ইউনুস সরকারকে উৎখাতে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলকারীদের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে গোয়েন্দারা

ইউনুস সরকার উৎখাতে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনকারী ঢাকা কাস্টমস দক্ষিণের অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন এবং বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ) নেতা রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ওরফে মজিব সহ একটি চক্রের সদস্যদের অবৈধ উপায়ে আয় করা অর্থের সন্ধানে গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছেন।
সূত্র জানায়, কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের সিপাই ও বাকাস-এর মহাসচিব মো. আলহেলাল তাজ, কাস্টমস ঢাকা পূর্ব কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর ও বাকাস সহ-সভাপতি মো. মাহবুব হোসাইন, কাস্টমস পশ্চিম কমিশনারেটের সিপাই মোহাম্মদ শামসুদ্দিন এবং কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের সিপাই মো. বাবুল হোসেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কোটিপতি হয়েছেন।
এছাড়া কাস্টমস বৃহত্তর করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ঢাকার সিপাই মো. আবুল হোসেন ও কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের সিপাই মো. মনজুরুল ইসলাম, সাব ইন্সপেক্টর মো. মিজানুর রহমান, সিপাই ও ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক কমিশনারেটের সভাপতি মো. শাহীন মিয়া এবং কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের সিপাই মো. হালিম মিয়া সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঐক্য পরিষদের আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই ঢাকা কাস্টমস দক্ষিণ কমিশনারেট ও বাকাএভ সমিতির সদস্য। তাদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, কারণ মো. মনজুরুল ইসলাম তার আপন ভাতিজা। অভিযোগ রয়েছে, মানস কুমার বর্মন ও মজিবুর রহমান কোটি টাকার বাজেট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন।
অন্যদিকে, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এবং সার্কেল ট্যাক্স কর অফিসের বৈষম্য বিরোধী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িতদের বদলি ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলেও, প্রকৃত মদদদাতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। বাকাএভ নেতারা অর্থের বিনিময়ে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে কাফনের কাপড় পরে কর্মসূচি পালন এবং সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিলেও তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাদের কারণে কাস্টম হাউসের হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান এবং রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম। অভিযোগ উঠেছে, মজিবুর রহমান, যিনি আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী, তিনি এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া এবং আতঙ্কে থাকা কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী বলছেন, মানস কুমার বর্মন ও মজিবুর রহমান তাদের মিথ্যা তথ্য ও ভুল বুঝিয়ে ইউনুস সরকার উৎখাতের আন্দোলনে কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছিলেন। তারা যেন কোনোভাবেই শাস্তি থেকে রক্ষা না পান। তারা প্রত্যেকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন বলেও দাবি করেছেন।
এমএসএম / এমএসএম

ব্যর্থতায় রাকিব-নাছির নেতৃত্বাধীন ছাত্রদল কমিটি ভাঙছে, আসছে নতুন নেতৃত্ব

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরূপরতন চৌধুরী’র জন্মদিন

আলোচিত ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবিতে চাকরি পেলেন

মেট্রোপলিটন হিন্দু কর্মজীবী সমবায় সমিতির অর্থ তছরুপ

উত্তরার গণসমাবেশে আনোয়ার হোসেনের হাতে হাতপাখা তুলে দিলেন চরমোনাই পীর

উত্তর সিটির টেন্ডারবাজিতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দৌরাত্ম

চট্টগ্রাম দিয়ে পালাতে গিয়েও ব্যর্থ আলমগীর কবির ও রায়হান কবির

ধর্ষণের মামলায় এএসপি নাজমুস সাকিব গ্রেপ্তার হচ্ছে না, চাকরিতে থেকে তদন্ত প্রভাবিত করছেন

মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী: দায় এড়ানোর কৌশল খুঁজেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে

উত্তরার জসীমউদ্দীনে যানজট নিরসন: আলোচনায় টিআই জলিল

ওয়ার্ড নেতা বিল্লাল হোসেনের দলীয় পদ স্থগিত

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে CLAS এর আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
