সাটুরিয়ায় স্বামীর দেয়া আগুনে স্ত্রীসহ নিহত ২
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গওলা এলাকায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী হাসান আলীর দেয়া আগুনে পাঁচ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী শারমিন ও তার চাচাতো ভাই রুবেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত শারমিনের বড় বোনের স্বামী মিজানুর রহমান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ধামরাইয়ের রাজাপুর গ্রামের হাসান আলীর সাথে সাটুরিয়া উপজেলার গওলা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে হাসান তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তার চাচি সেলেনা আক্তার ও চাচাতো ভাই রুবেল এগিয়ে এলে হাসান তাদের শরীরেও আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় তাদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শারমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রুবেল এবং সেলিনা আক্তারকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে শারমিন ও তার চাচাতো ভাই রুবেলের মৃত্যু হয়। শারমিনের চাচি সেলিনা আক্তারের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বলেন, দগ্ধ শারমিন ও তার চাচাতো ভাই রুবেল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শারমিনের স্বামী অভিযুক্ত হাসানকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমএসএম / জামান