মামলায় নাম জড়িয়ে ব‍্যবসায়ী আকবর’কে হয়রানি,প্রশাসনীক চার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ

গত ৫ আগষ্ট বৈষম‍্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মূখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের পর দেশে স্বাধীনতার সু-বাতাস বয়।সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর সবুজবাগ মাদারটেকের বিএনপি সমর্থক ও ব‍্যবসায়ী সততা এন্টার প্রাইজের কর্ণধার আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ডিএমপির  যাত্রাবাড়ি থানায় নামকাওয়াস্ত ভুয়া নাম ঠিকানা ব‍্যবহার করে একটি বৈষম্য হত‍্যা চেষ্টার মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নাম জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এরই মধ‍্য ভুক্তভোগি বিএনপি সমর্থক ব‍্যবসায়ী আকবর হোসেন,গত ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,আইন উপদেষ্টা,পুলিশের আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনা ও উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) ওয়ারী জোন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ‍্য করেন,তদন্ত ছাড়া যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ’কে মিথ‍্যা তথ‍্য দিয়ে উদ্দ‍্যোশ‍্য প্রণোদিতভাবে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে একটি বৈষম‍্য হত‍্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন ।যদিও মামলায় আমার কোনো রাজনৈতিক পদপদবী উল্লেখ করেননি চক্রটি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব‍্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, আমার বাবা সাদেক আলী মাতবর সবুজবাগ থানা  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি ।সেই সুবাদে আমি বিএনপি সমর্থন করে আসছি ছোটবেলা থেকে।বিএনপি পরিবারে আমার জম্ম হলেও আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করিয়া আসিতেছিলাম। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবৎ একটি পরিকল্পিত ও প্রতিহিংসামূলক চক্রান্তের শিকার হইয়া একটি কু-চক্রী মহল গত ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে আমাকে ২৬ নং আসামী’ করে যাত্রাবাডি থানায় আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক একটি হত‍্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।

উক্ত মামলার ঘটনার স্থান ও সময় যেখানে দেখানো হয়েছে,অথচ সেই সময়ে আমি আমার নিজ বাসায় ছিলাম।যাহা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমার ব‍্যক্তিগত নাম্বারের লোকেশন বের করলে জানতে পারবে। বর্তমানে মামলাটির ফলে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হইতেছি।আমি ধারনা করছি চক্রটি সুধু এই মামলা দিয়ে ক্ষান্ত হবেন না আমাকে ব‍্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন‍্য বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ার ও অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।সেটাও আপনাদের মাধ‍্যমে জাতির কাছে জানিয়ে রাখলাম।

আমি পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী,আমার নিজস্ব ট্রেড লাইসেন্সে আমি আমার নিজ প্রতিষ্ঠান সততা এন্টার প্রাইজ পরিচালনা করি।আমি বাংলাদেশের একজন প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার ও সরবরাহকারী।আমার কোম্পানীর ট্রেড লাইসেন্সের নাম হলো,সততা এন্টার প্রাইজ,হোল্ডিং ৭৪/১ মাদারটেক চৌরাস্তা,বাসাবো,সবুজবাগ,ঢাকা-১২১৪ ।

তিনি আরো বলেন,দুঃখের বিষয় হলো স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার থাকা কালীন সময়ে আমার বাবা সবুজবাগ থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি হওয়ার সুবাধে আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার থাকা কালীন সময়ে আমাকে বিএনপি পরিবারের সদস্য হওয়ার কারনে রাজনৈতিক মামলায় গত ৩রা জানুয়ারী ২০১৫ সালে শেখ হাসিনার পুলিশ আমাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে জেল হাজতে ফেরন করে।রিমান্ড নির্যাতন জুলুম সহ‍্য করে দীর্ঘ ৮ মাস কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পাই।(ছবি ও মামলার কপি সংযুক্ত) মুক্তি পাওয়ার পর আবার ও একই কায়দায় আমাকে আরো বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক মিথ‍্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়।যার কারনে পরিবার পরিজন নিজ ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে আমাকে বাসার বাহিরে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি,বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ফ‍্যাসিস্ট মুক্ত সরকার। আমার বিরুদ্ধে উক্ত মামলা টি পূর্বপরিকল্পিতভাবে দায়ের করা হইয়াছে এবং ইহার নেপথ্যে এক বা একাধিক ব‍্যবসায়ীক শত্রুপক্ষ সক্রিয়ভাবে জড়িত আছে।যাহারা আমাকে ব্যক্তিগত পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে প্রতিনিয়ত।

তিনি আরো বলেন,আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যাত্রাবাড়ি থানার মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে  আমাকে হয়রানিমূলক মামলাটি  হইতে অব্যহতি প্রদান করিয়া ন্যায় বিচার পাওয়ার জন‍্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।সেই সাথে মিথ‍্যা মামলাকারীদের সনাক্ত করে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী করেন।

এবিষয়ে মামলার বাদী, রাহাতুল জামান আবির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আকবর হোসেন নামে
তিনি কাউকে চিনেন না,মামলায় যে আকবর হোসেনের নাম আছে তিনি সেটাও জানেন না।

যাত্রাবাড়ি থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (অপরেরশন)খালেদ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত চলমান।