রাস্তা সংস্কারের অভাবে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন,দূর্ভোগে পথচারী
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী-মদন সবমার্সিবল সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে বর্ষায় পলি মাটি জমাটের ফলে এখন যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। জানা গেছে, নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিনে নির্মিত হয়েছে খালিয়াজুরী-মদন সাবমার্সিবল সড়ক। ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়টির নির্মাণ ব্যয় হয় প্রায় একশ চার কোটি টাকা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর জৈষ্ঠ্য মাসের শুরুর দিক থেকে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে থাকে এ সড়ক। বছরের অন্য সময়টিতে এ সড়কে পানি থাকে । এবারও তাই হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো প্রকৃতির নিদৃষ্ট নিয়মেই সড়কে পানি এসেছে এবং সরেছে। তবে খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের বোয়ালি কুড়েরপাড় থেকে খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের ধনু নদের পূর্বপাড় পর্যন্ত দশ কিলোমিটারের মধ্যে সড়কের খন্ড খন্ড কয়েকটি অংশে এখনও কিছু পানি আর পলি মাটি তথা কাদা মাটির স্তুপ জমে আছে।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার সুখন সকালের সময়কে বলেন, কাদা মাটির কারণে সড়কটিতে এখন কোন যানবাহন চলতে পারছে না। এমনকি ওই স্থানে পায়ে হেঁটেও চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। খালিয়াজুরী উপজেলা সদর থেকে নেত্রকোনা জেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়কটি এমন অচলাবস্থায় থাকার কারণে এখানকার মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। অবশ্য এ ভোগান্তি সারানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ইতিমধ্যে তিনি খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রউফ স্বাধীনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
খালিয়াজুরী কলেজের প্রভাষক জিয়াউল হক হিমেল বলেন, বর্ষা মৌসুমে ভরাট হওয়া পলি মাটি এ সড়ক থেকে অন্যান্য বছর স্থনীয় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরানো হতো নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই। কিন্তু এ বছর সড়কের মাটি এখনও রয়েই গেছে।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. হাসিব-উল-আহসান জানান, আগের বছরগুলোতে এ সড়কের কাদা মাটি সরানো হতো এ ডি পি কিংবা টি আর প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে। কিন্তু এ বছর এসব প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ এখনো আসেনি বলে মাটি অপসারণের কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না।
নেত্রকোনা সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ সালেহীন জানান, সওজ’র পক্ষ থেকে এবার সড়কের মাটি দ্রুতই অপসারনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম