড ও ক্লিনার নিয়োগ কার্য সম্পাদন করেন। বর্তমান এমডি হজ থেকে এসে তার অনুমতি বাকি রেখে এই কাজ সম্পাদনের জন্য তাদের নিয়োগ বাতিল করেন, যার প্রক্রিয়া চলমান।
ইডিসিএলের প্রকিউরমেন্ট বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শওকত আলীকে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বরে অবসারে পাঠানো হলেও ক্ষমতার পেশীশক্তির বলে তিনি এখনো কর্মরত এবং বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বহন করছেন। একই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ জহির উদ্দিন জামালেরও চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত তার দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও উপ-মহাব্যবস্থাপক কাইয়ুম খানকে গত বছরের ৭ জানুয়ারি অবসরে পাঠানো হলেও তিনি এখনো চলতি দায়িত্বে রয়েছেন। এরা সবাই প্রতিষ্ঠানটিতে ক্ষমতাবলে এখনো বসে আছেন। জনবল নিয়োগ, ওষুধের কাঁচামাল, বিভিন্ন মেশিনারি ক্রয় ও বারবার প্রতিষ্ঠানের খরচে বিদেশ ভ্রমণ করেন তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
বর্তমানে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে টোল উৎপাদন করা হয় পপুলার ফার্মাসিটিক্যাল, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যাল, শরীফ ফার্মাসিটিক্যাল, এপেক্স ফার্মাসিটিক্যাল, অ্যালাইড ফার্মাসিউটিক্যাল, আমিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, মার্কেটিং বিভাগের উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ রিয়াদ আরিফিন ম্যানেজার মার্কেটিং বিভাগ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মোটা অংকের কমিশনের জন্য প্রাইভেট ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে ওষুধ উৎপাদন করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের লাভের চেয়ে ব্যক্তির লাভই বেশি হয়, যার ভাগ এমডি থেকে শুরু করে পুরো সিন্ডিকেটের মাঝে বণ্টন করেন। অনেক সময় কোনো পণ্য উৎপাদনের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়, সে চায় উক্ত টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার।
বর্তমানে যত প্রকার কাঁচামাল ক্রয় করা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সকল প্রকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে ক্রয় করা হয়। ক্রয় কমিটিতে উত্থাপনের পূর্বেই সরবরাহকারীর সাথে দরকষাকষি করা হয় এবং অতিরিক্ত টাকা কিভাবে প্রদান করা হবে তা চূড়ান্ত হয়। এভাবে কোম্পানির কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করা হচ্ছে।
এসেনসিয়াল ড্রাগসের বোর্ড অব ডিরেক্টর ডক্টর জামাল উদ্দিন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দুর্নীতির কারণে সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকেও দুর্নীতির কারণে বাদ হয় তার পদ-পদবি। ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সেনবাগ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কেনেন। কিন্তু দুর্নীতির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিন এসেনসিয়াল ড্রাগসে ২০০ লোক নিয়োগ দিয়ছেন এবং প্রত্যেকর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। তিনি প্রায় ১২ বছর বোর্ডের মেম্বার। অধ্যাপক ডা. ইসমাইল হোসেন এসেনসিয়াল ড্রাগসের বোর্ড অব ডিরেক্টর। তিনি ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষক থাকাকালীন এসেন্সিয়াল ড্রাগসের বোর্ড অব দিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান। তারপরও এসেনসিয়াল ড্রাগসে পরিচালক পদে বহালতবিয়তে আছেন। মূলত ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক থাকার কথা থাকলেও ডাক্তার ইসমাইল হোসেন জোর করে এখানে বোর্ড অব ডিরেক্টর পদে বহাল থাকেন।
প্রতি বছর এসেন্সিয়াল ড্রাগস থেকে এক কোটি টাকার উপরে তার নিয়োগ বাণিজ্য থেকে আসে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরও পরিবর্তন হয় না অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগসের দুর্নীতি। মনে হয় যেন দুর্নীতি এখন বেড়েই যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমান এমডি বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে অর্থাৎ তাদের চাকরি পদোন্নতি বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়ে তিনি এখনো বহালতবিয়তে আছেন। এমনকি প্রতিদিন নতুন যোগদান অব্যাহত আছে বলে শোনা যায়।
বগুড়া শাখায় বিএনপি নেতা ফালু ৫ তারিখের পরে বগুড়া অফিসে ২০০-এর উপরে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম নিরবের নাম ভাঙিয়ে ৩০০ জনের উপরে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চলছে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, যার ভাগ বিএনপি নেতাদের পকেটে যায় বলে জানা যায়। চুক্তিভিত্তিক যারা রয়েছেন, তারা কয়েক দফা চুক্তির পরও এখন আবার চুক্তি বৃদ্ধির জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন, যার মাধ্যম বর্তমান এমডি।
এ বিষয়ে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবীর জগলুলের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
এমএসএম / জামান