খুলনায় নাশকতা মামলা থেকে বিএনপির ১৫৪ জন নেতাকর্মী খালাশ

খুলনায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বিএনপির ১৫৪ জন নেতাকর্মী খালাশ পেয়েছেন। রবিবার বেলা ১২টায় খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তৎকালীন ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর খুলনার আযম খান কমার্স কলেজ মূল কেন্দ্র এবং সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় উপকেন্দ্র ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। এরপরে পিটিআই মোড়ে যুবদল, ছাত্রদল, বিএনপি, ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল, লাঠিসোঠা, অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ মিছিলের ওপর হামলা করে। এসময় পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। কিন্তু উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, বিএনপির বিরুদ্ধেই ২০১১ সালে খুলনা সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা দায়ের করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসানুর রশীদ মিরাজ বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার খুলনার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাড়িঘর ছাড়া করেছে। এ মামলা দিয়ে আমাদেরকে সার্বিকভাবে হয়রানি করেছে হাসিনা সরকার। আমরা আজকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি। এটা খুশির কিছু না। শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ দেশের মানুষ আনন্দিত হবে না। তিনি আরো বলেন, ২০১১ মামলাটি দায়ের হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের আজকের দিন পর্যন্ত মামলাটি দিয়ে হয়রানি করেছে। বিচারক কেন এতোদিন মামলার রায় ঘোষনা দেয়নি? জেল দিতো নয়তোবা জেলে দিতো। আওয়ামী সরকার হয়রানি এবং মানসিক টর্চার করেছে আদালতের মাধ্যমে। অব্যাহতি পাওয়া অন্য এক যুবদল নেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা রাজনীতি করি দেশের স্বার্থে। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী। দীর্ঘ প্রায় ১৪টি বছর কোর্টের বারান্দায় ঘুরেছি। বিএনপির অন্য একজন নেতা আলমগীর হোসেন ব্যাপারি বলেন, মামলা দিয়ে হয়রানি আওয়ামীলীগ সরকারের অন্যতম একটি কৌশল ছিলো। ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলকে হয়রানি করা স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম উদাহরণ। কোন মিছিল মিটিং প্রোগ্রাম করলেই মামলা। সরকারের সমালোচনা করলেই মামলা। তিনি আরো বলেন, আমরা যে মামলা নিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি সে মামলার বিচার হওয়ার আগেই দুজন বিবাদীর মৃত্যুও হয়েছে। অন্যান্য নেতাকর্মীরা জানান, আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হলেও শেখ হাসিনার বিচার এখনো হয়নি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ পাইানি। একের পর এক মামলা হামলার শিকার হয়েছি। তারা আরো বলেন, এ হয়রানি মূলক মামলা কেন হলো? কারা এর সাথে জড়িত? তাদের বিচারের আওয়াতায় আনতে হবে।
T.A.S / T.A.S

বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক রাজেন রায় গ্রেফতার

লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে জাতিসংঘ মহাসচিব

সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকতার আড়ালে দেহব্যবসা ব্ল্যাকমেইলিং কথিত ৩ সাংবাদিককে গণপিটুনী

ধামইরহাটে বিএনপির ইফতার মাহফিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সাতকানিয়ার তরুণের ট্রেনে ঝাপ দিয়ে মৃত্যু

কোনাবাড়ীতে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি,যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা

তামাক ক্ষেত থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ

শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম 'পটুয়াখালী সেনানিবাস‘ করার দাবীতে মানববন্ধন

ভাটা মালিকরা সরকারী কাজে ইট বিক্রি করবেন না

কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ

হরিপুরে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ও ৭ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ
