কঠোর নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের তীর্থোৎসব
‘প্রার্থনার অনুপ্রেরণা, ফাতেমা রানী মা মারিয়া’ এই মূল সুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে শুরু হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী ২৭তম ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সকল প্রস্তুতি। হাজারো পুণ্যার্থীর এই উৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে শুরু হয়ে শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে ভারত সীমান্তঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে থাকছে পাপস্বীকার, মহাখ্রিস্টযোগ, মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শোভাযাত্রা, আরাধনা, নিশিজাগরণ ও জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রমসহ নানা অনুষ্ঠান।
জানা যায়, ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থস্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থযাত্রা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উপাসনা করার জন্য প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী ফাদার তরুণ বনোয়ারী জানান, আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মহা-ধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুপ্রত গোমেজ।
সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) মো. দিদারুল ইসলাম জানান, তীর্থ উৎসবে ৩০০ এপিবিএন সদস্যসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো পল্লী থাকবে গোয়েন্দা নজরদারিতে।
T.A.S / জামান