চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে প্রাক্তন ছাত্রদের ক্ষোভ ও নিন্দা

বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ (রশিদ স্যার) এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাবেক শিক্ষার্থীসহ ম্যানেজিং কমিটির অনেক সদস্যদের মাঝে। এমন একজন গুণী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচার কোন ভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
সরেজমিনে, চারখাই উচ্চ বিদ্যালয় সহ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য সাথে কথা হয় এ প্রতিবেকের, জানা গেলো, আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পিছনে কলকাঠি নাড়ছেন স্থানীয় কতিপয় একটি চক্র। এই চক্রে জড়িত রয়েছেন, দীর্ঘ দিন থেকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে পদ বঞ্চিত একাধিক ব্যক্তি ।শিক্ষকতা শুরু : মো.আব্দুর রশিদ (রশিদ স্যার)বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ী পূর্ব দাওয়াদারী গ্রামে। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চারখাই বিদ্যালয়ে গণিতের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৮৭ সালের ১লা জুন থেকে ১৯৯০ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুরমা স্কুলে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেন। ১৯৯০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৯৩ সালের চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অদ্যবধি এই স্কুলের গণিতের সরকারি শিক্ষক হলেও একাধারে বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ ও উচ্চতর গণিতের পাঠদান করাতেন বিনা বেতনে।সহকারি শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ: ২০২১ সাল পর্যন্ত এই স্কুলের সহকারি শিক্ষক থাকলে সরকারি নিয়ম মাফিক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের সিদ্ধান্তে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ২০২২ সালের ১৪ জুন স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রানী দত্ত পুরকায়স্থ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসরে চলে যান। এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন বিষয়ের ৭ জন শিক্ষকের পদ শুন্য হয়ে পড়ে। যার ফলে স্কুলের পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হড়ে। পরে ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সকলে আলোচনা ক্রমে সরকারি বিধি মোতাবেক ২০২২ সালে ১৪ জুন সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তনি অদ্যবদি উক্ত পদে দায়িত্বরত রয়েছেন।ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মামলা ও নিষ্পত্তি : অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে থাকা কালিন সময়ে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন এজারুল হাসান নামের এক ব্যক্তি। ফলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। অবসর নেয়া প্রধান শিক্ষকের সময়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে এই মামলা চলমান থাকা দায়িত্ব গ্রহণের পরই হিমসিম খেতে হয় আব্দুর রশিদকে। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ২০২২ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত উত্তীর্ণ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সভাপতি বিহীন কমিটির সদস্যদের নিয়ে মামলা সংক্রান্ত খরচাদি ও বিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার পরিচালনার জন্য তাঁকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটি বিহিন সময়কালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক নূর বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা উত্তোলন বিলে প্রতি সাক্ষর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যার ফলে জুলাই-আগষ্ট-সেপ্টেম্বর উক্ত তিনমাস শিক্ষক কর্মচারীগণ আর্থিক সংকটে পড়েন।এডহক কমিটির সময়কাল: স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় এডহক কমিটির সময়কালে মামলা সংক্রান্ত খরচাদি, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে প্রাপ্ত বেতন থেকে ব্যয় করা হয়েছে। পরে আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করে ৬ মাসের জন্য একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ২০২২ সালের জুনে ভয়াবহ বন্যায় সিলেট সহ বিয়ানীবাজারের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কমিটি বিহিন সময় কাল ২০২২ সালের আগষ্ট থেকে সেপ্টম্বর এবং এডহক কমিটি গঠনের পর ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত মোট দশ মাসের বিল -ভাউচার বাবত সর্বসাকুল্যে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৭০৪ টাকা ব্যয় হয়। এই দশ মাসে স্কুল বেতন বাবত ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫০২ টাকা। প্রভিডেন্ট ব্যয় বাবত ৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৩ টাকা ও খরচের ভাউচার ভাবত ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৯ টাকা রয়েছে। এ সংক্রান্ত স্কুল উন্নয়নসহ বিভিন্ন ব্যয়ের হিসাব আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়। যা এখনো উপজেলা সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা রয়েছে অনুমোদনের জন্য। জমাকৃত ফাইলে ১০ মাসের পৃথক পৃথক বিল-ভাউচার জমা দেওয়া হয়। সে সময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় এডহক কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে আয় ব্যয়ের হিসাব যাচাই বাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিয়ানীবাজার নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম (এডহক কমিটির সভাপতি) দায়িত্বশীল থাকায়। বিল -ভাউচারে স্বাক্ষরের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে পাঠানো হলে তিনি ব্যস্থ থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৌলদুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করেন বিল-ভাউচারগুলো যাচাই বাছাই করার জন্য। মৌলদুর রহমানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিশেষ সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক তোফায়েল আহমদ চৌধুরীসহ খরচের সকল বিল-ভাউচার যাচাই-বাচাই করেন। কিন্তু এরপরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিলে স্বাক্ষর করেননি। যা আজ অবদি উপজেলা শিক্ষা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দপ্তরে জমা রয়েছে। হঠাৎ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম বিয়ানীবাজার থেকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় বদলি হওয়ার কারনে এখন পর্যন্ত স্কুলের এ সকল বিলে সাক্ষর হয়নি।এডহক কমিটির সময়কালের বিল ভাউচারের পিছনে ইউএনও সাক্ষর না করা: তবে স্কুলের এসব বিল ভাউচারে সাক্ষর না করতে পিছনে কলকাটি নাড়ে স্কুলের এডহক কমিটিতে স্থান না পাওয়া সাবেক সরকার দলীয় এক নেতা। তিনি মামলা নিষ্পত্তির নামেও শিক্ষকের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। স্কুলের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলে তথ্যও জানা যায়,শিক্ষক সল্পতা : বিগত ২০২২ সাল থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগের ৭ জন শিক্ষক বিদায়, পদোন্নতি ও বদলিজনিত কারনে অন্যত্র চলে গেলে শিক্ষক সল্পতা দেখা দেয়। একমাত্র সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ একাই স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীর গণিতসহ বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নিয়েছেন। একা একটি স্কুলের এতো শিক্ষকের শুন্যপদে পাঠদান করার পরও ২০২৩ সালের বিদ্যালয়ের এসএসির ফলাফল বিপর্যয় হয়। প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় স্কুলের সার্বিক শৃংঙ্খলা ও ক্লাসের পাঠদান ব্যাহত হতে থাকে। সাবেক প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী দত্ত পুরকায়স্থ অবসরে চলে গেলে যথারীতি পত্রিকায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। স্কুলের কার্যক্রম সচল রাখতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আব্দুর রশিদকে নিয়োগ দেয় ম্যানেজিং কমিটি। এরপরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে একাধিক শিক্ষক উক্ত পদের জন্য আবেদন করেন। পরে পাঠানঠুলা স্কুলের শিক্ষক সামসুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ প্রদান করেন। সর্বশেষ গত ৫ আগষ্ট সামসুল ইসলাম চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণের কথা থাকলেও সরকারের পট পরিবর্তন হওয়া এবং নিজে শারিরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় ৫ আগষ্ট স্কুলে যোগদান করেননি।ম্যানেজিং কমিটি সভাপতির বক্তব্য না পাওয়া : অপরদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলীকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে কথা হয় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্যদের সাথে তারা জানান, বিগত দিনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক না থাকায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ দায়িত্বকালীন সময়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বেতনের টাকা থেকে আয়কৃত অর্থ দিয়ে স্কুলের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা সহ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। বিগত দিনের স্কুলের ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষর নিতে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জকিগঞ্জ গিয়েও সাবেক এডহক কমিটির সভাপতি বিয়ানীবাজার উপজেলার সাবেক ইউএনও এর সাথে দেখা করেন। কিন্তু তিনি নানা রকম অযুহাতে বিল -ভাউচারে সাক্ষর করেননি।সাবেক এডহক কমিটির সভাপতি যা বলেন: বিষয়টি স্বীকার করেন, বর্তমান জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার আফসানা, তিনি বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির অনেকে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। বিল-ভাউচারগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, যে আয় ব্যায়ের হিসাবটি যাচাই করে যেনো দেখা হয়, পরে আমি সাক্ষর করবো। কিন্তু হঠাৎ করে আমি জকিগঞ্জে বদলী হয়ে আসি ফলে এসব বিল ভাউচারে সাক্ষর করা হয়নি।সরজমিন গিয়ে স্কুলের স্টক রেজিস্টার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়: সাবেক প্রধান স্বাপ্না রাণী দত্ত পুরকায়স্থ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বকালিন সময়ে চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ে দুইটি প্রজেক্টর সরকারি ভাবে বরাদ্ধ হয়। এরমধ্যে একটি প্রজেক্টর সচল রয়েছে, অপরটি বিকল হয়ে পড়ায় মেরামতের জন্য আইসিটি শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহর পরামর্শে মেরামতের জন্য দেওয়া হয়েছে। মেরামতের রশিদ স্কুলের ফাইলে রক্ষিত আছে।
সাবেক একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রশিদ স্যার স্কুলে যোগদানের পর থেকে হাজার শিক্ষার্থীকে তিনি পয়সায় প্রাইভেট পড়িয়েছেন। নিজের বেতনের টাকা থেকে গরিব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদেরকে স্কুল ড্রেস, বইপত্র কিনে দিয়েছেন। সারাদেশে সরকারি ভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গেলে। স্কুলের ফলাফল বিপর্যের হাত থেকে রক্ষা করতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সকল সদস্য ও শিক্ষকদের অনুরোধে বিদ্যালয়ে পাঠদানের পূর্বে অন্তত একটি ঘন্টার যেনো গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, অর্থনীতি বিষয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীকে পড়ানো হয়। সেখানে যেনো রশিদ স্যার একটি ঘন্টা সময় দেন ছাত্রছাত্রীদের। তাদের কথায় স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নে তিনি এখনো শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। পরীক্ষার খাতা দেখার নামে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, রশিদ স্যার কেনো, কোনো শিক্ষকই কখনও কোন টাকা পয়সা দাবী করেননি আামাদের কাছে।প্রধান শিক্ষক নিয়োগ : স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, গত ১৫ জুলাই বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এতে বিদ্যালয় তহবিল থেকে প্রথমে ১৫ জাহার টাকা সম্মানী নির্ধারণ করে পাঠানঠুলা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা সামসুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হলে তিনি এই বেতনে যোগদান করতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বসে ঐ শিক্ষককে ২০ হাজার টাকা সম্মানীর প্রস্তাব দিয়ে গত ৫ আগস্টের মধ্যে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে উনার ঠিকানায় নিয়োগপত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু তিনি আর যোগদান করেননি।নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যা বললেন: এ বিষয়ে কথা হয় চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সামছুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আমি নিজে শারিরিক ভাবে অসুস্থ, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছি। এছাড়া পারিবারিক কারণে আমি আর এতোদূরের স্কুলে যোগদান করিনি। যেহেতু আমার পরিবার সিলেট শহরে বসবাস করে। অপর দিকে আমার শারিরিক অসুস্থ্যতার জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা রাজি না থাকায়, আমি চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করিনি। এখানে রশিদ স্যার আমাকে কোন রকম হুমকি-ধামকি বা আর্থিক প্রস্তাবের প্রশ্নই আসেনা।বিভিন্ন বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন: আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে সম্পন্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। বিনা বেতনে পাঠদান করেও অপবাদের বোঝা সইতে হবে বা শুনতে হবে তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। বিদ্যালয়ের মাসিক খরচাদি একটি রুটিন মাফিক কাজ। বিল-ভাউচার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নতিপত্রে লেখালেখির সময় কিছু ক্রটি বিচ্যুতি হতে পারে। যেহেতু বিলগুলো অনেক সময় অফিস সহকারিও লিখে রাখেন। এর জন্য কতৃপক্ষ সঠিক নির্দেশনা দিবেন। কিন্তু আমার জানামতে, প্রতিটি বিল-ভাউচার সঠিক ভাবে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাইলেই তা যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন। আমার জায়গাতে আমি শতভাগ শত ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে(২০ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত) স্কুল বন্ধের কোন নোটিশ বা পরিপত্র আসেনি। সে সময়ে স্কুল প্রদত্ত শিক্ষকদের জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এখানে ২২ জন শিক্ষকের আপ্যায়ন খরচ, স্ট্যাটিমিনালের ফটোকপির খরছ অন্তর্ভক্ত রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, অক্ষত উদ্ধার ২৮ যাত্রী

বিয়ানীবাজারে প্রবাসী জামায়াত কর্মীকে হত্যার হুমকি

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় কেরুজ পুকুরে বিদ্যুতায়িত জিআই তারে কৃষকের মৃত্যু

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

কুতুবদিয়ায় তিন দিনে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
