ডা. মজিবুর রহমানকে শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউনের নির্বাহী পরিচালক দেখতে চান তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা
ডা. মোহাম্মদ মজিবুর রহমানকে শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউনের নির্বাহী পরিচালক দেখতে চান তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত ১৬ বছর যাবত স্বৈরাচার সরকার যে অন্যায় ও অত্যাচার চালিয়ে গেছে, তারই অংশ হিসেবে শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট চিকিৎসক সমাজের একটি চাটুকারী অংশ স্বাচিপ নামে সাধারণ চিকিৎসক, নার্সসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ওপর অনিয়ম ও দীর্ঘকালীন বৈষম্যমূলক অপশাসন অব্যাহত রেখেছিল।
গত ৫ আগস্ট দীর্ঘ এক মাসের ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকেই স্বাচিপ চিকিৎসকদের অসহযোগিতা ও ক্রমাগত অনুপস্থিতি ও দূরবিসন্ধীমূলক আচরণের কারণে অত্র হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালকের পদটি শূন্য থাকায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও হাসপাতালের আর্থিক লেনদেন নির্বাহ করা যাচ্ছে না।
এমতাবস্থায় চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আপনাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের সদয় বিবেচনায় জন্য শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ১৩ জন চিকিৎসককে ২০১১ সালে ও ২০০৯ সালের ৬২ জনকে চাকরি থেকে দরখাস্ত করা হয় পরবর্তীতে তারা মামলা করে তাদের চাকরী টিকিয়ে রেখেছেন। এ সময় ডা: মজিবুর রহমান হাসপাতাল অত্যাধুনিক করার ও সকল বৈষম্য দূর করার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীগণ এক স্লোগানের মাধ্যমে ডা. মোহাম্মদ মজিবুর রহমানকে উক্ত হাসপাতলে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এমএসএম / জামান