খানসামায় পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহক

বেশ কিছুদিন ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাবাসী। এরমধ্যে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল। এই দুই মিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর হাজার হাজার গ্রাহক।
গত দুই মাসের বিল, চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশের। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
জানা গেছে, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতায় খানসামা সাব-জোনাল অফিসের গ্রাহক সংখ্যা ৪০ হাজার। এ উপজেলায় সাড়ে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বরাদ্দ পাচ্ছে সাড়ে ৩ মেগাওয়াট। গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, সিস্টেম লসসহ নানা বাহানায় নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ বিল। এমনকি তীব্র গরমে বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং থাকলেও মাস শেষে দিতে হচ্ছে মাত্রারিক্ত বিল। দিনে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম। বেশি বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ গ্রাহকদের।
হাবিবুর রহমান নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, একে তো লোডশেডিং, তার ওপর ভূতুড়ে বিল। আমি কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছি। এবার এত বেশি বিল এসেছে যা বলার বাইরে। এমনিতেই যে পরিমাণ লোডশেডিং, তার ওপর আবার বাড়তি বিল।
মাহবুব রহমান নামে এক চাকরিজীবী বলেন, এ মাসে খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর আগের মাসগুলোতো বিল আসে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, এবার এসেছে ১৯০০ টাকা। এছাড়াও আমার ভাবির বিল আসত সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা, এবার এসেছে ৪২০০ টাকা। এত বাড়তি বিল নিয়ে আমরা যাব কোথায়? বিলিং শাখায় গেলে বলে আপনারা ঠিকই ব্যবহার করছেন। আমরা বর্তমানে জনভোগান্তিতে আছি।
মিলন রায় নামে এক কৃষক বলেন, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সে পরিমাণ পাচ্ছি না। আগস্ট মাসে বিল দিলাম ৪৪৫ টাকা, জুলাই মাসে দিলাম ২০১ টাকা এবার আসছে ৭৬০ টাকা। প্রতিনিয়ত যদি এভাবে বিল বাড়তেই থাকে তাহলে আমরা বিপাকে পড়ে যাব।
এ বিষয়ে খানসামা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদ বলেন, লোডশেডিং তো জাতীয় সমস্যা ছিল, এখনো আছে। লোডশেডিংয়ের মূল কারণ ছিল বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল। এখন তা ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। চালু হওয়ায় অনেকটাই লোডশেডিং কমে গেছে। মিটার রিডারদের যদি কোনো কারণে মিটার রিডিং করতে ভুল হয়, সেক্ষেত্রে বিল কম-বেশি হয়ে থাকে। মিটার নিয়ে একটা জটিলতা তো আছেই। বর্তমানে মিটারের মান খারাপ। মিটারের সমস্যার কারণে বিল বেশি আসতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে আমরা মিটার টেস্ট করি। মিটার টেস্ট করে বিল সমন্বয় করি। এছাড়া মিটার রিডার যদি ভুল করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
T.A.S / জামান

শান্তিগঞ্জে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের কমিটি গঠন ও ত্রাণ বিতরণ

দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা

দুর্গাপুরের দুর্জয়, পেলেন জাতীয় পর্যায়ে স্বর্নপদক

তারাগঞ্জে সরকারি ওষুধ পচারের সময় ফার্মাসিস্টসহ আটক -২

দাবি আদায় না হলে শিক্ষকরা ঘরে ফিরবে না

এইচএসসি পরীক্ষায় একই বাড়ির ৩ শিক্ষার্থীর সাফল্য

নন্দীগ্রামে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

বেনাপোল ঘুষের টাকাসহ আটক রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা বরখাস্ত

নাচোলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জোড়া মৃত্যু লাশ এসেছে এলাকায় শোকের ছায়া

ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জনসভা অনুষ্ঠিত

গলাচিপায় জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা

শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজনে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন
