কে এই খালেক মাহমুদ অমানবিক কার্যকলাপে লিপ্ত

নাভাল হেডকোয়াটার্সে চাকরির পরিচয় দিয়েই করেন বিভিন্ন অমানবিক কার্যকলাপ মোঃ খালেক মাহমুদ পিতা- মৃত - মাইজউদ্দিন আহম্মেদ, গ্রাম- হায়দারাবাদ, ডাকঘর- হায়দারাবাদ মাদরাসা-১৭১০, থানা- গাজীপুর সদর, জেলা- গাজীপুর, জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৪৬১০৬৪৬২২৮ । তিনি জমি উদ্দার এবং টাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন দখল বেদখল কাজ করেন ,তাহারই ধারাবাহিকতায় তার প্রতারনার জালে জড়িয়েছে মোঃ আবু তাহের পিতা-মৃত হাজী মোঃ বসির উদ্দিন গ্রাম- পেড্ডা হাজীবাড়ি, ডাকঘর- মুদাফরগঞ্জ, থানা- বরুড়া জেলা- কুমিল্লা।

আবু তাহের সহ পাঁচ ভাই বিদেশ থাকতেন ,তাহারা সকলের অর্থ মিলিয়ে গাজীপুর বোর্ড বাজারে একটি বহুতল বভন নির্মাণ করেন এবং ভবনটি গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ভাড়া দেন কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ির কাছে । ভাড়া নিয়ে প্রতারনা করায় আবু তাহেরের নিকটতম আত্মীয় হাফেজ মোঃ জলিল কে অবগত করেন। তখন হাফেজ মোঃ জলিল বলেছেন আমার নিকট একজন লোক আছে তবে তোমাদের ভাড়াটিয়ার সমস্যা সমাধান র‌্যাবের মাধ্যমে করতে হবে, কিন্তু ৫ লক্ষ টাকা লাগবে। তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় অন্য ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে হাফেজ মোঃ জলিলের কাছে জমা দেই অতঃপর মোঃ জলিল আমাকে খালেক মাহমুদের সাথে আমার যোগাযোগ স্থাপন  করিয়ে দেয় এবং দুই লক্ষ টাকা ও ভাড়াটিয়া চুক্তি খালেক মাহমুদ'কে দিয়ে হাফেজ মোঃ জলিল আমাদেরকে অবগত করেন।

এরপর খালেক মাহমুদ কিছুদিন পরে র‌্যাবের সাহায্য না নিয়ে মোঃ নুরুল ইসলাম নামক এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে দিয়ে মীমাংসা করেন । টাকা উদ্ধারের পরিবর্তে  খালেক মাহমুদ  ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আমাকে ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য করেন যা আমার জন্য অমানবিক। অতঃপর আমরা ভবন বিক্রি করে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি গত ০২/০৬/২০২৪ ইং তারিখে। তখন খালেক মাহমুদ ক্রেতা ঠিক করেন ক্রয় করার জন্য । এবং ক্রেতার সাথে ১১ কোটি টাকা মূল্যে চূড়ান্ত করেছে। এইমর্মে আমাদের সব ভাইকে উপস্থিত হইয়া ১৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখে আসার জন্য দিন ধার্য্য করে এবং বায়নার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ক্রেতার  নিকট হস্তান্তর করা হয় । বায়নার অনুপাতে উক্ত সম্পত্তির মূল্য ১০ কোটি টাকা চূড়ান্ত করিয়া ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা তাহের এর  অংশে নির্ধারিত হয় । খালেক মাহমুদ ১৬/০৬/২০২৪ ইং তারিখে বায়নার দিন ধার্য্য করে পূর্বে পরিকল্পনা করে দলিলে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যাংক চেক নিয়ে বায়নার উদ্দেশ্যে পৌছানোর আগেই  আমাকে বায়নাকৃত ব্যক্তির বাড়ীর অন্য রুমে নিয়ে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে বায়না পত্রে স্বাক্ষর নেয় এবং কোন টাকা দেয় নাই।

এমন কি খালেক মাহমুদ জোরপূর্বক আমার ভবনের ভাড়া নিয়ে যাচ্ছে  প্রতিবাদ করলেই আমাকে বলে আমার শশুরবাড়ি এখানে আমার শ্যালক - সুমন্ধি সবাই কেডার এবং আমি দিনাজপুরের ছেলে হিলি বর্ডারে। আমার বাড়ি আমার বহু লোক ঢাকায় আছে, সবাইকে আমি ইন্ডিয়া থেকে অস্ত্র এনে দিয়েছি তুমি যদি বারাবাড়ি করো তোমার বংশধর সব শেষ করে ফেলবো। আরো বলতে বাধ্য হলাম আমার পরিবারের সদস্যকে আমার সাথে থাকতে দেয় না এবং আমার বিল্ডিং থেকে আমাকে বাহির হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় । অথচ টাকার অভাবে আমার দুটি ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। খালেক বিভিন্ন অমানবিক চক্রের সাথে জড়িত আছে এমনকি ঐসব চক্রের সাহায্যে আমাকে বিপদে ফালানোর চেষ্টা করে । সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আকুল আবেদন এইযে, আমাকে খালেক এর চক্র থেকে মুক্ত করে আমার সম্পত্তি আমাকে বিক্রি করে ব্যাংকের ঋন পরিশোধ করে সুস্থ্য জীবন যাপনে সাহায্য করবেন।  বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে