ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে


এসএম পিন্টু photo এসএম পিন্টু
প্রকাশিত: ২৪-১০-২০২৪ দুপুর ১:২

চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত করছে একটি সিন্ডিকেট। তবে এসব চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বার্থে এই বন্দরকে রক্ষা করতে আন্দোলনে নেমেছে ‘দেশ বাঁচাও, বন্দর বাঁচাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। চক্রান্ত থেকে সরে না এলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বন্দরকে রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলা হয়েছে।

সমাবেশে বলা হয়েছে, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা বন্দর নিয়ে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে। 

মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণফোরামের কো-চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইশরাম, কল্যাণ পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বিএলডিপির যুগ্ম-মহাসচিব এমএ বাশাার, গণঅধিকারের শহিদুল ইসলাম ফাহিম, শ্রমিক নেতা মো. বাহার মিয়া প্রমূখ। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের তৎপরতা চলছে। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন করা হচ্ছে। যারা এই কনটেইনার টার্মিনালের দায়িত্বে আছেন তারা রাষ্ট্রকে বড় সংখ্যক রাজস্ব দিয়ে আসছেন। কিন্তু এখন বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। 

ষড়যন্ত্র বন্ধের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন উপদেষ্টাকে আগামী ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সাইফুল হক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে বিদেশি দুবাইভিত্তিক কোম্পানিকে দেয়ার যে তৎপরতা, তা আপনি স্থগিত করবেন। তারপর দেশীয় ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন, চট্টগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। কিভাবে আমরা আমাদের কোম্পানির মধ্যদিয়ে বন্দরের গতি সঞ্চার করতে পারি তা আলোচনা করবেন।  

তিনি বলেন, ৫৪ বছর পরও একটা জাতি রাষ্ট্র নিজেদের বন্দর যদি নিজেরা চালাতে না পারে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার ও অপমানের। অদক্ষতার কথা বলে কোনো অজুহাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে কোনোভাবেই অন্য কারো হাতে জিম্মি করতে আমরা দেব না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রামে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন মিলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইন। আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে দেশীয় কোম্পানিগুলো এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। এর সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি ও হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান যুক্ত। আমরা কোনোভাবেই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, যাতে চট্টগ্রাম বন্দর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। এর আগে ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের সময় দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক তৈরি করা হয়েছে। এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। 

অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কোনোভাবেই বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে পারি না, লিজ দিতে পারি না।  আপনারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, যা সরকারকে বিতর্কিত করবে, যেটা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বাংলাদেশের জনগণ ও গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার কাছে আপনাদের দায়বদ্ধতা আছে। কিন্তু কোনো বিদেশি কোম্পানি, সংস্থা কিংবা স্বার্থের কাছে আপনাদের মাথানত করার কোনো সুযোগ নাই। গত ১৫ বছর বাংলাদেশকে ভারতের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। আমাদের জাতীয় মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে ভারতের চাওয়া অনুযায়ী বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্প নেয়া হতো। সেই জায়গা থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। 

নুরুল হক নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের মতো একটি বিষয় নিয়ে রাজপথে নেমে কথা বলতে হবে, এটা আমরা আশা করিনি। এখনো দেশীয় কোম্পানি বন্দর পরিচালনা করছে, সেখানে নতুন করে কেন বিদেশি কোম্পানিকে নিয়ে আসতে হবে? এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের বিষয় আছে।

নৌ পরিবহন উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের ও জাতীয় স্বার্থে বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্ধক দেয়ার অপতৎপরতা বন্ধ করুন। দেশীয় কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দিন। চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ আবারো রাজপথ নামবে।

এমএসএম / জামান

কেশবপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা তবিবুর এক সন্তানের জননী নিপা দাসকে নিয়ে চম্পট

মহেশখালীতে রাতে অপহরণের পর সকালে মিলল যুবকের লাশ

আবার রোহিঙ্গা ঢলের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

তানোরে চাষাবাদে গরুর বদলে বাড়ছে ঘোড়া দিয়ে মই চাষ

উল্লাপাড়ায় কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচারকারী দুই জন গ্রেফতার

বরগুনায় তিন সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-১ আসনে শরিফ উদ্দিনের বিরোধিতা না বিএনপির বিরোধিতা

টেকনাফে মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত ব্যবসায়ী

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

হাসিনা বাংলাদেশকে গুম-খুন আর লুটের রাজ্যে পরিণত করেছিল: আব্দুল খালেক

দাউদকান্দির ধারিবন গ্রামে একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ, পানিবন্দি কয়েকটি পরিবার

ভূরুঙ্গামারীতে ব্র্যাকের স্বপ্ন সারথি দলের জীবন দক্ষতা বিষয়ক ২৫তম সেশন অনুষ্ঠিত

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার ডা:কে এম বাবর সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ