১২ বছর একই এলাকায় উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা
# চাকরি রেখে চালাচ্ছেন নিজস্ব ব্যবসা, নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে একই এলাকায় চাকরি করছেন ভোলার লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। লালমোহনে থাকলেও তিনি ব্যবসা করেন ২৫ কিলোমিটার দূরে চরফ্যাশনে। মূলত চাকরির আড়ালে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্যেই বেশি সময় দেন তিনি। এসময় জড়িয়ে পড়ছেন নানা অপকর্মে। এ অবস্থায় তার লাগামহীন দুর্নীতি ও নানা অত্যাচার হতে সাধারণ কৃষকদের বাঁচিয়ে অনতিবিলম্বে তাকে অত্র উপজেলা হতে অপসারণ দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এক আবেদনে এই দাবি জানানো হয়।
এলাকাবাসীর পক্ষে ভোলার লালমোহনের বাসিন্দা মুনসুর আলীর পুত্র মো: আসগর আলী মোল্লা স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনে বলা হয়- উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘদিন লালমোহন উপজেলায় চাকরি করেন। পরে পাশবর্তী উপজেলা দৌলৎখানে বদলী হয়ে অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে পুনরায় লালমোহন উপজেলায় বদলি হয়ে আসেন। একই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন এই কৃষি কর্মকর্তা।
অভিযোগমতে, কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উন্নতমানের যন্ত্রাংশ ক্রয়ে সরকারিভাবে ৫০% হতে ৭০% সহেযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে সাখাওয়াত হোসেন কৃষকের নাম মাত্র ব্যবহার করে তাদের নিকট থেকে সই স্বাক্ষর নিয়ে নিজে টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রপাতি কিনে তা প্রভাবশালী বিত্তবানদের নিকট বিক্রয় করেন। সার বীজসহ কৃষকদের জন্য দেওয়া সরকারি সকল সুবিধাদী তিনি নিজে ভোগ করেন। মূলত তিনি একজন ব্যবসায়ীসুলভ আচরণ করেন। অফিসে আমরা কৃষকরা গেলে আমাদের নূন্যতম মূল্যায়ন করেন না। আমরা তার অফিসে উদ্ভিদের সমস্যার সমাধানের জন্য গেলে তিনি আমাদের দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করেন না। সরাক্ষণ ভিডিও কলে বিভিন্ন মহিলাদের সাথে উচ্চস্বরে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। এককথায় আমরা উল্লেখিত কর্মকর্তার অত্যাচার হতে পরিত্রান পাওয়ার জন্য অতিদ্রুত অপসারন করনের জন্য বিনীত আবেদন করছি।
জানা গেছে, গত প্রায় ১০ বছর যাবত একই এলাকায় চাকরি করার সুবাদে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন কৃষি দপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ব্যবসায়ী সুলভ আচরণ করেন। সাধারণ কৃষকদের সুবিধা সমূহ টাকার বিনিময়ে বিত্তবানদেরকে দিয়ে নিজের লাভবান হচ্ছেন। নামমাত্র মূল্যে চাকরির হাজিরা দিয়েও সারাদিন নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কি অবস্থা এই কৃষি কর্মকর্তা দিয়ে এলাকাবাসীর কোন উপকার আসতেছে না। গরম কত দশ বছরে তার অনিয়ম তদন্ত করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। এ অবস্থায় তাকে অন্যত্র বদলির জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ এর মহাপরিচালকের উচিত দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তাকে সরিয়ে ভোলার বাইরে অন্য কোন দূরবর্তী জেলায় পদায়ন করা এবং নতুন যোগ্য সৎ লোককে এখানে পদায়ন করা।
এমএসএম / এমএসএম